সাইমুম সিরিজ ৬১ - Saimum Series-সাইমুম সিরিজ ২০২৪ Books Review And PDF Download
থ্রিলার সিরিজ সাইমুম নিয়ে সাইমুম এর ভক্তদের লেখা সমুহ - Saimum Series-সাইমুম সিরিজ Books Review And PDF Download 2024
সাইমুম সিরিজ অনলাইনে পড়ুন:
এক সহপাঠী বন্ধু একটি বই এনে হাতে দিল। বইটি আকারে ছোট। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি একটি সিরিজ বই। নাম "রক্তাক্ত পামির"। উপরে ছোট্ট করে লেখা "সাইমুম-০৫"।
"পামির সড়ক ধরে হিসার দূর্গের দিকে তীর বেগে ছুটে আসছিল 'ফ্র' এর একটি জীপ।
সাইমুম সিরিজ ৬১
- সাইমুম সিরিজ 61 pdf
- সাইমুম সিরিজ pdf
- সাইমুম সিরিজ ৬১ pdf download
- সাইমুম সিরিজ ৬০ pdf download
- saimum series 61
রক্তাক্ত পামির শেষ হলো। পাগল হয়ে গেলাম সিরিজের শুরু থেকে নিয়ে প্রতিটি খণ্ড হাতে পাওয়ার জন্য। বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করলাম। তার কাছেও তখন আর কোনো খণ্ড নেই। অনেক চেষ্টা করেও তখনকার মতো সাইমুমের আর কোনো বই-ই পেলাম না।
একদিন তিন গোয়েন্দা সিরিজ আনতে গিয়েই হঠাৎ চোখে পড়লো "এক নিউ ওয়ার্ল্ড"। উপরে লেখা "সাইমুম-৩০"।
সাইমুম হাতে পেয়ে চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো অবস্থা হলো আমার। সহপাঠীদের ডেকে বললাম, তিন গোয়েন্দা সিরিজ বাদ দিয়ে সাইমুম সিরিজ নিই। তারা প্রথমে ইতস্তত করলেও আমার মুখে সাইমুমের প্রশংসা শুনে আর না করে নি।
প্রথম সাময়িক পরীক্ষা সামনে এলো। মাদ্রাসার নিয়ম অনুযায়ী প্রতি সাবজেক্টে গড়ে ৯০ এর উপরে নাম্বার পেলে খাবার ফ্রি।
খাবার ফ্রি করা হলো। আর প্রতি মাসের খাবারের টাকা নিয়ে চলে যেতাম বড় মগবাজার ওয়্যারলেস গেট। রফরফ বুক হাউস থেকে নিয়ে আসতাম পছন্দের সিরিজ।
সাইমুম-১ থেকে নিয়ে "রোমেলী দুর্গে" অর্থাৎ "সাইমুম-৪৬" পর্যন্ত সবগুলো বই তখন আমার সংগ্রহে।
★ ★ ★
মনটা খারাপ হয়ে গেল আমার। ভাবলাম, আমিও তো মাসুদ রানা পড়েছি। কিন্তু মাসুদ রানাকে কোনো দিক দিয়েই আহমদ মুসার চেয়ে বেশি কিছু মনে হয়নি বরং অনেক কম মনে হয়েছে।
তবে লেখকের একটা জিনিস আমার কাছে ভাল লেগেছে। সেটা হলো, আমি যেটা পড়ছি সেটা হলো "রাহবার-২"। আর "রাহবার-১" পড়ে পাঠকদের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, লেখকের কাছে পাঠানো পাঠকদের সেই মন্তব্যগুলোতে প্রায় সবাই লেখককে ধুয়ে দিলেও লেখক সেগুলো নির্দ্বিধায় বইয়ের শেষদিকে ছেপে দিয়েছেন। যেটা লেখকের স্বচ্ছ মনমানুসিকতার প্রমাণ দেয়।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আহমদ মুসার মতো করে কে ভাবেন? আহমদ মুসা তো একটা কল্পনা মাত্র! তাঁর মূলে কে?
আহমদ মুসার সকল কাজ, সকল কথা, সকল ভাবনা তো আবুল আসাদ স্যারের। মূল নায়ক তো তিনি।
স্যারের সাথে দেখা করার খুব শখ। জানি না কখনো মনের এই ইচ্ছেটা পূর্ণ হবে কি না.......
