হাদিসের কথা পিক ছবি | বাংলা ইসলামিক ছবি সমগ্র।
ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম থেকে বাংলা ভাষায় সুন্দর থেকে সুন্দরতম কিছু ইসলামিক লেখা ছবি পোস্ট করলাম। আগে শুধু এমন ছবি ইংলিশ এ দেখা যেত কিন্তু আল্লাহ্র রহমতে বাংলাদেশের অনেক ভাই ই এখন বাংলাতেও সুন্দর ডিজাইনে ইসলামিক ছবির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আপনারা তাদের আইডি পেজ বা চ্যানেলে সাপোর্ট দিবেন যাতে তারা উৎসাহী হয় এবং আরো বেশি বেশি এমন কাজ করতে পারে।
৫২+ HQ ইসলামিক পিকচার কালেকশন ডাউনলোড ২০২৪
- ইসলামিক ফটো পিকচার
- আরবি লেখা পিকচার
- ইসলামিক সুন্দর ছবি
- ইসলামিক পিকচার download 2024
এলাকায় মৃত্যুর মড়ক লেগেছে। কয়েকদিন আগে একজনকে কবর দিয়ে আসলাম। বয়স ৫০ এর মতো হবে। আজকে ছোট্ট একটা শিশুর কবর দিলাম নামাযের পরে। একটু আগে আবার মসজিদ থেকে শোক সংবাদ ঘোষণা করল।
মৃত্যু আমাদের সবচেয়ে নিশ্চিত বিষয় । অথচ এই মৃত্যুকে আমরা ভুলে থাকি। ভুলে থাকার চেষ্টা করি। দিনের মধ্যে একবারও মৃত্যুর কথা মনে হয় না। অথচ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করতে বলেছিলেন।
মৃত্যুর জন্য আমাদের কোনো প্রস্তুতি নেই। আমরা এমনভাবে দুনিয়ার বুকে হেঁটে বেড়াচ্ছি যেন কখনো আমাদের মরতে হবে না।
আমাদের অন্তরগুলো আজ পাথরের মতো কঠিন হয়ে গিয়েছে। অথবা তার চাইতেও কঠিন। পাথর ফেটেও তো ঝরনাধারা বের হয়ে আসে। আমাদের অন্তর এতোটাই শক্ত যে তা থেকে কখনো অশ্রুধারা বের হয়ে আসে না।
এই বুদ্ধিবৃত্তিক লেখালেখি, এই লাইক, এই কমেন্টের ভীড়ে আমাদের মৃত্যু নিয়ে ভাবার সময় হয় না। একটু কুরআন পড়া, তা নিয়ে চিন্তা করা, ঈমান জাগানিয়া কোনো লেকচার শোনা আর আমাদের হয়ে ওঠে না।
আমাদের অন্তরগুলো আজ পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
আমাদের অন্তরগুলো আজ মরে গিয়েছে।
- Enamul Hossain
এই পোস্ট এর হাদিস ও কোরানের আয়াতের ছবি গুলো যথাক্রমে
- @iqrabd.co
-@thinktwice.online
- @dailyzikr.bd
-@raiyan_media
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjj1cL-SPZSii_rl7dIA1IP9J1AoS2_X18kXbUKQOdvHnIlrB-rNvS2pl3rAa4R8iIJ93yAZRdRnT4Grc9BCaY3wMQLTStD5lltNOtXYFZRSwkSA6gYYJbqJ2NZAJ_LGFjWGpF84bHUttQ/s320-rw/%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25A5%25E0%25A6%25BE+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%259B%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF+%252821%2529.jpg)
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhWGNlisF6TEG3kK3f9u8_TtZh425A8kk6-xlNqEmOcl6-gh0IuM3QwC1ceZQ4jDO0UYheE8_JBvG1kjURcTj3OJBlrgwfOhQE1MJ4pBlgja3oF9ub306G_y6FcvpYXRw9sIqIg1hee-NU/s320-rw/%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25A5%25E0%25A6%25BE+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%259B%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF+%252822%2529.jpg)
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjlpDddDUp4ki_E4lvOqzhlsNeUcOhzwx1PBXMeqiDJsaokkeqJtSEaNbT88wE05fqhVVqWe1ShaiQ22gCV9bftNWh8Iq92Evao0U0wk96MGn9lPBmm7HOGQcl6ShcFFjywVghZVVY-FbA/s320-rw/%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25A5%25E0%25A6%25BE+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%259B%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF+%252823%2529.jpg)
