১০ মিনিট স্কুল আয়মান সাদিক ও তাদের গ্যাং এর সমকামিতা ছড়ানো এবং ইসলাম বিদ্বেষী এজেন্ডা।

টেন মিনিট স্কুলের আয়মান সাদিক ও তাদের গ্যাং এর ইসলাম বিদ্বেষী এজেন্ডা। আমাদের করনীয় কি? 


বিঃদ্রঃ লেখার নিচে মূল লেখকের নাম দেওয়া আছে। লেখক যদি ব্লগ থেকে লেখা রিমুভ করতে চাই তাহলে আমাদের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

এবং এই লেখার সাথে ব্লগ অথরিটি একমত না আবার দ্বিমত ও না!

আমরা আমাদের পাঠকদের কাছে লেখকেদের লেখা একত্রে পৌছাতে আগ্রহি যাতে পাঠকগন চিন্তা করতে পারে এবং সত্য বুঝতে পেরে সতর্ক হয়।
ধন্যবাদ। 


আরো পড়ুনঃ 
আয়মান সাদিক - বাঙ্গালির আবেগ নিয়ে খেলা
প্রিয় ব্যক্তিত্বদের এখন আর পছন্দ হয় না! কেন?


১০ মিনিট স্কুলের ফাউন্ডার আয়মান সাদিক। তার প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলের ইউটিউব চ্যানেল বা ফেইসবুক পেইজ থেকে সাকিব বিন রশিদ, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা (গায়ক তাহসান খানের সাবেক স্ত্রী) ইত্যাদি সেকুল্যার লিবারেলদের ভিডিও আসে। সেই ভিডিওতে সূক্ষভাবে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়কে আঘাত করা হয়।





বাবা মারা কেন মেয়েদের সন্ধ্যার পর ঘরের বাহিরে থাকতে দিতে চান না, কেন ঢাকার বাইরে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে দিতে চান না ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বাবা মাদের সমালোচনা করা হয়। ছেলে মেয়েদের পোষাক আশাকে কেন পার্থক্য করা হবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
.
১০ মিনিট স্কুলের বাচ্চা কাচ্চাদের উদ্দেশ্য ভিডিও বানিয়ে কনসেন্ট (সম্মতি) শেখানো হয়। যদি দুইজন ছেলে মেয়ে দুইজনেরই কনসেন্ট থাকে তাহলে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হবে সুন্দরতম এক মুহূর্ত । আর সম্মতি না থাকলে তা হবে ধর্ষণ- পশ্চিমা ফ্রি সেক্সের এই লাইন গুলো বাচ্চাদের শেখানো হয়।
.
অর্থাৎ বিয়ে করার দরকার নাই, সম্মতি থাকলেই যে যার সাথে বিছানায় চলে যাবা ইত্যাদি সবক দেওয়া হয়।
.
সেই সাথে ট্যাবু ভাঙ্গার নামে পিরিয়ড নিয়ে ভিডিও বানানো হয়েছে। ইনিয়ে বিনিয়ে বলা হয়েছে বাবা ভাই চাচা বন্ধু সবাইকে পিরিয়ডের কথা জানাতে হবে।


Read More:  মুসলিম নাকি কাফের হতে চান?
.

সমকালীন ইস্যুতে পুরো সমালোচনাটাই ছিল যৌক্তিক। অল্প কিছু অযৌক্তিক কর্মকাণ্ড বিচ্ছিন্নভাবে হয়েছে। প্রোপাগান্ডাময় ভিডিও, পত্রপত্রিকায় নিউজ ইত্যাদি দেখে আজকে যারা জাতে উঠার জন্য পুরো ভ্যালিড সমালোচনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে এবং মাদ্রাসার বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো সামনে এনে জল ঘোলা করার অপপ্রয়াস করছে তাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখার সুযোগ নেই যে তারা আয়মান সাহেবকে আপোষহীন দাওয়াত দিয়ে দ্বীনের পথে ফেরাতে পারবে। এর মাধ্যমে ইসলামের জাত বেঁচে যাচ্ছে এমন কোন ব্যাপারও নয়। তারা আদতে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পশ্চিমা একটা চাপের জায়গা থেকে এমন নতজানু আচরণ প্রকাশ করছে। প্রোপাগান্ডাময় ভিডিও নিয়ে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিডিয়ার নিউজ নিয়ে তাদের কোন বক্তব্য আপনি পাবেন না।



এই আচরণ একদিকে আয়মান সাহেবকে প্রকৃতপক্ষে ইসলামের দিকে আসার পথ তৈরি করবে না। বরং তাকে এমন এক পোশাক পরিধানের সুযোগ দিবে যেখান থেকে পশ্চিমা স্বার্থরক্ষাকারী এক ইসলাম প্রচারের ফিগার হিসেবে কাজ করা আরো সহজ হবে। অপরদিকে ইসলামী অঙ্গনে মিডিয়ার চাপকে আরো প্রাসঙ্গিক করে তুলবে এবং তাদেরকে টেনে আরো আপোষের দিকে নিয়ে যাবে। বিষয়টা পরিকল্পিতভাবে হবে এমন না। এটা বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের গতিপথ।


মাদ্রাসার ইস্যু এবং সম্প্রতিকালে ইমাম (আলেম না) কর্তৃক ধর্ষণের নিউজ নিয়ে সুশীলদের তৎপরতাটাই লক্ষ্য করুন। যেন আলেম সমাজ এই বিষয়গুলো সঠিক এবং অধিকার মনে করে। দুইটা ইস্যু যে এক নয় ধর্ষণ নিয়ে করা নিউজটাই এর প্রমাণ। নিউজে এটাকে অপরাধ হিসেবে দেখানো হয়েছে এবং তার জন্য ইমামকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। কোন আলেম কি এই গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করেছেন? না। কিন্তু সমকালীন ইস্যুতে যাদের ব্যাপারে অভিযোগ করা হচ্ছে তাদের অপরাধী মনে করা হয় না এবং তাদের বিচারের সম্মুখীন হওয়ারও আশংকা নেই। বরং অভিযোগকারীই যেন অপরাধী এবং তারাই বিচারের সম্মুখীন হওয়ার মত অবস্থা। দুই মেরুর পার্থক্য না বোঝাকে আপাতত বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব ছাড়া অন্য কোন ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।


তারা যে নীতিবাক্য শোনায় যে, কাউকে দূরে ঠেলে দিবেন না- এইসব শ্রুতিমধুর কথার উদ্দেশ্য দাওয়াহ না। কারণ তাদের তৎপরতায় আপনি ইসলামের দাওয়ার ছাপ দেখবেন না। দেখবেন শিকারীর কথা বলে শিকার হয়ে যাওয়ার নির্মম এক গল্প। এই গল্পের ফাঁদে আটকে যায় বুদ্ধিজীবী নামে পরিচিত অনেক ব্যক্তি। আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয় কিছু আলেম সাহসী এবং যথার্থ ভূমিকা পালন করেছেন।এদের মধ্যে শাইখ আহমাদল্লাহ এবং আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ সাহেব উল্লেখযোগ্য। ইসলামের আপোষহীন দাওয়ার উদ্দেশ্য এবং তৎপরতা ছাড়া জাতে উঠার গল্পের ফিনিশিং এটাই যে, শিকারী দাবি করে শিকার হয়ে বসা
- Iftekhar Sifat


একজন ইসলাম প্রিয় মানুষ, বা ইসলামের প্রতি সফট কর্নার আছে এমন মানূষ কীভাবে সাকিব বিন রশিদের মতো মানুষকে নিজের চ্যানেলে ফ্লোর দিতে পারে? কীভাবে প্রমোট করতে পারে?
.

