তওবা কবুলের দোয়া ও আয়াত সমূহ | সকল ছোট ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ, ফজিলত সাথে সায়েদুল ইস্তেগফার দোয়া

তওবা কবুলের দোয়া ও আয়াত সমূহ | সকল ছোট ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ, ফজিলত সাথে সায়েদুল ইস্তেগফার দোয়া বাংলা। 


এই পোস্ট এর সম্পূর্ণ ক্রেডিট Tasbeeh Page এর।
আমি শুধু মাত্র লেখা গুলো ব্লগের ডিজাইনের সাথে মানিয়ে সাজিয়েছি ও কিছু Keywords যুক্ত করেছি। যা মূল লেখা থেকে আলাদা।
মূল লেখায় কোন পরিবর্তন করিনি।  


ইস্তিগফারের সর্বশ্রেষ্ঠ দু‘আগুলো [সহিহ হাদিস থেকে—(মোট এগারোটি)]

.
❑ ইস্তিগফার: [০১]
আয়িশা (রা.) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর আগে এই ইস্তিগফারটি অধিক মাত্রায় পড়তেন—
.
سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
.
[সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি]
.
অর্থ: আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকট তাওবাহ্ করছি। [সহিহ মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন: ১৮৮৬]
.
❑ ইস্তিগফার: [০২]
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে আর কাউকে এটি অধিক পরিমাণে পড়তে দেখিনি—
.
أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتوبُ إِلَيْهِ
[আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি]
.
অর্থ: আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তাঁর নিকট তাওবাহ্ করছি। [সহিহ ইবনু হিব্বান: ৯২৮, হাদিসটি বিশুদ্ধ]
.
❑ ইস্তিগফার: [০৩]
আয়িশা (রা.) বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি যদি বুঝতে পারি, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, তাহলে ওই রাতে কী বলব?’ নবীজি বলেন, তুমি বলো—
.
اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ

[আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউ-উন কারীম, তু‘হিব্বুল ‘আফওয়া ফা’অ্ফু ‘আন্নী]