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh6K8X9t8Kb84yIPY2rkOgDjKTyR34zkqV59ZiQCkaNm3w95OFH9v9t2VDVown5FtMcwrEcLerqzoYLvX6RiCuX825R3k8wl2oNpMuOlJ_r0HpmpRu_41r45EhPvwCyKaKA65pI4PXg9-4/s320-rw/%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25A5%25E0%25A6%25BE+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%259B%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF+%252824%2529.jpg)
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgGuG18iF4x80ALs215EwGgz9ElizaJrg41wk6UH0NH9Kjd2kG_Oc86akKDECdaJdWB0SGY6_NggDT1QeRV0QlrU1AyWJ1QyEkUjemhygDP9pFc1mjBEgMNuzaWCYcktp447Iw4mLXwFzQ/s320-rw/%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25A5%25E0%25A6%25BE+%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%259B%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF+%252825%2529.jpg)
কোন মসুলিম ভাই বোনের দুঃখ কস্টে এগিয়ে আসা অপর মুসলিমের ইমানি দায়িত্ব। দেশের কোন এক প্রান্তে এক বোন নির্যতিত হচ্ছে, অশ্রু সিক্ত নয়নে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাচ্ছেন তার প্রতি জুলুমের প্রতিবাদে। তখন একজন মুসলিম হিসেবে অন্তর বিদির্ন হয়ে যায়। আর আমাদের নবী ( সাঃ) এর আদর্শ কোন মুসলিমের দুঃখ কস্ট দুর করার জন্য এগিয়ে আসা।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন মুমিনের দুঃখ দূর করে দেয়, আল্লাহ্ কেয়ামতের দিন তার দুঃখ দূর করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোন বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির বিপদ দূর করে দেয়, আল্লাহ্ দুনিয়াতে ও আখেরাতে তার বিপদ দূর করে দিবেন। "
( সহিহ মুসলিমঃ ২৬৯৯)
কোন অন্যায় দেখলে অন্যায়ের প্রতিবাদের ভাষা তিন উপায়ে, যদি কারো ক্ষমতা থাকে তাহলে সে হাত দিয়ে প্রতিহত করবে, হাত দিয়ে সক্ষম না হলে জবান দিয়ে প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দিয়ে ঘৃনা করবে।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি কোন অসৎ কাজ প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন তা হাত দ্বারা তা প্রতিহত করে। তাতে সক্ষম না হলে জবান দ্বারা প্রতিহত করবে, তাতেও সক্ষম না হলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান। (সহীহ মুসলিম হা: ৪৯, আবূ দাঊদ হা: ১১৪০, তিরমিযী হা: ২১৭৬)
আমাদের যেসকল ভাইবোন অত্যাচারিত হচ্ছেন, জুলুমের স্বীকার হচ্ছেন, আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন সাহায্যকারী এগিয়ে আসুক, ওই মধ্যযুগীয় বর্বরদের প্রতিহত করার জন্য। আমিন।
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি-
"হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার পক্ষ হতে কাউকেও আমাদের বন্ধু বানিয়ে দাও এবং তোমার পক্ষ হতে কাউকেও আমাদের সাহায্যকারী করে দাও।’
( সুরা নিসা, আয়াত-৭৫)
লেখাঃ Mahfuja Alam Sharmin
আপনার নেক আমল এবং চারিত্রিক ও মানবীয় গুণাবলীর কথা নিজে থেকে কাউকে বলার দরকার নেই। এগুলো আল্লাহ্ নিজেই বিভিন্ন উসিলায় মানুষকে জানিয়ে দেন। নিজে থেকে বলার ক্ষতি অনেক। প্রথমত লৌকিকতা খুব বাজে একটি গুনাহ; কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি শির্কের পর্যায়ে চলে যায়। আবার নিজের ভালো গুণগুলো বলে বেড়ানোর মাধ্যমে বাহ্যত অনেকের প্রশংসা পেয়ে আপনি অহংকারী হয়ে ওঠবেন, যা পতনের জন্য যথেষ্ট। পাশাপাশি, আত্মমুগ্ধতা চলে আসবে। তখন আপনি নিজেই নিজের ফ্যান হয়ে যাবেন। নিজের ভুলগুলো আর চোখে পড়বে না বা সংশোধনের ইচ্ছা জাগবে না।
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেওয়া মানদণ্ডে যারা প্রকৃতপক্ষেই ভালো মানুষ, তাদের উত্তম গুণাবলী এবং সুনামের কথা তার প্রতিবেশী ও সঙ্গী-সাথীরা কোনো-না-কোনোভাবে জেনেই যায়। এটি আল্লাহই করেন। সুতরাং আল্লাহর কাছেই কেবল মর্যাদা তালাশ করুন। তিনিই ইজ্জত দেওয়ার মালিক, তিনিই বেইজ্জতির মালিক।