জনাব আয়মান সাদিক যদি ইসলাম প্রিয় মানুষ হতেন তাহলে তিনি কেন তার প্রতিষ্ঠিত ১০ মিনিট স্কুল থেকে সাকিব বা মিথিলার এধরণের ভিডিও পাবলিশ হতে দিলেন?
.
১ টা দুইটা নয় বরং বেশ কিছু এধরণের ভিডিও তার প্রতিষ্ঠিত প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি এতোগুলো ভিডিও সম্পর্কে অজ্ঞ, তার অজান্তেই ভিডিওগুলো প্রকাশিত হয়েছে এ যুক্তিও ধোপে টিকছেনা।
.
তাহলে আমরা যদি আয়মান সাদিককে নিয়ে ২ এ ২ ৪ মিলিয়ে ফেলি তাহলে কী কোনো ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হবে?
.
যদি আমরা মনে করি যে আয়মাদ সাদিক নব্য ক্রুসেডারদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তার প্রতিষ্ঠিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। যদি আমরা মনে করি হাসিহাসি সাদাসিধে সরল ভোলাভোলা মুখ করে থাকলেও তরুণ যুবকদের মাঝে জিনা ব্যভিচার , জেন্ডার কনফিউশন, ফ্রি মিক্সিং ইত্যাদি ছড়ানোর তরূপের তাস হিসেবে কাজ করছেন তাহলে কী খুব ভুল হবে ?
বয়কট ১০ মিনিট স্কুল

কেনো আইমান সাদিককে নিয়ে কথা বলছি?-তানভীর হায়দার 





কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে কমনওয়েলথ সংগঠন চাচ্ছে যে নারী ও শিশুদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি সমকামীদেরও অধিকার নিশ্চিত করতে।

এজন্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশ থেকে কমনওয়েলথ সংগঠন তরুণ লিডার বাছাই করে।আমাদের বাংলাদেশে শিক্ষাদানের পাশাপাশি লিবারেলিজম এর প্রচার-প্রসারের কারণে রবি টেন মিনিট স্কুল সবার নজরে আসে।মিডিয়া সবসময় তাদের প্রমোট করতে থাকে।

যার কারণে আইমান সাদিক সহজে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের নজরে আসে।এরপর সে রাণীর কাছ থেকে বাংলাদেশের হয়ে তরুণ লিডারের পুরষ্কার পায়।

পুরষ্কার বিনিময়ের মাধ্যমে কমনওয়েলথ সংগঠন কমনওয়েলথভুক্ত বাংলাদেশ থেকেও একজন তরুণ প্রতিনিধি(আইমান সাদিক)পেয়ে গেলো।



ইসলাম বিদ্বেষী সুশীল কলা বিজ্ঞানি  সারাবছর শুকর পাঠা খাওয়া কাফেররা কোরবানি এলেই পশুপ্রেমি হয়ে যায় কেন? 


ফলে এদেশের সমকামীদের কমিউনিউটিতে কমনওয়েলথ সহজে ঢুকে পড়ে।যেমনঃ সাকিব,মুনতাজিদ সমকামীদের সাপোর্ট করে বসে প্রকাশ্য।


আর আইমান সাদিক এ বিষয়ে সুক্ষ্মভাবে খেলাটা খেলে নিরবে।সমকামী বিষয়ে তার নিরব থাকাটাই ২+২=৪ মিলিয়ে দিচ্ছে।





সমকামিতার ব্যাপারে কমনওয়েলথের অবস্থানঃ https://www.thercs.org/pages/category/reform53

আইমান সাদিকের ফলোয়ার দেশের লাখো শিক্ষার্থী।ফলে সে শিক্ষকদের ছাড়াও যাদেরকে সাথে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে তারা শিক্ষার্থীদের কাছে আরো ভালোভাবে প্রমোট হয়ে যায়।

তার এরকমও ভিডিও আছে যেখানে নারী পুরুষের মধ্যেকার ফ্রী-মিক্সিং বিষয়গুলো দেখা যায়।

সেই সাথে ট্যাবু ভাঙ্গার নামে পিরিয়ড নিয়ে ভিডিও বানানো হয়েছে। ইনিয়ে বিনিয়ে বলা হয়েছে বাবা ভাই চাচা বন্ধু সবাইকে পিরিয়ডের কথা জানাতে হবে।

একজন ইসলাম প্রিয় মানুষ, বা ইসলামের প্রতি সফট কর্নার আছে এমন মানূষ কীভাবে সাকিব বিন রশিদের মতো মানুষকে নিজের চ্যানেলে ফ্লোর দিতে পারে? কীভাবে প্রমোট করতে পারে?

জনাব আয়মান সাদিক যদি ইসলাম প্রিয় মানুষ হতেন তাহলে তিনি কেন তার প্রতিষ্ঠিত ১০ মিনিট স্কুল থেকে সাকিব বা মিথিলার এধরণের ভিডিও পাবলিশ হতে দিলেন?

কথিত ইসলাম প্রিয় আইমান সাদিক শিক্ষাদান ছাড়াও কাদের সাথে ভিডিও বানায়?


উত্তরঃ
★সমকামিতাকে সাপোর্টকারী শাকিব ও মুনতাজিদের সাথে(এটার লিংক না দিলেও চলবে 🧐)

★বিতর্কিত বাংলিশ লেখক রাবা খান ও শৌমিকের সাথে https://www.facebook.com/aymansadiq10/videos/909348799526745/?app=fbl

★অশ্লীল গানের যোগানদাতা সালমানের সাথে https://www.facebook.com/aymansadiq10/videos/276262830392513/?app=fbl

★অশ্লীল গানের যোগানদাতা সৌভিকের সাথে https://www.facebook.com/aymansadiq10/videos/665586897358201/?app=fbl

★সমালোচিত ও বিতর্কিত অভিনেত্রী মিথিলার সাথে https://youtu.be/zw7CtI9jB1U

★বিতর্কিত নাটক ব্যাচেলর পয়েন্টের অভিনেতা শামিমের সাথে https://www.facebook.com/aymansadiq10/videos/1504522806387377/?app=fbl

★ড্যান্সার রিধি শেইখের সাথে https://www.facebook.com/aymansadiq10/videos/530447694285645/?app=fbl

সোহাগ ভাইয়ের সাথে আইমানের করা ভিডিও ও ওর করা রমাদানের ভিডিও ইত্যাদি+ওর শিক্ষাদানের কার্যক্রম দেখেই ওর অন্ধ ভক্ত হয়ে গেলেন?