.
অর্থ: হে আল্লাহ্! তুমি ক্ষমাশীল, মহানুভব! তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দাও। [তিরমিযি: ৩৫১৩, হাসান সহিহ]
.
রামাদানের শেষ দশটি রাতে এই দু‘আটি অধিক পরিমাণে পাঠ করতে হবে। পাশাপাশি অন্য যেকোনো সময়, যেকোনো মাসেও পড়া যাবে।
.
❑ ইস্তিগফার: [০৪]
ইবনু উমার (রা.) বলেন, আমরা গুণে দেখতাম যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই মজলিসে ১০০ বার পর্যন্ত পাঠ করছেন—
.
ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲْ ﻭَﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻲَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃﻧْﺖَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢُ
.
[রাব্বিগফিরলি ওয়া তুব ‘আলাইয়া, ইন্নাকা আনতাত তাওয়াবুর রাহীম]
.
অর্থ: (হে আমার) রব! আমাকে মাফ করুন; আমার তাওবাহ্ কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি তাওবাহ্ কবুলকারী পরম দয়াময়। [তিরমিযি: ৩৪৩৪, আবু দাউদ: ১৫১৬, হাদিসটি বিশুদ্ধ]
.
শুধু বৈঠকেই নয়, যেকোনো সময় এই ইস্তিগফার পড়া যাবে।
.
❑ ইস্তিগফার: [০৫]
ইবনু মাস‘ঊদ (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি এই দু‘আ (ইসতিগফার) পড়বে, তার গুনাহ্ ক্ষমা করে দেওয়া হবে—যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়নকারী হয়।’’ 
.
ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻻَ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻰُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮﻡُ ﻭَﺃَﺗُﻮْﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ
.
[আসতাগফিরুল্লাহ আল্লাযি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল ‘হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি]
.
অর্থ: আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যিনি ব্যতীত কোনো সার্বভৌম সত্তা নেই—তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী—এবং আমি তাঁর নিকট তাওবাহ্ করছি। [আবু দাউদ: ১৫১৭, তিরমিযি: ৩৫৭৭, হাদিসটি বিশুদ্ধ]
.
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘‘আসতাগফিরুল্লাহাল ‘আযীম, আল্লাযি... (বাকি অংশে কোনো পরিবর্তন নেই)।’’ [তিরমিযি: ৩৫৭৭, হাসান]
.
❑ ইস্তিগফার: [০৬]
সাইয়িদুল ইসতিগফার অর্থাৎ এই ইস্তিগফারকে হাদিসে বলা হয়েছে ‘ইস্তিগফারের নেতা’।
.
ﺍَﻟﻠّٰﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲْ ﻟَﺎ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻲْ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ ﺃَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ ﺃَﺑُﻮْﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﺃَﺑُﻮْﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ
.
[আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী ওয়া আনা ‘আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহ্দিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতা ত’তু আ‘উযুবিকা মিন শাররি মা সনা’তু আবূ-উ লাকা বিনি’মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূ-উ বিযানবী, ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা] [অবশ্যই আরবি দেখে শিখুন]
.
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমিই আমার রব। তুমি ছাড়া কোনো সার্বভৌম সত্তা নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছো আর আমি তোমারই গোলাম। তুমি আমার কাছ থেকে যে অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি নিয়েছো, সাধ্যানুযায়ী আমি তার ওপর চলবো। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছো তা স্বীকার করছি এবং আমার গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। অতএব, তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।’’ 
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় এ দু‘আটি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পড়বে, অতঃপর সেদিন সন্ধ্যা হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে এটি পড়বে, অতঃপর সকাল হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ [সহিহ বুখারি: ৬৩০৬]