- Tasbeeh
প্রেমিক প্রেমিকা - পরকিয়া - স্বামী বিদেশ | আমাদের দায়িত্ব
প্রথমে শুরু করি গত দুইদিনে পড়া চট্টগ্রামের দুইটা সংবাদ দিয়ে।
ঘটনা-১ঃ উচ্চশিক্ষিত মাস্টার্স পাশ নারী। ২০১৭ সালে ফেসবুকে একজনের সাথে পরিচিত হয়। এরপর ৩ বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে স্বেচ্ছায় ধর্ষিত(!) হয়েছে বিয়ের প্রলোভনে।
ঘটনা-২ঃ বিবাহিত মহিলা যার স্বামী থাকে বিদেশে। অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে অন্য একজনের সাথে। অনেকদিন পর এসব জানাজানি হলে স্বামী তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার জানায়, যার ফলে সবকিছু হারিয়ে সে নারী আত্মহত্যা করে।
উপরের দুটি ঘটনা আজকের সমাজে খুবই কমন ঘটনা। হাজারটা ঘটনা ঘটলে তার মধ্যে একটা হয়তো মিডিয়া কাভারেজ পায়।
আপনি প্রত্যেকটা ফ্রেন্ড সার্কেলে গিয়ে দেখেন। প্রেম করছে না এমন ছেলেমেয়ে খুঁজে পেতে কষ্ট হবে। এই প্রেমের গন্ডি কতদূর গড়িয়েছে সেটা আপনার ভাবনার ও বাইরে। শুধু প্রেম করছে তা না, অনেকে বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গিয়ে কোথায় কি করেছে তার বর্ণনাও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে।
এই যে ব্যভিচারের সহজলভ্যতা এই দায়ভার কার?
একটা সমাজ ধ্বংসের কিনারায় এই দায়ভার কার?
এখন দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে বিয়ে, আর সহজ কাজ হচ্ছে পার্কে, হোটেলে গিয়ে তথাকথিত প্রেমের নামে যিনা, ব্যভিচার করা।
ব্যভিচারী নারী-পুরুষের শাস্তি সম্পর্কে রাসুল (স) বলেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না, তাদেরকে পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক কঠোর শাস্তি নির্ধারিত থাকবে। তারা হচ্ছে বৃদ্ধ ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক এবং অহংকারী গরীব।” [মুসলিম ও নাসায়ী]
তাদের শাস্তি সম্পর্কে তিনি আরও বলেনঃ
“যিনারাকীরা উলংগ অবস্থায় এমন এক চুলার মধ্যে থাকবে যার অগ্রভাগ হবে অত্যন্ত সংকীর্ণ আর নিম্নভাগ হবে প্রশস্ত উহার তলদেশে অগ্নি প্রজ্বলিত থাকবে তাদেরকে তাতে দগ্ধ করা হবে। তারা মাঝে মধ্যে সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার কাছাকাছি অবস্থায় পৌঁছে যাবে; অতঃপর আগুন যখন স্তমিত হয়ে যাবে তখন তাতে তারা আবার ফিরে যাবে। আর তাদের সাথে এই আচারণ কেয়ামত পর্যন্ত করা হবে।” [বুখারী (৭০৪৭)]
পরকিয়া প্রেম বা অন্যের বিবাহ বন্ধনে থাকা স্ত্রীর সাথে প্রেম-প্রণয়ের মাধ্যমে ব্যভিচারের লিপ্ত হওয়া আরও জঘন্য অপরাধ ও মহাপাপ। ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় পাপ কোনটি?” তিনি বললেন: “কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করা।” আমি বললামঃ “এটা নিশ্চয়ই জঘন্যতম গুনাহ। তারপর কোনটি?” তিনি বললেন: “তোমার সন্তান তোমার সাথে আহারে বিহারে অংশ নিবে এ আশংকায় সন্তানকে হত্যা করা।” আমি বললামঃ “এরপর কোনটি?” তিনি বললেন: “তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া।” [বুখারি (৪২০৭) ও মুসলিম (৮৬)]
বাইরের কথা বলতে পারি না, আমাদের চট্টগ্রামের বিয়ে গুলোতে কোন পক্ষরই ছাড় দেয়ার মানসিকতা দেখি না। কুরবানির হাটের গরুর মতো দর কষাকষি চলে। অনেকে বলে থাকে ছেলের পক্ষ ৭০০-১০০০ বরযাত্রী, বিভিন্ন ফার্নিচারের ডিমান্ড করে জুলুম করে। এটা জুলুম শুধু মুদ্রার এক পিঠ। পাত্রী পক্ষ স্বর্ণ, কাবিননামার নামে ১৪ গোষ্ঠীর কাপড় কেনার জন্য লাখ টাকার উপরে বাজেট সহ আরো অনেক ডিমান্ড থাকে। রিসেন্টলি এক রিলেটেভের বিয়ের ব্যাপারে কথা চালাতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে একদিন গিয়ে আর যায়নি আমি। কোন পক্ষই ছাড় দিতে প্রস্তত না!