আচ্ছা ভাবুনতো অন্যরকম পাঠশালা এসএসি ও এইচএসসির বিষয়গুলো তথা বইয়ের অধ্যায়গুলো নিয়েই শুধু ভিডিও বানায় এর বাহিরে অন্য কোনো টপিক তাদের ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যায়না।

কিন্তু অপরদিকে 10 minutes school কি এমন নৈতিকতা শিখেছে যে শিক্ষাদানের(স্কুল ও কলেজের বইয়ের পড়াগুলোকে বুঝিয়ে দেয়) পাশাপাশি লিবারেলিজমের ধ্যাণ-ধারণা শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়!

কুরআন থেকেঃ

"খারাপ কাজে কাউকে কোনো ধরণের সাহায্য করবে না" [৫ :২]

"তোমার যা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নেই, তার অন্ধ অনুসরণ করবে না" [১৭:৩৬]

"কথা বলার সময় কারও পক্ষপাতিত্ব করবে না,সেটা যদি নিকট আত্মীয়ের বিরুদ্ধেও হয়" [৬:১৫২]

"যারা আল্লাহর বাণীকে গুরুত্ব দেয় না,তা নিয়ে অবহেলা করে, হাসি-ঠাট্টা করে তাদের কাছ থেকে সরে যাবে" [৬:৭০]

বাংলাদেশে তরুনদের মাঝে সমকামিতা ছড়ানোর জন্য পশ্চিমাদের দেশিও বাহন ১০ মিনিট স্কুল 





রবি টেন মিনিট স্কুলের একজন ট্রেইনার সমকামী অধিকার নিয়ে নিজের টাইমলাইনে পোস্ট দেয়ার পর টেন মিনিট নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। 

সমকামিতা ছাড়াও নারী স্বাধীনতা, ধর্মীয় প্রভাব ও বিশ্বাস নিয়ে তাদের অবস্থান আরো ভয়াবহ। কিন্তু আমাদের সমাজে সেগুলো অনেক স্বাভাবিক হয়ে গেছে। 


ফলে তাদের সেই সমস্যাগুলো সামনে আসার পর তেমন আলোচনা হয়ত হয়নি। কিন্তু সমকামিতা আমাদের সমাজে এখনো অস্বাভাবিক ব্যাপার। তাই বিষয়টা সবারই দৃষ্টি কেড়েছে।


আমি বিষয়টাকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছি না। বরং এই প্রতিবাদের ঝড়কে অত্যন্ত ইতিবাচক মনে করছি তরুণ সমাজের জন্য আলহামদুলিল্লাহ।

Read More: মোটিভেশনাল স্পীকার ও মুদ্রার আরেকপিঠ

 শাইখ মোস্তফা আস সিবাঈ রহিমাহুল্লাহ বলেছিলেন,আল্লাহর অনেকগুলো তরবারি আছে। যেগুলো দিয়ে তিনি জালিমদের গর্দান কাটার ব্যবস্থা করেন। তার মধ্যে একটি হল, জালেমদের ভুল ও নির্বুদ্ধিতা।

শাইখ আবু ক্বাতাদা ফিলিস্তিনি হাফিজাহুল্লাহ বলেন, জালেমের ভুল ও নির্বুদ্ধিতার মত শক্তিশালী কোন মাধ্যম নেই যেটা তার অস্তিত্বকে সংকটে ফেলে দেয় এবং তাকে ধ্বংস করে।

প্রকাশ্যে সমকামিতার পক্ষ নেয়া টেন মিনিটকে এরকম সংকটেরই মুখোমুখি করতে যাচ্ছে যদি তারা সংশোধন না হয়। 

তবে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল, সমকামিতার ইস্যুতে সীমাবদ্ধ না থেকে তাদের অন্যান্য ভয়াবহ চিন্তাধারাগুলো আলোচনায় আনা। যেই বিষয়গুলো অলরেডি তারা স্বাভাবিক করে ফেলেছে সেগুলো নিয়ে আরো সরব হওয়া।


টেন মিনিট নিয়ে প্রথম যেদিন পোস্ট করেছি সেদিন অনেকেই আয়নান সাদিক সাহেবকে টেনে এনে টেন মিনিটের পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন।

 আমি এতোদিন পর্যবেক্ষণে ছিলাম আয়মান সাহেব আমাদের আলোচনাকে আমলে নেন কিনা। কিন্তু দেখতে পেলাম তিনি ডেমকেয়ার। তাই তাকে লিবারেলদের পৃষ্ঠপোষক বলা যায়। 

আজকে তাকে নিয়ে একটু আলাপ করি। কদিন আগে পিরিয়ডের টেবু ভাঙ্গা নিয়ে খুব আলোচনা হয়েছে। আসলে টেন মিনিট এই সম্পর্কে ২ বছর আগেই ভিডিও করেছিল। 

নতুন করে সাকিব বিন রশিদ গরম ইস্যু হিসেবে ভিডিওটা সামনে এনেছে নিজ টাইমলাইন থেকে। এটা টেন মিনিটেরই ভিডিও। 

তাছাড়া চলতি বছরে আয়মান সাদিক নিজ টাইমলাইনে একটা ভিডিও শেয়ার দেয় সাথে দুই তরুণীকে নিয়ে। সেই দুই তরুণীকে সে আইডল হিসেবে সামনে আনে।

 তারা সমাজে পিরিয়ড নিয়ে ট্যাবু ভাঙ্গা ও সমাজে পশ্চিমা নারী স্বাধীনতা নিয়ে নিজেদের কার্যক্রমের সফলতার গল্প শোনাচ্ছে। 

দর্শকদের এই ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। আর আয়মান সাহেব উৎসাহ দিচ্ছেন।

আয়মান সাদিক এবং সাকিব বিন রশিদের সম্মিলিত লেখা বই "লোকে কী বলবে"। এটা বেস্ট সেলার বইগুলোর অন্তর্ভুক্ত। বইটির ৬০-৬৩ থেকে বিবাহিত মেয়েদের জব নিয়ে জঘন্য রকম আলোচনা আনা হয়েছে। 

আবার হযরত খাদীজা রাঃ এর প্রসঙ্গ এনে সেটাকে ইসলামী বানানোরও চেষ্টা করা হয়েছে। শিশু লালন পালন ও তাদের গড়ে তোলার প্রতি মেয়েদের ধারণা নেতিবাচক করার জন্য উস্কে দেয়া হয়েছে। 

কাজের লোক দিয়ে শিশু প্রতিপালনের প্রতি কেমন জানি উৎসাহ দেয়া হয়েছে। কী জঘন্য চিন্তাভাবনা! কদিন আগেও আমরা বেশ কিছু ভয়াবহ কেইস দেখিছি। 

কাজের লোক দিয়ে শিশুপ্রতিপালন কোন সভ্য পিতামাতা চিন্তাও করতে পারে না। মহান আল্লাহ তা'য়ালা মেয়েদের ভরণপোষণের দায়িত্ব পুরুষদের উপর দিয়েছেন।