.
❑ ইস্তিগফার: [০৭]
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এমন কোনো মজলিসে (বৈঠকে) বসলো, যেখানে সে অনর্থক অনেক কথা বলেছে, সে যদি ওই মজলিস থেকে ওঠার আগেই এই দু‘আটি বলে, তবে আল্লাহ্ তার ওই মজলিসের বিষয়াদির কাফফারা (প্রায়শ্চিত্য) করে দেবেন।’’ 
.
سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ 
.
[সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বি‘হামদিকা আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা]
.
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র; প্রশংসা কেবল তোমারই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি—তুমি ছাড়া কোনো সার্বভৌম সত্তা নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তোমার নিকট তাওবাহ্ করছি। [তিরমিযি: ৩৪৩৩, হাসান সহিহ গারিব]
.
দু‘আটি যেকোনো সময় পড়তে পারবেন। এই দু‘আটিতে আল্লাহর প্রশংসা, পবিত্রতা, শাহাদাহ সব আছে। ফলে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
.
নামাজের ভেতরের ইস্তিগফারসমূহ:
.
❑ ইস্তিগফার: [০৮]
আয়িশা (রা.) বলেন, কুরআনের নির্দেশ (সূরা আন-নাসরের অনুবাদ দেখুন) অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু ও সিজদায় গিয়ে এই ইস্তিগফারটি পড়তেন—
.
سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ
.
[সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা, আল্লাহুম্মাগফিরলি]
.
অর্থ: হে আমাদের রব—আল্লাহ! আপনি মহান; প্রশংসা কেবল আপনারই। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন। [বুখারি: ৭৯৪]
.
যেকোনো সময় পড়তে পারেন।
.
❑ ইস্তিগফার: [০৯]
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সিজদার মাঝে বসা অবস্থায় পড়তেন—
.
رَبِّ اغْفِرْ لِيْ رَبِّ اغْفِرْ لِيْ
.
[রাব্বিগফিরলি, রাব্বিগফিরলি]
.
অর্থ: হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন। [সহিহ মুসলিম: ৭৭২]
.
❑ ইস্তিগফার: [১০]
আবু বকর (রা.) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছিলেন একটি দু‘আ শিখিয়ে দিতে, যা তিনি নামাজে পড়বেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটি শিখিয়ে দেন, যা দু‘আ মাসূরা নামে পরিচিত। (এটি নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ ও দরুদের পর পড়বেন)
.
اَللّٰهمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كثِيرًا، وَلَا يَغْفِرُ الذُّنوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِيْ، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْم
.
অর্থ: হে আল্লাহ্! আমি (গুনাহ করার মাধ্যমে) নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি; তুমি ছাড়া অন্য কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না। অতএব, তোমার পক্ষ থেকে আমাকে পরিপূর্ণভাবে ক্ষমা করো এবং আমার উপর দয়া করো। তুমি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সহিহ বুখারি: ৮৩৪]
.
এটি কেবল নামাজের মধ্যেই নয়, যেকোনো সময় পড়বেন। অর্থটা হৃদয়গ্রাহী।
.
❑ ইস্তিগফার: [১১]
আরো একটি ইস্তিগফার, যা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজে সালাম ফেরানোর আগে পড়তেন।
.
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّيْ 
.
[আল্লাহুম্মাগফিরলি মা ক্বাদ্দামতু ওয়া-মা আখখারতু, ওয়া-মা আসরারতু ওয়া-মা আ’লানতু, ওয়া-মা আসরাফতু, ওয়া-মা আনতা আ’লামু বিহি মিন্নী]
.
অর্থ: হে আল্লাহ্, আমি আগে-পরে যত গুনাহ করেছি, তা মাফ করে দাও। যেসব গুনাহ গোপনে করেছি এবং যেগুলো প্রকাশ্যে করেছি (সব) মাফ করে দাও। যত বাড়াবাড়ি করেছি, সেগুলো ক্ষমা করে দাও এবং যেগুলো তুমি আমার চেয়ে ভালো জানো, সেগুলোও মাফ করে দাও। [সহিহ বুখারি: ৬৩৯৮]
#Tasbeeh
  1. ইস্তেগফার সমূহ ও এর ফজিলত
  2. সায়্যেদুল ইস্তেগফার
  3. ছোট ইস্তেগফার
  4. ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ
  5. সায়েদুল ইস্তেগফার দোয়া
  6. সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার
  7. সকল ইস্তেগফার