আর কিছু ভ্রাতা ন্যূনতম টাকা কামানোর চেষ্টা না করে বিয়ে বিয়ে করে। তাদেরকে যদি বলা হয় তাদের বোনকে বেকার ছেলের কাছে বিয়ে দিবে নাকি, তখন ঠিকই পিছনে হেঁটে যাবে। ভাই চরিত্র হেফাজত করা কঠিন এটা আমরা সবাই মানি। কিন্ত বিয়ের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগে ন্যূনতম দায়িত্ব নেয়া শিখা জরুরী। হতে পারে সেটা টিউশন করে ৩০০০ টাকা আয়ের মাধ্যমে হলেও।
আর কিছু মানুষ আছে, পাত্র ইউরোপ, আমেরিকা থাকলে শুনলে বেহুঁশ হয়ে যায়। নিজের মেয়ে, বোনকে যার হতে তুলে দিচ্ছে তার ব্যাপারে আর বিস্তারিত খোঁজ খবর নেয়ার প্রয়োজন অনুভব করে না। তারাও আল্লাহ্র ওয়াস্তে সাবধান হয়ে যান। বিয়ে-শাদির ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবেন না।
সন্তান কোচিং এর নাম দিয়ে, কলেজের নাম দিয়ে কোথায় যাচ্ছে, কী করছে সেটা একটু খোঁজ খবর রাখুন। এটা অভিভাবক হিসেবে প্রত্যেকের দায়িত্ব। এই দায়িত্বে অবহেলার জন্য অনেক ক্ষেত্রে চড়া মূল্য দিতে হয়।
লেখাঃ তৌহিদুল আলম মিথুন
সেকুলাঙ্গার ধর্মের কাফের বনাম মুসলিমের দ্বন্দ্ব। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নাকি সেকুলারিজম ধর্ম ?
বর্তমানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা না থাকা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। কিন্তু মাত্র একদশক আগেও একটি বিশেষ মহলকে দাবি করতে হতো সংবিধানে সেক্যুলারিজম যুক্ত করার জন্যে।
আর সংবিধানের মূলনীতিতে সেক্যুলারিজম যুক্ত হওয়ার পর সেক্যুলারিজম উঠিয়ে দেয়ার জন্য শক্ত আন্দোলন করতে দেখা যেতো বিএনপিকে। এখন এগুলো কল্পনার মতো লাগলেও তা মাত্র ৭/৮ বছর আগের ঘটনা। আর এখন তো কেউ কেউ ইসলামকে সেক্যুলার ধর্ম প্রমাণে ব্যতিব্যস্ত।
সংবিধানের ধারা গুলোর মূল উৎস হচ্ছে তার মূলনীতি। বাংলাদেশের সংবিধানের চার মূলনীতির কোথাও ইসলাম নেই। সেক্ষেত্রে মূলনীতিতে ইসলাম বিসর্জন দিয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা কার্যত আবেদনহীন।
সংবিধানে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে সকল ধর্ম সমান। অর্থাৎ সংবিধানে ইসলামকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে অন্যান্য ধর্মের স্তরে। এরপরও আমিত শাহ দের সহ্য হচ্ছে না নামেমাত্র ইসলাম শব্দটি। ভারতে দেয়া তার বক্তব্যের পরপরই আদালতে রিট করা হলো রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেওয়ার জন্য।
উপনিবেশিক হানাদার শক্তির চাপিয়ে দেয়া ব্রিটিশ আইন কেন এদেশের মানুষকে এখনো মানতে হবে? কেন উপনিবেশ পূর্ব ইসলামী আইন বলবৎ করা হবে না? এ প্রশ্নগুলোও অজানা কারণে জোড়ে সরে উচ্চারিত হতে দেখা যায় না।