 এটাকে তারা পরনির্ভরতা হিসেবে দেখাচ্ছে। মেয়েদের উপর পুরুষের খোদাপ্রদত্ত অভিভাবত্বকে কোন মুসলিম মেয়ে পরাধীনতা হিসেবে দেখতে পারে না। সে কেবল তখনই সমস্যা অনুভব করতে পারে, যখন পুরুষ তার অভিভাবকত্বে ত্রুটি করবে। কোন পুরুষ যথাযথ অভিভাবকত্ব পালন করলে সেটা নারীর জন্য পরাধীনতা নয়, তার জন্য রহমত।

বিয়ের পর কিংবা আগে বাহিরে পরপুরুষদের সাথে জবের ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়তের বিধান একেবারেই সুস্পষ্ট। আবার বিয়ের পর স্বামীর অনুমোদন থাকাও শর'য়ী দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ। 

খাদিজা রাঃ বিয়ের আগেই ব্যবসায়ের দায়িত্ব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে অর্পণ করে দেন। প্রথমত ইসলামী শরীয়ত তথা ওহী নাযিলের আগেই খাদিজা রাঃ নিজেকে ব্যবসা থেকে গুটিয়ে নেন। আবার পর্দার ব্যাপারে সুস্পষ্ট বিধান এসেছে মদীনাতে এসে। মক্কাতে না। সুতরাং খাদিজা রাঃ কোনভাবেই ফেমিনিস্ট সিসদের জন্য দলিল হতে পারে না।

 প্রয়োজনের তাগিদে না, নিছক শখের কারণে জবের ক্ষেত্রে ফেমিনিস্টরা আম্মাজান খাদিজা রাঃ কে দলিল হিসেবে ব্যবহার করে। যেখানে স্বামী নারীর স্বনির্ভরতার প্রধান পরিপূরক সেখানে নারীর স্বনির্ভরতাকে তারা কেবল পুঁজির উপর ছেড়ে দিচ্ছে, সংসারের বিরুদ্ধে উস্কে দিয়ে।

 তাদের কাছে নারীর মাতৃত্ব ও জাতিগঠনের কাজের কোন মূল্যায়ন নেই। পুঁজির বাজারে নারীদের ছেড়ে দিতে পারলেই নারীর অধিকার বাস্তবায়িত হয়। 

অথচ একজন নারীর ক্যারিয়ার তার মাতৃত্বে, তার সংসারে। সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে তার এই ভূমিকা কোন মূল্য দিয়ে কেনা যাবে না।

যাইহোক সমাজে তাদের প্রভাব ভয়াবহ পর্যায়ে বলা যায়। আমরা এতোদিন বিষয়টা ভেবে দেখিনি।

 কিছু ভাই বলেন, তরুণরা তো কেবল তাদের একাডেমিক পড়াশোনার সাথে সম্পৃক্ত টপিকগুলো উপকৃত হয়। না ভাই, কথাটা মোটেও বাস্তব না।

 অনেক ছেলেমেয়ে তাদের লিবারেল ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে এসব টপিক নিতে গিয়ে, তাদের ভ্রান্তি নিয়ে আমরা আলাপ না করার কারণে। সম্প্রতি সমকামিতার ইস্যুতে বিষয়টা আরো ভয়াবহ হিসেবে সামনে এসেছে। এতো জঘন্যতম একটা অপরাধ এবং সুস্পষ্ট হারাম বিষয়কে অনেক তরুণ সমর্থন করছে সেই সেলিব্রিটির প্রতি সফট অবস্থান থাকার কারণে।

তারা সেখানে লাভ রিয়েক্ট করছে। নাঊযুবিল্লাহ। বিকপ্লের দোহাই দিয়ে কেউ আলোচনা বন্ধ করতে আসবেন না ভাই। বিকল্পই একমাত্র সমাধান না। বিকল্প তৈরির আগেও কিছু কাজ থাকে। 

তাছাড়া এই আলোচনার দ্বারা তরুণদের সচেতনতা তৈরি হবে। তারা নিজে বিকল্পের জন্য অস্থির হবে এবং আপাত তাদের একাডেমিক কন্টেন্ট নিতে গিয়ে লিবারেল হয়ে যাওয়া থেকে সাবধান থাকবে।

 সাথে সাথে এই সব লিবারেল প্রতিষ্ঠান ও সেলিব্রিটিরা নিজেদের অডিয়েন্স হারানোর ভয়ে হয়ত কিছুটা বিরত হবে। 

অন্ততপক্ষে একটা ভীতি, আশংকা কাজ করবে। এটাও লিবারেজমের বিরুদ্ধে একটা ভাল অর্জন হতে পারে।
- Iftekhar Sifat







জনাব আয়মান সাদিক আজকে বিকালে তার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে 'দয়া করে বাঁচতে দিন' শিরোনামে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন।

 ভিডিওটিতে তিনি ভারাক্রান্ত মনে আকুতি ভরে বেশ কিছু কথা বলেন। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন । ভিডিও বার্তার কথা নিয়েই আমাদের আজকের ক্ষুদ্র আলাপ।

আয়মান সাদিক সেখানে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বারবার দাবি করেছেন তাকে খুন করতে বলা হচ্ছে। আয়মান সাদিক বলেন, "ফেসবুক ইউটিউব সব জায়গায় আমাকে মেরে ফেলা কথা বলা হচ্ছে, টেন মিনিট স্কুলের অনেক মানুষ জনকে মেরে ফেলা কথা বলা হচ্ছে, ইনডাইরেক্টলি নয় ডাইরেক্টলি বলা হচ্ছে এই মুরতাদকে যেখানে পাবেন তাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিবেন, শত শত না হাজারে হাজারে মানুষ তা শেয়ার করছে।"

আয়মান সাদিক সাহেবের কাছে প্রথম জিজ্ঞাসা থাকবে কোথায় আপনাকে খুন করার কথা বলা হচ্ছে ? আর হাজার হাজার মানুষ তা শেয়ার দিচ্ছে! সত্যি কথা বলতে আমরা কোথাও এমন পোস্ট দেখেনি, হাজার হাজার শেয়ারের পোস্ট তো দূরের কথা । আমাদের চোখে পড়েনি বলেই যে নেই, তা বলছি না, সত্যিই থেকে থাকলে আপনারা আশা করি এ জাতীয় পোস্ট ভিডিও'র প্রমাণস্বরূপ লিংক দিবেন।

কেননা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরাও অবস্থান নেবো ইনশাআল্লাহ। মুসলিমরা কখনোই জুলুমের পক্ষ নিতে পারে না। আর যদি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো সাধারণ মানুষ বা বিশেষ কোনো মহলের সহানুভূতি বা কৃপাদৃষ্টি পাওয়ার জন্য এমন বানোয়াট কথা বলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপপ্রয়াস চালান তাহলে আমাদের বলার কিছু নেই।