আরো দেখুনঃ
ইসলামিক ছবি 
Islamic Quotes Images 

ইসতিগফার করার সময়, পরিস্থিতি ও মুহূর্তগুলো [কুরআন ও সহিহ হাদিস থেকে]

.
(১) প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর—
.
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফরজ) নামাজের পর তিনবার ইস্তিগফার পড়তেন। [সহিহ মুসলিম: ৫৯১]
.
(২) শেষ রাতে, ফজরের পূর্বে—
.
আল্লাহ্ সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের প্রশংসায় বলেন, ‘‘তারা রাতে সামান্য সময়ের জন্যই নিদ্রায় যেত এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতো।’’ [সূরা যারিয়াত, আয়াত: ১৭-১৮]

(৩) কোনো বৈঠক শেষে বা কুরআন তিলাওয়াতের পর—
.
দু‘আটি আমরা ইস্তিগফারের বাক্যাবলীর পর্বে দিব ইনশাআল্লাহ্। [আহমাদ: ২৪৪৮৬, আবু দাঊদ: ৪৮৫৮]
.
(৪) নামাজের সিজদায়—
.
এই দু‘আটিও দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ্। [সহিহ বুখারি: ৭৯৪]
.
(৫) দুই সিজদার মাঝখানে—
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সিজদার মাঝখানে পড়তেন: রাব্বিগফিরলি, রাব্বিগফিরলি। [সহিহ মুসলিম: ৭৭২]
.
(৬) নামাজে সালাম ফেরানোর পূর্বে—
.
এই দু‘আটিও দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ্। এটি দু‘আ মাসুর নামে পরিচিত। [সহিহ বুখারি: ৮৩৪]
.
(৭) হতাশা ও কষ্টের মুহূর্তে—
.
হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তিগফার করবে, আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিযিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।” [বায়হাকি: ৬৩৬, মুস্তাদরাক হাকিম: ৭৬৭৭; সহিহ]
.
(৮) গুনাহ করে ফেললে—
.
হাদিসে কুদসিতে এসেছে, “ইবলিস তার রবকে বললো: আপনার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম! আমি আদম-সন্তানকে পথভ্রষ্ট করতেই থাকব, যতক্ষণ তাদের মধ্যে রূহ থাকে। আল্লাহ বলেন: আমার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম! আমিও তাদের ক্ষমা করতেই থাকব, যতক্ষণ তারা আমার নিকট ইসতিগফার করবে।” [মুসনাদ আহমাদ, হাদিসটি হাসান]
.
(৯) সম্পদ অথবা সন্তান চাইতে—
.
‘‘(নূহ [আ.] বলেন) অতঃপর আমি বললাম: তোমরা তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি দিবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে বাগ-বাগিচা স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদী-নালা প্রবাহিত করবেন।’’ [সূরা নূহ, আয়াত: ১০–১২]
.
(১০) যেকোনো নেককাজ শেষে—
.
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেক কাজ ছিলো মক্কা বিজয় এবং আল্লাহর দ্বীনকে পূর্ণতা দেওয়া। এই কাজের পর তাঁকে ইস্তিগফার পড়তে বলা হয়েছে। [পড়ুন: সূরা আন নাসর, আয়াত: ১-৪]
.
(১১) অন্তর কঠিন হয়ে গেলে—
.
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমার অন্তর (আল্লাহর স্মরণ হতে) বাধাপ্রাপ্ত হয়, (তাই) আমি দিনে শতবার ইসতিগফার করি।’’ [সহিহ মুসলিম: ২৭০২]
.
(১২) বিপদ ও আজাবের সময়—
.
আল্লাহ তা‘আলা কুরআনুল কারিমে বলেন, ‘‘আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব দিবেন না, যতক্ষণ আপনি (নবীজি) তাদের মাঝে অবস্থান করবেন এবং তারা ইসতিগফার করা অবস্থায়ও তাদের উপর আযাব অবতীর্ণ করবেন না।’’ [সূরা আনফাল, আয়াত: ৩৩]
.
(১৩) লাইলাতুল কদরে—
.
আমরা এই দু‘আটি আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্। [ইবনে মুজাহ: ৩৮৫০, হাদিসটি সহিহ]
.
(১৪) শক্তিমত্তা বৃদ্ধিতে—
.
[দেখুন: সূরা হুদ, আয়াত: ৫২]
.
(১৫) পিতা-মাতা ও সকল মুমিনের জন্য—
.
দু‘আটি আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ্। [সূরা ইবরাহিম, আয়াত: ৪১]