ইসলামী আইন-অনুশাসন ও বিদ্যমান সংবিধানের তুলনামূলক আলাপও মুসলিম পণ্ডিতদের আগ্রহের বিষয় হয়ে ওঠেনি। সেক্ষেত্রে সাধারণ মুসলিমদের ইসলামী জীবনব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যাওয়া তো অস্বাভাবিক নয়।
পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে আমরা ব্যাপকভাবে তুলে ধরতে পারছি না, বিদ্যমানতার অসঙ্গতি ও ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলোও ইসলাম অনুযায়ী ডিল করতে চেষ্টা করছি না। মসজিদের মিম্বার হতে পারতো আমাদের জ্ঞান বিকাশের কেন্দ্র কিন্তু তা প্রয়োজনে অনুপাতে হয়ে উঠেনি।
আমরা যারা ইসলামী রাষ্ট্রের কথা বলি তাদের অনেক মাঝেই ইসলামী রাষ্ট্রের ধরণ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই। আধুনিক জাতি রাষ্ট্রের সাথে ইসলামের কয়েকটি বিধান যুক্ত করে ইউটোপিয়ান ইসলামী রাষ্ট্রের স্বপ্ন বুনতে দেখা যায় অনেককে।
শক্ত প্রতিবাদ করা গেলে আশাকরি এ যাত্রাতেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে অপরিবর্তনীয় রাখা যাবে। কিন্তু পূর্ণ দীনি মেজাজ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় দাওয়াহ সম্প্রসারণ করা না গেলে আখেরে খুব বেশি লাভ হবে না, যেমনটা বিগত বছর গুলোতেও হয়নি।
আমরা মাইকে বাস্তবতা বর্জিত চিৎকার শুনতে যতটা পছন্দ করি তার সিকিভাগও সময়ের চাহিদা অনুযায়ী গঠনমূলক কাজে আত্মনিয়োগের আগ্রহবোধ করি না। আর এজন্য আখেরে পরিস্থিতি পরিবর্তনের পরিবর্তে আরো প্রতিকূল রূপধারণ করে। আক্রান্ত করে আমাদের দীন ও ঈমানকে।
- Monir Ahmed Monir
বাংলা ইসলামিক কথাঃ ফেসবুক ও আমরা
ফেসবুক হল এয়ারপোর্ট এর ব্যাগের কনভেয়ার বেল্ট এর মত । সবাই তাকিয়ে থাকে এর উপর দিয়ে কি যাচ্ছে তা দেখতে । ফেসবুকেও তেমনি একটার পর একটা টপিক আসতেই থাকে । আর বেশিরভাগ ভাই ব্যস্ত হয়ে যান কে কি বলছে সেটা শুনতে এবং সেটা নিয়ে মন্তব্য , আলোচনা , সমালোচনা করতে ।
রিফিউটেশন, আর্গুমেন্ট-কাউন্টার আর্গুমেন্ট বেশিরভাগ কন্টেন্ট এর মূল ।হ্যাঁ , এগুলো কখনো কখনো জরুরী । তবে এগুলো নিয়েই সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকার মানে , আমাদের মৌলিক কাজের ব্যাপক অভাব রয়েছে ।অর্থাৎ ,নিজে করার মত কাজের অভাব তাই অন্যকে নিয়ে ব্যস্ততা বেশি আমাদের । আর বিতর্ক করাটা একটা নেশার মত ব্যাপার ।
আরেকজনকে ধুলোয় পিঠ ঠেকাতে দেখার আগ পর্যন্ত শান্তি পাওয়া যায় না । আর ফেসবুক হল এর চারণভূমি । এখানে ‘ক’ এর ব্যাপারে আলোচনার চেয়ে , ‘ক’ এর ব্যাপারে কোন আলেম কি বলেছে তার ব্যাপারে রিয়েকশন ধর্মী পোস্টই বেশি ।কিছু বিতর্ক এত সস্তা প্রকৃতির যে , সেগুলো থেকে কিছু দ্বীনি পরিভাষা বাদ দিলে নিখাদ পাড়ার দুই গুণ্ডার ঝগড়া বলে চালিয়ে দেয়া যাবে ।