দ্বিতীয়ত আপনি খুব ভারাক্রান্ত কন্ঠে বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে এমন করা হচ্ছে কারণ আমি আমার ধর্মের হিসেব দেইনি, যে ধর্মের হিসাব দেয়ার কথা একমাত্র যাস্ট আল্লাহর কাছে তা আমাকে পাবলিকলি সবার কাছে দিতে হবে।

এরপর তিনি বাধ্য হয়ে নিজের ধর্মের হিসেব দিয়েছেন , "আমি মুসলিম, ধর্ম পালনের চেষ্টা করি।"

নিজের ধর্মের পরিচয় অর্থাৎ কোন ধর্মের অনুসারী যেমনটা আয়মান সাদিক নিজেকে মুসলিম দাবি করেছেন ‌। এটা কেবলমাত্র আল্লাহকে বলতে হয় এটা কোথায় পেলেন! কালেমায়ে শাহাদাত প্রকাশ্যে পাঠ করেই মানুষকে মুসলিম হতে হয় ( যদি প্রাণনাশ বা বিপদের আশংকা না থাকে) এছাড়া আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্রে কী ধর্মের পরিচয় দিতে হয়নি? আপনি মুসলিম তাহলে মুসলিম পরিচয় দিতে এতো সংকোচ কিসের। আল্লাহ তায়ালা তো কোরআনে মুসলিম বলে পরিচয় দিতে বলেছেন।

আর আপনি কী ভাষায় বাঙালি বা ভূখণ্ডে বাংলাদেশি পরিচয় দিতে সঙ্কোচবোধ করেন! তা না হলে ধর্মে মুসলিম পরিচয় দিতে এতো হীনমন্যতা কেন ? আর যদি বলেন আমলের হিসেব, সেটা আপনার কাছে কে চেয়েছে জানাবেন!

অনেক অবশ্য জানতে চেয়েছে আপনার সহকর্মীদের মত আপনিও সমকামিতা সাপোর্ট করেন কিনা ! সেটা জিজ্ঞাসা করা কি অমূলক? আর এতো বছর পর মানুষ কেন আপনার ধর্ম নিয়ে দ্বিধান্বিত সেটাও তো আপনার আত্মজিজ্ঞাসায় থাকা উচিত। আর আপনি জানালেন আপনার সহকর্মী ও ঘনিষ্ঠ মানুষ সমকামী সাপোর্টার শামির মোন্তাজিদ একজন বিধর্মী । অর্থাৎ সে ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়েছে। আবার তাকে সাপোর্ট দিচ্ছে আপনার আরেক সহকর্মী সাকিব বিন রশিদ।

এমন মানুষদের সাথে আপনার ঘনিষ্ঠতা থাকায় মানুষ আপনাকেই তো প্রশ্ন করবে ! কেননা আপনার মাধ্যমেই তারা মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। আবার আপনার প্রতিষ্ঠানেই তারা কর্মরত। সাকিব, মিথিলা যেসকল ভিডিও নিয়ে বিতর্ক হয়েছে এবং যেগুলো আপনি সরিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন। সে সকল অপবিদ্যা ও বেহায়াপনা প্রচারের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান যেহেতু জড়িত তাই সেক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য চাওয়া কী অন্যায়?

কুইন্স ইয়ুথ লিডার এওয়ার্ড নেয়া, কোন সংস্থার বা কাফেরদের এজেন্ট বা মিশনারি না হওয়া নিয়েও আপনি অনেক আবেগঘন কথা বলেছেন, পৃথিবীর কে কোন দেশে কে কী করলো তার(শামির) জন্য আপনাকে বক্তব্য দিতে হবে কেন জানতে চেয়েছেন, ভিকটিম হয়ে কেন আপনাকেই বক্তব্য দিতে হবে সেটাও কেন জানতে চেয়েছেন ।

আপনার এই প্রশ্নের উত্তরের দিতে একটি ছোট্ট গল্প বলি আশাকরি উত্তর পেয়ে যাবেন।
" জনাব ঝটকু একটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। ঝটকুর স্কুলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে , বেশ কয়েকজন শিক্ষকও রেখেছেন তাদের পাঠদানের জন্য। কয়েকবছর পর ঝটকুকে আন্তর্জাতিক টেরোরিস্ট সংগঠন আইএস তাদের দখলকৃত ভূমিতে আমন্ত্রণ জানালো একটি পুরস্কার গ্রহণের জন্য। ঝটকুও আইসিসের দখলকৃত ভূমিতে চলে গেল আইএফ খলিফা বাগদাদী থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করতে। প্রথমে ঝটকুকে কয়েক মাস আইএস, নেতৃত্বের উপর বিশেষ ট্রেনিং দিলো। তাদের একটি অঙ্গ সংগঠনের হয়ে কাজে নিয়োগ দিলো।

এরপর ঝটকু দেশে ফিরে আবার তার স্কুলে কাজ করতে শুরু করলো, এর কিছুদিন পর দেখা গেলো ঝটকুর এক বন্ধু ও প্রতিষ্ঠানের সহকর্মী আইসিসের ভূমিতে চলে গেলো। এবং আইসিসের অন্যায় কাজের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করলো এবং তাতে সমর্থন দিতে দেখা গেলো ঝটকুর স্কুলের আরেক শিক্ষককে । ঝটকুকেও একদিন দেখা গেলো সে শিক্ষকের দেয়া টেরোরিস্টগোষ্ঠী আইএসের প্ল্যাকার্ডে লাইক দিতে।

দেশের জনগণ আইএসের অপকর্মের সমর্থন দানকারীদের বিরুদ্ধে নিন্দা শুরু করলো। ঝটকুর অবস্থান জানতে চাইলো । সে কি আইসিসের অপকর্ম সাপোর্ট করে কিনা জানতে চাইলে ঝটকু জবাব দিতে গড়িমসি শুরু করলো এবং সে শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করতেও অস্বীকৃতি জানালো। ঝটকু আইসিসের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখে। এবং এখন পর্যন্ত আইসিসের কোন অপকর্মের বিরোধীতা করে না।

এতকিছুর পরও ঝটকু মনে করে তার সমালোচনা করে তার ওপর অন্যায় করা হচ্ছে, তার সহকর্মীদের কাজের ব্যাপারে তাকে কেন প্রশ্ন করা হবে ।""

এবার গল্পটি আবার একটু ভিন্ন ভাবে পড়ুন। ঝটকুর যায়গায় পড়ুন আয়মান সাদিক ও আইএসের যায়গায় পড়ুন ব্রিটিশ সরকার ও কমনওয়েলথ আর অপকর্মের যায়গায় পড়ুন সমকামিতা।(কমনওয়েলথ , ইঙ্গ-মার্কিন সরকার ও রানী সবাই বর্তমানে সমকামীদের পক্ষে কাজ করছে একদম প্রকাশ্যে) আর আয়মানের কাছের লোকেরাই একে একে সমকামীতার পক্ষে বলছে এবং আয়মান তার বিরোধিতা করে না এবং তাদেরকেই শিক্ষক হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার বলুন আয়মান সাদিককে নিয়ে যে প্রশ্ন গুলো সৃষ্টি হয়েছে তা কী যথার্থ কিনা । অন্যায়ভাবে মানুষ খুন যেমন অপরাধ সমকামিতাও তেমনি মারাত্মক অপরাধ। আর টেন মিনিট স্কুল শুধু উপরের দোষেই দু্ষ্ট না।