ইসতিগফার-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দশটি বিষয় উপস্থাপন করা হচ্ছে—বিইযনিল্লাহ্

.
প্রথমে বলে রাখি—ইসতিগফার হলো, আল্লাহর নিকট গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
.
ইসতিগফার কীভাবে করতে হয়?
.
ইসতিগফারের জন্য নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অনেক দু‘আ শিখিয়ে গেছেন। এছাড়া আল কুরআনেও ইসতিগফারের অনেক দু‘আ বর্ণিত হয়েছে। সেগুলোর কোনোটি নবীদের, আবার কোনোটি নেককার বান্দাদের। সেসব বাক্য দিয়ে আল্লাহর কাছে ইসতিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়। যেমন: নবীজি এভাবে ইসতিগফার করেছেন—
.
أَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ
.
[উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফিরলি]
অর্থ: হে আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করুন
[সহিহ মুসলিম: ২৬৯৭]
.
ইসতিগফার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দশটি বিষয় সবার জানা থাকা দরকার:
.
[১] ইসতিগফার হাত তুলে দু‘আ করার মাধ্যমেও করা যায় আবার হাত না তুলে ইসতিগফারের বাক্যগুলো পাঠ করেও করা যায়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো, অন্তরের অনুশোচনা ও অনুতাপ।
.
[২] ইসতিগফারের জন্য অযুর প্রয়োজন নেই। তবে, দু‘আর মাধ্যমে ইসতিগফার করলে অযু করে নিলে মনোযোগ, একাগ্রতা ও খুশু-খুযু পাওয়া যায়।
.
[৩] হেঁটে-হেঁটে, দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে, নিঃশব্দে বা সশব্দে (খুব জোরে সীমালঙ্ঘন না করে) সর্বাবস্থায় ইসতিগফার করা যায়। ইসতিগফারের ক্ষেত্রে কোনো সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।
.
[৪] ইসতিগফার যেকোনো সময় করা যায়। (তবে ইসতিগফারের জন্য রয়েছে কিছু শ্রেষ্ঠ সময় ও মুহূর্ত। আমরা সেগুলো নিয়ে অন্য একটি পোস্টে আলোচনা করব—ইনশাআল্লাহ্)
.
[৫] ইসতিগফার শুধু নিজের জন্যই নয়, মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনসহ যেকোনো জীবিত বা মৃত মুসলিমের জন্যই করা যায়। [সূরা ইবরাহিম, আয়াত: ৪১]
.
[৬] কোনো কাফিরের জন্য ইসতিগফার করা হারাম। নবীজির চাচা আবু তালিব সারাজীবন নবীজির জন্য নিজের জীবন বাজি রেখেছেন, কিন্তু ঈমান আনার সৌভাগ্য হয়নি। তার মৃত্যুর সময় নবীজি আল্লাহর নিকট ইসতিগফার করছিলেন। তখন আয়াত অবতীর্ণ হয়—‘‘নবী ও মুমিনদের উচিত নয় যে, তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে—যদিও তারা নিকটাত্মীয় হয়—যখন তাদের কাছে এ কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা জাহান্নামী।’’ [সূরা তাওবাহ, আয়াত: ১১৩]
[৭] কুরআন-হাদিসে ইসতিগফারের জন্য যেসব শব্দ এসেছে, সেগুলোর বাইরেও অন্য যেকোনো উপযুক্ত শব্দ বা বাক্য দিয়ে ইসতিগফার করা যায়। এমনকি যেকোনো ভাষায় ইসতিগফার করা যায়। তবে, কুরআন-সুন্নাহয় উল্লেখিত ইসতিগফারের বাক্যগুলোর মর্যাদা ও নেকি অনেক বেশি। এগুলো কবুল হওয়ার ক্ষেত্রেও বেশি সম্ভাবনা রাখে। [বিস্তারিত জানতে দেখুন: রাহে বেলায়াত, ড. আব্দুল্লাহ্ জাহাঙ্গীর; ৯৬-১০৪ পৃষ্ঠা]
.
[৮] যতবার ইচ্ছা ইসতিগফার করা যায়। নির্দিষ্ট সংখ্যক পড়া বাধ্যতামূলক নয়। তবে, যেসকল হাদিসে স্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট সংখ্যায় পড়ার কথা এসেছে, সেগুলো সেভাবেই পড়তে হবে। যেমন: প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে তিন বার ইসতিগফার পড়া। [সহিহ মুসলিম: ৫৯১]
.
[৯] পিরিয়ড অবস্থায় কুরআন পড়া নিষেধ থাকলেও ইসতিগফার, দরুদ, যিকর, দু‘আ ইত্যাদি পড়তে কোনো বাধা-নিষেধ নেই। এ ব্যাপারে আলিমগণ একমত।
.
[১০] সিজদায় ইসতিগফার পড়া যাবে। কারণ ইসতিগফার এক ধরনের দু‘আ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদার হালতেও ইসতিগফার পড়েছেন। [সহিহ বুখারি: ৭৯৪]
.
[আমরা ইসতিগফারের উপর ধারাবাহিকভাবে আরো কয়েকটি পোস্ট দিব ইনশাআল্লাহ্। সেগুলোর মধ্যে আসবে—ইসতিগফারের গুরুত্ব ও মর্যাদা, এর উপযুক্ত সময় ও মুহূর্ত, ইসতিগফারের মাসনূন (হাদিসসম্মত) বাক্যগুলো, ইসতিগফার সম্পর্কে সালাফদের বিভিন্ন বক্তব্য ইত্যাদি। মোট ৫/৬ পর্ব হতে পারে]