-তরিকুল ইসলাম তুহিন
নারায়ণগঞ্জ।
ফাইনাল পরীক্ষা শেষের পর আমি সেই বইয়ের সন্ধান করেছি তবে খোজ পাইনি কিছুতেই, হারিয়ে গেছে। মা জননীও আমাকে আর বইটির নাম বলতে পারে না। ক্লাস থ্রির একটা ছেলে বন্ধুদের সাথে আলোচনা করেও নাম বের করতে পারলাম না। শুধু ঘটনা মাথায় ছিলো আহমদ মুসা নামের একজন ছিল। সুরিনামে যাবার পথে পাহাড়ি রাস্তায় ওমরবঙ্গো নামের একটা মানুষের সাথে গাছে পেতে রাখা ফাঁদে আটকা পড়ে। ব্যস এতটুকুই।
বাদাম কিনলে আবার বই ছিড়ে সেটাতে করে দিচ্ছিল। ছোট একটা পুরনো বই দেখে পছন্দ হলো। সালাম ভাইকে বলেছিলাম একটু দাঁড়াও আমি তোমাকে অন্য একটা বই দিচ্ছি তুমি আমাকে এই বইটা দাও। দৌড়ে বাসায় যেয়ে মাকে বলেছিলাম মা ও মা একখানা পুরাতন বই দাও৷ মোটা একখানা গ্রামার বইয়ের পরিবর্তে ছোট সেই বইটি নিয়েছিলাম।
সাইমুম ৩২ : অক্টোপাসের বিদায় লেখক আবুল আসাদ
ছোট থেকেই গল্পের বই পড়ি। যোগাযোগ, উঠাবসা ছিল বই পড়ুয়াদের সাথেই।
দাদী-রোকাইয়েভার
মুসলিমদের অবস্থা সাইমুমের সাধারন মুসলিমদের মতই করুন। কিন্তু আমাদের মাঝে আহমদ মুসা নেই, হাসান তারিক, কুতাইবা, সালমান শামিল, সান ওয়াকাররা নেই। মাজহাব-মানহাজ এর ভেদাভেদ ভুলে এক হওয়ার কোন অদম্য আগ্রহ নেই।
সাইমুম এর সিনোনিম
৪.
সাইমুম.
আমি তখন ক্লাস ৫ এ পড়ি আমরা ৪ ভাইবোন। আমার বড় ৩ বোন আর আমি সবার ছোট। আমার ছোট বোন ইতি ইসলামিক কাহিনী টাইপের বই পড়তে খুব ভালোবাসে। আমার চাচাতো ভাই মেহেদী আপুকে অনেক বই এনে দিতো আর আপু সেগুলা পড়তো। এভাবে একদিন মেহেদী ভাইয়া আপুকে সাইমুম এর কাহিনি বলে তখন মেইবি ৩১ পর্ব পর্যন্ত বের হয়েছিল। বাট মেহেদি ভাই গ্রামে সংগে করে মাত্র দুই তিনটে এনেছিল তাও মাঝের দিক দিয়ে আপু। সেগুলা পড়েই বাকি গুলা পড়ার জন্য মেহেদি ভাই কে বলে ভাইয়া আপুকে বাকি গুলা এনে দেয় এরপর আমার আরেক খালাতো বোন তমা তাকে পড়তে বললে সেও পড়ে। তারা দিনরাত শুধু এই সাইমুম পড়তো। এভাবে আমি খেয়াল করি ওরা দিন রাত শুধু আহমেদ মুসা, আহমেদ মুসা নিয়ে গল্প করে। তার নাকি অনেক বুদ্ধি, যেখানেই যায় সবাই তার জন্য পাগল হইয়া যায় আরো এনতেন। আমি তখন ছোট। আর আমি প্রচন্ড গেম পাগল সেইজন্য বই দেখলেই রাগ উঠে। কারন নিজের বই ই ঠিক মত পড়ি না আর তো গল্পের বই। তবুও ওদের গল্প শুনে পড়ার কথা একবার ভাবলাম। পড়ে দেখি পৃষ্ঠা ২০০+🙄 ও আল্লাহ এত পড়বো কেমনে? এরপর আপুকে বললাম তোরা দিনভর খালি এই বই নিয়ে এত গল্প করিস কেন? ও বলে এইটা একটা সিরিজ এর অনেক গুলা পার্ট আছে