তাদের সাকিব বিন রশিদ একজন ব্যাভিচার সমর্থক মানুষ, সে এ জাতীয় শিক্ষা প্রকাশ্যেই দিয়ে থাকে। এতো কিছুর পরও আয়মান সাদিক, সাকিবকে শিক্ষক হিসেবে রাখতে অনড় আছেন। অনেকটা ঝটকুর মতো যে, আইএসের অন্যায় খুনের পক্ষে প্রচারকদের প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে রাখতে অনড়। সাকিবরা টেন মিনিট স্কুলে পড়িয়ে ফ্যানবেজ তৈরি করে তাদের পাপের পথে টেনে নিবে তাতেও আয়মান সাদিক নির্দোষ থাকবেন। বেশ চমৎকার ভাবনা। আয়মান নির্দোষ।

আর যাই হোক আয়মান সাকিব সাহেবকে এটলিস্ট অশিক্ষিত মানুষ মনে করি না, কিন্তু তিনি ভিডিও তে sleep over এর এই অর্ধসত্য অর্থ কেন করলেন বোধগম্য হলো না। Sleep over দ্বারা কী শুধু একজন ছেলে অন্য ছেলেবন্ধুর বাসায় রাতকাটানোকেই বোঝার? কোন ছেলে তার মেয়েবন্ধুর বাসায় রাত কাটানোকে কী স্লীপ ওভার বলে না?!!! আর স্লিপ ওভারের প্রমোটকারী সাকিব সেখানে কি বুঝিয়েছিলো তাকে ব্যাখ্যা করতে বললেই তো সমস্যা শেষ হয়ে যায়, আর সাকিব বা আপনারা কী ফ্রি মিক্সিং বয় ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড নামের নোংরা কালচার প্রোমোট করছেন না!

এতো কিছুর পরও আয়মান সাদিক সাকিবের সাথেই আছেন, আর সহানুভূতি পাবার জন্য নানা রকম ফন্দি ফিকির করে চলেছেন কিন্তু সঠিক সমাধানে পথে হাঁটছেন না। আর আয়মান সাদিককে কোন মুসলিম গালি দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাইতে ও তওবা করার অনুরোধ করবো কেননা গালিগালাজ কোন মুসলিমের কাজ নয়।

আর আয়মান সাদিক সাহেবকে একটি প্রবাদ বাক্য স্বরণ করিয়ে দিয়ে আলোচনার ইতি টানছি, 'সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ' । আর এটাও মনে রাখবেন 'দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য'।


বর্তমান যুগ ফিতনার যুগ। একের পর এক ফিতনা ধেয়ে আসছে। এ যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ভবিষ্যৎবাণীরই চাক্ষুষ প্রমাণ।

আশ্চর্য হলেও সত্য বর্তমানে 'সমকামিতা' নামে নোংরা এক ফিতনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যা সম্পর্কে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সতর্ক করে গিয়েছেন। সালাফগন যে বিষয়ে কলম ধরেছেন।

ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া রহ. (মৃত্যু: ২৮১ হি.) তার 'যাম্মুল মালাহি' গ্রন্থে এ বিষয়ে হাদিস এবং সালাফগনের উদ্ধৃতি উল্লেখ করেছেন। যা বর্তমানে সকলের জন্য জানা প্রয়োজন।

বর্তমান ফিতনার কথা বিবেচনা করে মাকতাবাতুল আসলাফের পক্ষ থেকে এ বিষয়ক অধ্যায়গুলোর শর্ট পিডিএফ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

এছাড়া বইটিতে শয়তানের নানা চক্রান্ত ও অন্যান্য পাপাচার বিষয়ক অধ্যায় রয়েছে। শয়তানের চক্রান্ত নামে মূল বইটিও সংগ্রহ করতে পারেন।

শর্ট পিডিএফ লিংক - https://bit.ly/2ZfDvvD

এছাড়াও সমকামিতার ভয়াভহতা, বিশ্বব্যাপী এর এজেন্ডা এবং সাইন্টিফিক বাস্তবতা নিয়ে দারুল ইহদা প্রকাশনী থেকে অভিশপ্ত রংধনু নামে চমৎকার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। 

এই বিষয়ে আর রিহাব পাবলিকেশন থেকেও একটি বই পাবলিশ করা হয়েছে। যার নাম "সমকামিতা মহাপাপ"।

সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিমদের ভিতর এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি খুবই জরুরী। বাংলাদেশে সমকামী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিত্ব কাজ করে যাচ্ছে। ভিতরে ভিতরে অনেক তরুণরাই এই ফাঁদে আটকে যাচ্ছে।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, সমলিঙ্গের সাথে বিকৃত যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েরা খুব সহজেই এই ফাঁদে পড়ছে।

 এই পর্যন্ত তাদের এজেন্ডার বাস্তবায়ক, প্রচারক এবং সমর্থকদের ভিতরে মেয়েদেরকেই বেশি দেখা গেছে। 

কারণ যৌনতার ব্যাপারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা অপর মেয়ের সাথে বেশি ঘনিষ্ঠ হয় এবং তাদের পুরো অস্তিত্বে যৌন স্পর্শকাতর অংশ বেশি।


আমাদের অভিভাবকদের খুব বেশি সতর্ক হতে হবে। ছেলেমেয়ের ব্যাপারে তাদের নজরদারি এখন কেবল বিপরীত লিঙ্গের সাথে মেলামেশার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। 

সমলিঙ্গের সাথেও ছেলেমেয়েদের মেলামেশার ধরণ এবং আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
- Iftekhar Sifat

ধরা পড়ার পড় টেন মিনিট স্কুলের তালবাহানা, ও আমাদের সতর্কতা



রবি ১০ মিনিট এখন তাদের ইমেইজ রক্ষা করার চেষ্টা করবে। নিজেদের বাপ-মা কত ধার্মিক কিংবা তাদের সাথে ধার্মিক পোলাপাইন আছে এসব বলে গেইসম, ফেমিনসম অল দোস কুফরিসম জাস্টিফাই করার চেষ্টা করবে এভাবে যে, আপনাকে তো আর তারা বাধ্য করছে না। অন্যকারো লাইফ নিয়ে আমাদের এত মাথা-ব্যাথা কেন? অথচ এইসব অন্যকেউ গুলোই তো নিজেদের লাইফ স্টাইল আমাদের মাঝে প্রমোট করছে, বিরোধিতা করলেই হুমকি ধামকি দিচ্ছে। অথচ তারা নাকি চাপিয়ে দেয় না, তারা নাকি বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
.
মিথ্যা তারা আমাদের বাধ্য করে। ব্যক্তিস্বাধীনতার পশ্চিমা কনসেপ্ট মেনে নিতেই হবে, নতুবা আপনার নামে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হবে, এমনকি আপনাকে হাজতে পাঠানোর হুমকি তারা নিজেরাই দেয়, আবার এদিকে বলে তারা নাকি মুসলিমদের উপর তাদের কোন ভিউ চাপিয়ে দিচ্ছে না।