এর পেছনে কারণও আছে ।আমাদের বেশীরভাগের জাহিলিয়্যাহ থেকে দ্বীনি জীবনে ট্রানজিশন হয় অনলাইনে শিখে শিখে । আপনি ফেসবুকের নিউজফিড একদিন ঘেঁটেই অনেক বিতর্কিত বিষয়ে ইলম ও বিতর্ক করার দীক্ষা পেয়ে যাবেন হয়ত । কিন্তু এখানে ইল্ম এর ‘আদব’ শেখা যায় না ।
আর যদি কেউ আদব শেখান বা তা নিয়ে আলোচনা করেন ,সেগুলোর প্রতি দেখা যায় এখানে মানুষের আগ্রহ কম ।বরং অনেকে পারলে তিরস্কার করবেন তাকে এই বলে ,তিনি ‘বাতিলের ব্যাপারে নমনীয় হতে বলছেন’ । সেসব আদবের আলোচনা বাজার গরম করে না এর কারণে ।
ফলে , লা-লিগার দুই দল নিয়ে তর্ক করা আর দ্বীনি কোন ব্যাপারে আলোচনা করা যে এক বিষয় না সেটা আমরা অনেকে ভুলে যাই ।জাহিলিয়্যাহ’র নোংরা আক্রমণাত্মক বিতর্ক করার স্বভাব আমাদের ওপর জেঁকে বসে । শুধু তাই না , সমস্যা হল অনেক ভাইরা এগুলোকে ভুল মনে করা দূরে থাক , বরং দ্বীনি দায়িত্ব মনে করেন ।
এত জঘন্য হয়ে পড়েছে আমাদের স্বভাব , কোন বক্তব্য কারো পছন্দ না হলে ‘আপনি কোন দলে? আপনাকে তো আগে আমাদের পক্ষে ভাবছিলাম’ টাইপের নিকৃষ্ট মন্তব্যও করা শুরু করেন অনেকে ।
একটু অপরিণত থাকতে এগুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকার কারণে অনেক দ্বীনি ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক অনর্থক খারাপ হয়েছে ।সেগুলোর জন্য এখন বেশ খারাপ লাগে,আফসোস হয় ।কারণ ,তাদের সাথে বন্ধুত্ব তো বিতর্ক দিয়ে শুরু হয় নাই ,তবে শেষ কেন বিতর্ক দিয়ে হবে ! কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল , সম্পর্কের কোথাও একটা ছেদ পড়ে গেছে যেটা দূর হওয়া বেশ কঠিন ।
অথচ ,আমরা বিপরীত রাজনৈতিক দলের মানুষ না ,বিপরীত ধর্মাবলম্বীও না - এর জন্য স্রেফ দায়ী ফেসবুকের অনর্থক বিতর্ক । হয়ত সে কাউকে মুরজিয়া ভাবত , আমি কেন একই জিনিস ভাবছি না – তা নিয়ে বিতর্ক ,কথা কাটাকাটি ।
যেখানে বাস্তবতা হল ,আমরা দুজনের কেউই এ নিয়ে সিদ্ধান্তমূলক কথা বলার ব্যাপারে যথেষ্ট ইলম রাখি না ।হয়ত সেটা আলোচনা করার উপযুক্ত বিষয় ,কিন্তু আমরা উপযুক্ত ব্যক্তি কি না -তা আর ভাবার সুযোগ হয় নাই ।
স্রেফ মেজাজের দোষে নিজে যা জানতাম তা নিয়েই তর্ক করে গেছি । পরে দেখা গেছে বাস্তবে জাহেলদের সাথে সম্পর্ক ঠিকই আছে ,বরং দ্বীনি কিছু ভাইদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেছে । তাহলে , এই ভার্চুয়াল ‘ফেসবুকীয় দ্বীনি ইলম চর্চা’র ফলাফল টা কি হল ?
কেউ ‘ কোন বিতর্কিত আলেমের কথা পছন্দ করে বলে’ তার ব্যাপারে মনোভাব আর নাস্তিকের সমর্থকের ব্যাপারে মনোভাব,ব্যবহৃত ভাষা যদি একই হয় –
তবে মনে রাখবেন এটাই জাহিলিয়্যাহ ।
ইমানদারদের ব্যাপারে যদি , ‘all of us are equal ,but some of us are more equal than others’ এই ধরণের মনোভাব হয় – তবে মনে রাখবেন এটাই জাহিলিয়্যাহ ।