আর আরো হচ্ছে তাই বলে আরো সাইমুমের এর বই দেখালো। আমার দেইখা হইয়া গেছে🙂 ২০০ পৃষ্ঠার ৩০,৩৫ টা বই পড়া কেমনে possible?? পড়ে আশা ছাইড়া দিলাম। যাইহোক আমার এক ফ্রেন্ড এর নাম ছিল সাইমন। একদিন কৌশিকের সাথে ওর প্রচুর মারামারি হয়। সে বাইরে বালি মাখামাখি কইরা পুরা অস্থির। পড়ে ক্লাসে ফরিদ স্যার আসলে ওদের খুব বকা দেন আর ওদের বালি মাখা শরীর দেইখা বলেন সাইমন তোমার সাথে একটা মিল পাইছি আমি সাইমন আর সাইমুম আর সাইমুম মানে হচ্ছে মরুভূমির ঝড়। যেটা নিয়ে খুব সুন্দর একটা সিরিজও আছে যেটা তোমাদের সবার পড়া উচিত বড় হয়ে। তখন আমার মনে পড়ে আপুর কথা। এরপর আমি আপুর সিরিজ থেকে একটা বই টান দেই তার নাম হলো তিয়েনশানেরওপারে ১০,১৫ পেজ পড়ে দেখি আহমেদ মুসাকে জেনারেল বরিস নামে একজন বন্ধি করে নিয়ে যাচ্ছে🙄। পড়ে ওটা রেখে দেই৷ এবার প্রথম থেকে অপারেশন তেল আবিব-১ শুরু করি। এটা শেষ করতে আমার টাইম লেগেছিল ৫ দিন। এরপর থেকে আমি সাইমুমের ভক্ত হয়ে পড়ি। এমনও দিন গেছে একদিনে দুই,তিনটেও পড়ে শেষ করছি। এভাবে ক্লোন ষড়যন্ত্র পর্যন্ত আমি বইগুলা আমি ৭,৮ বার করে শেষ করি৷ ইভেন আম্মু পড়ার বই পড়তে বললে তার মধ্যে ওটা রেখে লুকিয়ে সাইমুম পড়তাম। আর ফ্রেন্ড দের পড়তে বলতাম আমার অনেক ফ্রেন্ড কে আমি সাইমুমের ভক্ত বানিয়ে ফেলেছি। আসলেই সাইমুম এমন একটা জিনিস সে যেই হোক একবার পড়লে তার ভালো লাগবেই। এই বই থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। কিন্তু আমার একটা জিনিস খারাপ লেগেছে সেটা হল ডোনার বাড়াবাড়ি করে সারার সাথে আহমেদ মুসার বিয়ে দেওয়া🙂। এটা দেখে আমার ছোট আপু সাইমুম পড়া ছেড়ে দেয়। কারন ও তাতিয়ানার পর ডোনাকেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতো। আর আমার মতে একজন মানুষের এতগুলা বিয়ে কেমন জানি লাগে যদিও ইসলাম শরীয়ত অনুযায়ী করা যায়। তবুও এই দিক টা আমার একটু খারাপ লেগেছে শুধু আমার না আমার ফ্রেন্ডরাও বলছে। তারা আরো বলেছে সারা আহমেদ মুসাকে ভালোবাসে ঠিক আছে কিন্তু সে তো বিবাহিত। তার এইটা বুঝা উচিত ছিল যদিও এটা সত্য যে ভালোবাসা নিজের কথা মানে না তবে আমার মত ছিল আমেরিকার আহমেদ মুসার সবচেয়ে কাছের সাথী ছিল বেঞ্জামিন বেকন। তার সাথে সারা কে বেধে দিলে খারাপ হত না। যাইহোক স্যার যেটা ভালো মনে করেছিলেন সেটাই করছেন। আবুল আসাদ স্যার এর কাছে আমার একটাই আবেদন প্লিজ আপনি সিরিজটা শেষ করবেন না চালিয়ে যেতে থাকুন। আল্লাহ স্যারকে দীর্ঘজীবি করুক এই দোয়া করি.