.
একদিকে তাদের বিরুদ্ধে এক্সপার্টরা একাডেমিক কাজ চালাবে, আরেক দিকে আপানার যারা সাধারণ তারা তাদের বিরুদ্ধে এভরি পসিবল ওয়েতে প্রচারণা চালাবেন। তাদের ফিনিশ করতেই হবে। হয় ইসলামই শ্রেষ্ঠ এটা মেনে নিয়ে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে, নতুবা তাদের ছাড় দেয়া হবে না। ইসলাম ব্যতীত আর কোন কিছুর সমান্যতম প্রচারণা চলবে না। এই ব্যাপারে আপনাদের অনড় হতে হবে।
.
তারা এবং তাদের মিত্ররা বলার চেষ্টা করবে, আপনি আমাদের সাথে একমত নাই হতে পারেন তাই বলে, এভাবে আমাদের বিরোধিতা করা ঠিক না, এই দেখুন আমার বাপ কুরআন পড়ে, আমার মা হজ্জ্ব করে আসছে, এরপরও তো আমি গেইসমে বিলিভ করি, তারা তো কিছু বলছে না, তারা গুড মুসলিম, আপনারা ব্যাড মুসলিম! সে কে? হু দা হেল হি ইজ টু টেল আস, কে গুড আর কে ব্যাড? অথচ আবার বলছে যে, তারা নাকি চাপিয়ে দিচ্ছে না তাদের ভিউ। মিথ্যা কথা।
.
আপনারা এসবে আবার পটে যাইয়েন না। আপনারা থেমে গেলে তারা জিতে যাবে। আপনারা সর্বদা প্রেশার ক্রিয়েট করতেই থাকবেন, একসাথে সীসাঢালা প্রাচীরের মত। তাদের সাথে মিত্রতা কইরেন না। আমরা যতই দূর্বল হই, একসাথে থাকলে কাজ প্রোপার হবেই। মূল কথা যা বলতে চাচ্ছি যে, তাদের ছাড় দিবেন না। তাদের মিত্রদেরও না। তারা দাবী করছে তারা চাপিয়ে দিচ্ছে না, প্রমোট করছে না, কিন্তু আসলে তারা সেটাই করছে। তারা নিজেদের মুসলিম অমুসলিম যাই দাবী করুক না কেন, নাহী আনিল মুনকার তথা অসৎ কাজের বিরোধিতার ক্ষেত্রে আপনারা ক্ষ্যামা দিয়ে দিয়েন না।
- Ibn Mazhar




খুব হাস্যকর কথা উঠেছে ফেইসবুকে। 


.রবি টেন মিনিট স্কুলের ইসলাম বিরোধী প্রোপ্যাগান্ডার জন্য রবি টেন মিনিট স্কুলকে সমালোচনা করা যাবেনা। 



রবি টেন মিনিট স্কুলের ফাউন্ডার এবং সিইও আয়মান সাদিকের সমালোচনা করা যাবেনা। 




শুধু ব্যক্তি সাকিব বিন রশিদ বা শামির মুন্তাজিরের সমালোচনা করতে হবে।

কিন্তু আয়মান সাদিকের নয়।
.
হাস্যকর কেন বলছি এটা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন খুব একটা নেই। একদম সাধারণ জ্ঞান আছে এমন মানুষের পক্ষেও বুঝে ফেলা সম্ভব । তারপরেও চেষ্টা করি।
.
ধরেন আপনার একটা লাইসেন্স করা 9 mm রিভালবার আছে। তো আপনি কী করলেন, কয়েকজন বখাটে মাস্তান ডেকে নিয়ে আসলেন। তাদের খুব খাতির যত্ন করলেন। বিভিন্ন জায়গায় তারা যে আপনার খুব ভালো বন্ধু এসব প্রচার করলেন। কিছুদিন পর থেকে সেই রিভলবার আপনার মাস্তান বন্ধুদের হাতে দিতে শুরু করলেন। তারা সেই রিভালবার নিয়ে যেয়ে রাস্তাঘাটে ছিনতাই করতে লাগলো। ২/১ টা লাশও ফেলে দিল। আপনি খুন করেননি, ছিনতাই করেননি। কিন্তু আপনার বন্ধুদের খুন করার অস্ত্র তুলে দিয়েছেন হাতে। আপনি জানতেনও এরা বখাটে। এরা মাস্তান।এরা ছিনতাই করছে। এরা খুন করছে। এখন পুলিশ এসে শুধু কী বখাটে মাস্তানদের হাতেই হাতকড়া পরাবে? নাকি আপনার হাতেও ?

আসুন আয়মান সাদিকের সাথে এই উদাহরণটা মিলায়।
.
আয়মান সাদিক টেন মিনিট স্কুলের সিইও। মানে প্রধান। তো আয়মান সাদিক টেন মিনিট স্কুলে শামির মুন্তাজির, সাকিব বিন রশিদ বা মিথিলাকে জায়গা করে দিয়েছে। সাকিব বা শামিরকে হিট বানিয়েছে। তরুণদের চোখে আইডল বানিয়েছে। এরা একের পর এক ভিডিও বানিয়ে জিনা ব্যভিচার করার দাওয়াত দিয়েছে যুবসমাজকে। ইসলাম বিদ্বেষ ঢুকিয়ে দিয়েছে।

তো এই ভিডিওগুলো কোথায় থেকে পাবলিশড হয়েছে?
- টেন মিনিট স্কুল থেকে।
ভিডিও প্রকাশের অনুমতি কে দিয়েছে?
- আয়মান সাদিক
.
তাহলে আয়মান সাদিক বা টেন মিনিট স্কুল এর দায় কীভাবে এড়াবে?
খুবই আযব লজিক দিয়ে লোকজন বলা শুরু করেছে আয়মান সাদিকের সমালোচনা করা যাবেনা। টেন মিনিট স্কুল আয়মান সাদিকের সাথে আমরা যারা শামির বা সাকিবকে গুলিয়ে ফেলছি তারা জুলুম করছি!
মানে আপনি খুন করেননি কিন্তু আপনার হুকুমেই খুন হয়েছে আপনি খুনের অস্ত্র সরাবরাহ করেছেন তার মানে আপনি অপরাধী নন!
.
আয়মান সাদিক যদি অনুমতি না দিত তাহলে একের পর এক ইসলাম বিদ্বেষী ভিডিও কী টেন মিনিট স্কুল থেকে বের হত?
এরপরেও কীভাবে আয়মান সাদিক নির্দোষ হয়?
.
আর আয়মান সাদিক নিজে অনেক ইসলাম বিদ্বেষী ভিডিওতে উপস্থিত। সে নিজে মিথিলার সাথে ভিডিও করেছে। সাকিব বিন রশিদের সাথে ভিডিও করেছে। পিরিয়ড নিয়ে দুই পিচ্চি মেয়ের সাথে খোলাখুলি কথা বলেছে। সালমান মোক্তাদির বা শামীমের মতো অশ্লীল ভিডিও নির্মাতাদের সাথে লাইভ করেছে।
এগুলো করার পরেও সে ধোয়া তুলসি পাতা?
তার সমালোচনা করা যাবেনা?
.
এসব কথা যারা বলছেন তাদের এমন কথা বলার পেছনে দুইটা কারণ থাকতে পারে।
.
১) তারা আসলেই টেন মিনিট স্কুলের কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত নয় অথবা
২) সমকামী সমর্থক, জিনা ব্যভিচার অশ্লীলতা প্রসারকারীদের সমর্থন করে জাতে উঠতে চায়।
.