ইস্তিগফার অপার সম্ভাবনার দ্বার (পর্ব: ১)


ইসতিগফারের সীমাহীন মর্যাদা ও লাভসমূহ [কুরআন-সুন্নাহর দলিলের আলোকে]

.
(১) আযাব-গযব থেকে সুরক্ষা:
.
আল্লাহ তা‘আলা কুরআনুল কারিমে বলেন, ‘‘আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব দিবেন না, যতক্ষণ আপনি (নবীজি) তাদের মাঝে অবস্থান করবেন এবং তারা ইসতিগফার করা অবস্থায়ও তাদের উপর আযাব অবতীর্ণ করবেন না।’’ [সূরা আনফাল, আয়াত: ৩৩]
.
আযাব আসার প্রতিবন্ধক ছিলেন নবীজি। তিনি চলে গেছেন। এখন বাকি আছে ইসতিগফার। সুতরাং এর গুরুত্ব কত বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
.
(২) দুনিয়া ও আখিরাতে উপভোগ্য জীবনের নিশ্চয়তা:
.
আল্লাহ্ বলেন, ‘‘আর তোমরা নিজেদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, তাঁর দিকে ফিরে আসো। তাহলে তিনি তোমাদেরকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (দুনিয়াতে) উৎকৃষ্ট জীবন উপভোগ করাবেন এবং অধিক আমলকারীকে (আখিরাতে) বেশী করে দেবেন। আর যদি তোমরা বিমুখ হয়ে থাকো, তবে আমি তোমাদের উপর এক মহা-দিবসের আযাবের আশঙ্কা করছি।’’ [সূরা হুদ, আয়াত: ০৩] [তাফসিরে ইবনে কাসির: ২/৪৩৬]
.
(৩) ইসতিগফার করলে গুনাহ মাফ করা হয় এবং আল্লাহর রহমতপ্রাপ্ত হয়:
.
হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ্ বলেন, ‘‘হে আমার বান্দারা! তোমরা দিনে-রাতে গুনাহ্ করছো; আমি আমি তোমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করব; অতএব, তোমরা আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা (ইসতিগফার) করো।’’ [সহিহ মুসলিম]
.
‘‘যে গোনাহ করবে অথবা নিজের উপর জুলুম করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, দয়াময় পাবে।’’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১১০]
.
(৪) ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি বৃদ্ধি এবং উত্তম জীবনের নিয়ামত লাভ:
.
‘‘(নূহ আ. বলেন) অতঃপর আমি বললাম: তোমরা তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি দিবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে বাগ-বাগিচা স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদী-নালা প্রবাহিত করবেন।’’ [সূরা নূহ, আয়াত: ১০–১২]
.
(৫) শয়তানকে পরাজিত করার শক্তিশালী এক হাতিয়ার হলো ইস্তিগফার:
.
হাদিসে কুদসিতে এসেছে, “ইবলিস তার রবকে বললো: আপনার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম! আমি আদম-সন্তানকে পথভ্রষ্ট করতেই থাকব, যতক্ষণ তাদের মধ্যে রূহ থাকে। আল্লাহ বলেন: আমার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম! আমিও তাদের ক্ষমা করতেই থাকব, যতক্ষণ তারা আমার নিকট ইসতিগফার করবে।” [মুসনাদ আহমাদ, হাদিসটি হাসান]
.
(৬) ইসতিগফার অন্তরের সংকীর্ণতা দূর করে এবং শক্তিমত্তা বৃদ্ধি করে:
.
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমার অন্তর (আল্লাহর স্মরণ হতে) বাধাপ্রাপ্ত হয়, (তাই) আমি দিনে শতবার ইসতিগফার করি।’’ [সহিহ মুসলিম: ২৭০২]
.
[আরো দেখুন: সূরা হুদ, আয়াত: ৫২]
.
(৭) জান্নাতের নিশ্চয়তা: সাইয়িদুল ইসতিগফার (ইসতিগফারের শ্রেষ্ঠ দু‘আ) দু‘আটি মুখস্থ করে নিতে হবে।
.
হাদিসে এসেছে, ‘‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় এ দু‘আটি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পড়বে, অতঃপর সেদিন সন্ধ্যা হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে এটি পড়বে, অতঃপর সকাল হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ [সহিহ বুখারি: ৬৩০৬]
.
(৮) শেষ রাতের ইসতিগফারকারীদের ব্যাপারে আল্লাহ প্রশংসা করেন:
.
আল্লাহ্ তা‘আলা কুরআনুল কারিমে বলেন, ‘‘আর আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের প্রতি (সু)দৃষ্টি রাখেন, যারা বলে, ‘হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের মাফ করে দাও এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করো।’ ’’ [সূরা আ~ল ইমরান, আয়াত: ১৫-১৬]
.
তাঁদের প্রশংসায় আল্লাহ্ বলেন, ‘‘তারা সবরকারী, সত্যবাদী, অনুগত, (সৎপথে) ব্যায়কারী এবং শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী।’’ [সূরা আ~ল ইমরান, আয়াত: ১৭]
.
(৯) দুনিয়ার সংকীর্ণতা, কষ্ট ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় হলো ইসতিগফার:
.
হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তিগফার করবে, আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিযিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।” [বায়হাকি: ৬৩৬, মুস্তাদরাক হাকিম: ৭৬৭৭; সহিহ]
.
(১০) নারীদের জাহান্নাম থেকে মুক্তির অন্যতম দুই উপায় হলো: সাদাকাহ ও ইস্তিগফার:
.
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মহিলাদেরকে সম্বোধন করে) বললেন, ‘‘হে নারীরা! তোমরা সাদকাহ করতে থাক এবং অধিক মাত্রায় ইসতিগফার করো। কারণ আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসীরূপে দেখলাম।...(হাদিসটি দীর্ঘ)’’ [সহিহ মুসলিম: ৭৯, ৮০]
.
এছাড়াও ইসতিগফার—
.
√ সুন্নাতুল আম্বিয়া (নবিদের সুন্নাহ);
√ মুত্তাকিদের সিফাত (গুণ);
√ গুনাহের ময়লা দূর করে;
√ অন্তরে প্রশান্তি আনে;
√ আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করে;
√ ঈমানের মিষ্টতা এনে দেয়;
√ যেকোনো বিপদ দূর করে;
√ ডিপ্রেশন থেকে রক্ষা করে;
√ আল্লাহর প্রিয় বানায়।
.
মহান রব আমাদের ইসতিগফারে লেগে থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন।
.
ইস্তিগফার অপার সম্ভাবনার দ্বার (পর্ব: ২)
.
#Tasbeeh
Next Post Previous Post