৫.শেষ বিকেলের ট্
আড্রিয়াটিকের বেলাভূমি।
অস্তগামী সূর্যের সোনালী আলোয় বেলাভূমি একদম সোনার মতো ঝলমল করছে। একটু আগের একসাগর নীল পানিতে কেউ যেন টন টন তরল সোনা ঢেলে দিয়েছে। সঁন্ধা ছুই ছুই এই সময়টাতে সাগরমুখী হয়ে দাড়িয়ে আছে দুজন তরুণ-তরুণী। তরুণটি একসময় সাগরের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে তরুণীর দিকে তাকালো। বললো, "কি ব্যাপার জেন? তোমাকে এমন বিষন্ন দেখাচ্ছে কেনো?" চকিতে একবার জেন জোয়ানের দিকে তাকালো৷ আবার সাগরের দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো। অনেকটা ভেজা আর ধীর কন্ঠে বললো, "তুমি নিজেও যথেষ্ট মন খারাপ করে আছো। সেটা এড়িয়ে যাচ্ছো কেনো?" "আসলেই আমার নিজের মনটাও খারাপ। কতো ঘটনা-দূর্ঘটনা ঘটে গেলো। জন্মভূমি থেকে পালিয়ে এসেছি। তারপরও আল্লাহ আমাদের জন্য যেটা দিয়েছেন সেটা পেয়ে আমার হারানো কিছুর জন্য কখনোই মন খারাপ হয়না। অথচ দেখো। আজকের দিনটিতে আমরা যা হারিয়েছিলাম সেটা কখনোই পূরণ হবার নয়।" জোয়ানের কণ্ঠস্বর মনে হলো অনেক দূর থেকে অস্পষ্ট ভাবে ভেসে আসছে। "কষ্টটা আরও বেশি লাগে এইজন্য যে তারপর আর লা গ্রিনজাতে ওর কবরটা একবারও দেখতে যেতে পারিনি। অথচ এই লা গ্রিনজাকে ঘিরেই জড়িয়ে আছে ওর সাথের কতশত শৈশব স্মৃতি।" জেনের ভেজা কণ্ঠ একসময় কান্নায় রুদ্ধ হয়ে থেমে যায়। জোয়ান পাশ ফিরে দুধাপ এগিয়ে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে জেনকে। একটা অবলম্বন পেয়ে জেন যেন আরও ভেঙে পড়ে। জোয়ানের কাঁধের উপর মাথা রেখে হুহু করে কান্নায় ভেঙে পড়ে। নীরব অশ্রুর প্লাবন জোয়ানের গণ্ডদেশকেও প্লাবিত করে।
পল পল করে বয়ে চলে সময়।
এরই মাঝে সোনালী সূর্যটা কখন টুপ করে ডুব দিয়েছে। কোথা থেকে রাজ্যের কালি এসে মিশে যেন আড্রিয়াটিকের বিপুল জলরাশিকেও শোকের কালো রঙে সাজিয়ে দিয়ে গেছে।
বাতাসের ইথারে কেঁপে কেঁপে প্রশান্তিময় সুরের মধুর এক আবেশ ছড়িয়ে আইসিটিপির মসজিদ থেকে ভেসে আসে আজান।
মাগরিবের আজান। দিনের পাঁচ সময়ে পাঁচ আজানের ভাষা একদম এক হলেও ভিন্ন ধরনের, ভিন্ন স্বাদের পাঁচ রকম আবেদন নিয়ে রোজ হাজির হয়। মাগরিবের এই আজান নামাযের জন্য যেমন ডাক দেয় তেমনি ঘরে ফেরার এক আকুতিও সবার মধ্যে জাগিয়ে দিয়ে যায়। কর্মক্লান্ত সব মানুষ এই আজান শুনেই চমকে উঠে ভাবে, তাইতো৷ এবার ঘরে ফেরার সময় হয়েছে।
জেনের বাহুতে মৃদু চাপ দিয়ে জোয়ান বলে ওঠে, "চলো। ফেরা যাক।"
"হুম। মাগরিবের নামায পড়েই কিন্তু ফিলিপ ভাইয়া আর খালাম্মাকে ফোন দিতে হবে।" জেন জোয়ানের কাঁধ থেকে মাথা তুলে চলতে শুরু করে। চলতে শুরু করে জোয়ানও। পাশাপাশি হাটতে হাটতে নিজের মুঠোর মধ্যে জেনের হাতটা পুরে নিয়ে বলে ওঠে, "অবশ্যই।"
শেষ বিকেলের ট্
ফোকাসের বাইরের সাইমুম সাইমুম আমায় যা শিখিয়েছে পর্ব-১
সাইমুম পড়া শুরু করি অনেক অনেক আগ থেকে, সময় বয়ে যায় নিজের স্রোতে কখনো থেমে থাকেনা বয়সও থেমে থাকেনি, সেই ছোট্ট ফ্রক পরা খুকি থেকে আজ পূর্ণ যৌবনে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে সাইমুমও আমায় সঠিক পথের দিশা রেখে প্রতি কদমে সাহায্য করে এতদূর এসেছে ।