বিঃদ্রঃ- আয়মান সাদিক আমাদের মতো চুনোপুটিদের চাপে টিকতে পারেনি শেষমেষ। বেচারা যখন দেখছে তার মার্কেট হারানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তখনই কিউট একটা পোস্ট দিয়েছে। দায়সারা গোছের। পরিষ্কার করে কিছুই বলেনি। এটা নিয়ে লিখব ইনশা আল্লাহ।
- Enamul Hossain


অবশেষে টেন মিনিট তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে অফিসিয়াল বক্তব্য প্রদান করেছে। এটা আমাদের প্রাথমিক অর্জন, তবে চূড়ান্ত নয়। এই অর্জনকে ছোট করে দেখার কারণ নেই আলহামদুলিল্লাহ। আবার তৃপ্তির ঢেকুর নিলেও চলবে না। টেন মিনিটের বক্তব্য এই জমিনে ইসলামের শক্তির কথা জানান দিচ্ছে। এটা নিশ্চয় হার্ড সেকুলারদের অন্তর জ্বালার কারণ হবে। তাছাড়া টেন মিনিটের প্লাটফর্ম থেকে এডুকেশনাল কন্টেন্টের বাইরে নৈতিকতা সম্পর্কিত কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে অবশ্যই তাদের ভাবতে হবে এবং সতর্ক হতে হবে । হতে পারে এই ধরণের কন্টেন্ট ভবিষ্যতে এড়িয়েই চলবে। এমনকি ট্রেইনারদের ব্যাপারেও তাদের রক্ষণশীল হতে হবে। আমরা তাদের কাছে এটাই কামনা করব।
টেন মিনিট তার বক্তব্যে দুটি কন্টেন্টের ব্যাপারে ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। যদিও ভয়ংকর একটি কবিতার ব্যাপার স্কিপ করে গেছে। আবার সমকামিতার ব্যপারেও সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য দেয়নি, তারা এটাকে সমর্থন করে কিনা, অধিকার মনে করে কিনা- এই জায়গা ক্লিয়ার হওয়া জরুরি। তারা নিজেদের ভুলের দায় কেবল উপস্থাপনার উপর চাপিয়েছে। যেটা অনেকের কাছে দায়সারা ভাব মনে হচ্ছে। এই জায়গাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আসলে এই সমস্যাগুলো কেবল উপস্থাপনা সংশ্লিষ্ট না। বরং এর মূল সম্পর্ক আইডোলজির সাথে। এই ব্যাপারটা তাদেরকেও বুঝতে হবে, আমাদেরকেও বুঝতে হবে। তাই মূলগতভাবে লিবারেলিজমের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন থেমে যাবে না, চালিয়ে যেতে হবে। আইডোলজির জায়গা থেকে লিবারেলিজমের সাথে ইসলামের মূল সংঘর্ষটা আরো ভেঙ্গে ভেঙ্গে ক্লিয়ার করতে হবে। তাদেরকে বুঝার স্পেস দিতে হলে এই জায়গাটায় আমাদের আরো কাজ করতে হবে। আজকে যেমন উপস্থাপনার ভুলটা বুঝতে পেরেছে। আমরা সুধারণা রাখি, আগামীতে আদর্শিক দ্বন্দ্বটাও বুঝতে পারবে। ইসলাম আমাদের সকলের শিকড়। আমরা কেউই এই শিকড় থেকে ছিন্ন হতে চাই না। দিনশেষে আমাদেরকে শিকড়েই ফিরে আসতে হবে।
আরেকটা ব্যাপার হল, এটা ছিল কেবল টেন মিনিটের অবস্থান নিয়ে তাদের অফিসিয়াল বক্তব্য। কিন্তু আয়মান সাদিক ভাইয়ের অবস্থান নিয়ে আমরা আশ্বস্ত হতে চাই। আমরা ভাইয়ের কাছ থেকে "লোকে কী বলবে" বইয়ের ব্যাপারে মন্তব্য চাই। অশ্লিলতার প্রচারকদের সাথে তার লাইভ এবং তাদেরকে আইডল হিসেবে উপস্থাপনের ব্যাপারেও ভাইয়ের ব্যাখ্যা চাই। ব্যক্তিগতভাবে আয়মান সাদিক ভাইয়ের কাছে যেই বিষয়ে জোর দাবি করি এবং এটাকে একজন মুসলিম হিসেবে তার দায়িত্ব মনে করি সেটা হল, নিজের ভুল বুঝতে পেরে দ্বীনে ফেরা আসা আমাদের এক দ্বীনি বোনের হৃদয়ের আকুতি শোনা। আমি ঐ বোনের নাম বলছি না প্রাইভেসিগত কারণে। আয়মান সাদিক ভাই নিজের মেসেজ লিস্ট চেক করলেই ঐ বোনকে চিনতে পারবেন। তিনি যেন নিজ টাইমলাইন থেকে বেপর্দা অবস্থায় তৈরি করা ঐ বোনের ভিডিওটা সড়িয়ে নেন।
আমি আশা করব, আপনারা যে যেভাবে পারেন আয়মান সাদিক ভাইয়ের কাছে এই আবদার পৌঁছে দিবেন। একজন মুসলিমাহ বোনের পক্ষ থেকে এই সহযোগীতা আপনাদের দায়িত্বে পড়ে। একে তো ঐ ভিডিওর কন্টেন্টই আপত্তিকর। তার উপর সংশ্লিষ্ট একজন বোন নিজের বেপর্দার বিষাক্ত চিহ্ন রাখতে চাচ্ছেন না। তিনি ঐ ভিডিওতে বলা নিজের বিষাক্ত বক্তব্যের অস্তিত্বও রাখতে চাচ্ছেন না। কারণ তিনি লজ্জিত, অনুতপ্ত। আমরা চাই, আয়মান সাদিক ভাই সেই বোনের ঈমানি গায়রাতকে মূল্যায়ন করবেন। নিজের টাইমলাইন থেকে সেই ভিডিও সড়িয়ে নিবেন। এই আবদার বেশি বেশি প্রচার কাম্য। যেই যেভাবে পারেন ছড়িয়ে দিন এই ঈমানি দাবি।
- Iftekhar Sifat >
Next Post Previous Post