সাইমুমের সাথে পথচলা শুরু কিন্তু সেই খুকি থেকেই, তখন থেকেই সাইমুমকে চিনি, ফারজানা, শিরি, হাসান তারিক, মাহমুদ, এহসান সাবরী, সাবেরা এরা আমার ছোট বেলার কল্পনার সাথী ।
চলার পথে সাইমুম আমায় কিছু খুব ভালো অভ্যাস উপহার দিয়েছে যার মধ্যে অন্যতম স্রষ্টার প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস । আমি এমন এক শহরে বড় হয়েছি যেখানে ঈশ্বরকে মানুষ মুখেও আনেনা, ঈশ্বর প্রতিটি জীবের অন্তরেই থাকেন কিন্তু তাকে মুখে নিয়ে স্বরণ করার জন্য যে আবহাওয়া দরকার তা আমি পরিবেশ থেকে পাইনি । পেয়েছি আমার পরিবার আর সাইমুম থেকে ।
অবাক হয়ে যেতাম যে কিভাবে একটা মানুষ এভাবে আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা রাখতে পারে, যদিও ফিকশন এটা কিন্তু ফিকশন হলেও এর জন্য তো বাস্তব উপাদান থাকতে হবে সেটা ভেবেই আমি হয়রান হয়ে যেতাম আল্লাহর প্রতি আস্থা রেখে চলে কিভাবে?
নিজে যখন এটা প্রাকটিস করা শুরু করলাম আমার জীবন বদলে গেল, এখন কীবোর্ডের উপরে অশ্রু ঝড়ছে কেবল সেসব দিনের কথা ভেবে যে আমি ক্লাসে বুলিং এর স্বীকার হয়েছি কিন্তু মনে মনে বলেছি আমার আল্লাহ তো দেখেছেন, তিনি তো জানেন আমার কোনো দোষ ছিলো না । আমার মন হালকা হয়ে যেত ।
একা একা ঘুরতে গেলে ভয় পেলে ভাবতাম আমার সাথে তো ইব্রাহীমের প্রভূ আছেন, তিনি তো আমায় দেখে রাখছেন যেভাবে তিনি ইসমাইকে দেখে রেখেছিলেন । তিনি মহা শক্তিমান তার অসাধ্য কিছুই নেই ।
জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই এই অভ্যাসের ভালো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি ।
বই পড়ার অভ্যাস তৈরিতে সাইমুম আমায় কতটা সহযোগিতা করেছে তা ভাবলেও মাথা নুয়ে আসে ।
রাশিয়া পড়ুয়াদের দেশ, এখানে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে মানুষ গল্প করার চেয়ে পড়তে ভালোবাসে কিন্তু এই অভ্যাস ছিলো না, আমি ছোটবেলায় অনেক কম পড়তে চাইতাম, শুনতে চাইতাম বেশি । আম্মিকে দিয়ে বই পড়াতাম আর শুনতাম, এর কারণ ও ছিলো আমি বাংলা আর রাশিয়ান বাদে পড়তে পারতাম না, বেশ দেরী করেই ইংরেজী শিখেছি আমি তারপরে ধীরেধীরে অন্য ভাষাগুলি শিখেছি । কিন্তু বাসায় বেশিরভাগ বই ছিলো ইংরেজীতে তারপরেই বাংলা একদম কম রাশিয়ান বই ছিলো, আম্মি রাশিয়ান পড়তে পারতেন না ভালোভাবে তাই বাসায় ওই বইগুলি কম থাকতো ।
একদিন দেখলাম আহমদ মুসা অনেক বেশি পড়ে তাই সে জানে, ব্যাস জিদ চেপে গেলো আমিও পড়বো তার মত, আমিও জানবো তার মত! সে পারলে আমি পারবো না কেন?
সেই যে বই পড়া শুরু! এখনো সে ধারা চলছে এবং স্পেনে ঘুরতে এসেও কয়েকটা বই পড়ে ফেলেছি স্প্যানিশ কালচার সিভিলাইজেশ্যন নিয়ে ।
অনেক শীত লাগছে এখন আর ব্লাংকেটের বাইরে থাকা যাবে না, আরেকদিন বাকি কথা লিখবো
মালাগা, স্পেন ।
২০২০-০২-১১
- Rashida Nazneen
|