বাংলা ইসলামিক বই PDF ডাউনলোড লিংক ও রিভিউঃ Bangla Islamic Books Review With Downloadlink

বাংলা ইসলামিক বই PDF ডাউনলোড লিংক ও রিভিউঃ Bangla Books PDF Ebooks Reveiw Read Online 

বইয়ের নাম: বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া
লেখক: ড. সাঈদ ইবনু আলি কাহতানি (রহিমাহুল্লাহ)
অনুবাদক: শাইখ জিয়াউর রহমান মুন্সী
কলেবর : ৩৬০ পৃষ্টা
সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য: ৫০০৳
বাঁধাই : হার্ড কভার

ইসলামিক বাংলা বই  "বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া" 



আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ! কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন সবাই!

আমি "বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া"। আমার জন্ম আরবি ভাষায় হলেও এ-যাবৎ প্রায় ৪০ টি ভাষায় আমায় রূপান্তর হতে হয়েছে। মহান রবের দরবারে হাজারো শুকরিয়া, তিনি আমাকে এতটা কবুল করেছেন। আমি এ-ভেবে সীমাহীন আনন্দিত হই যে, এতগুলো ভাষার মানুষ রবকে স্মরণ করা ও ডাকার নানা পদ্ধতি জানতে আমাকে বেছে নিয়েছেন, ভাবতেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ি!

bangla islami boi

তবে পুরো মুসলিম বিশ্বে বাঙালীরা আমল আখলাকে অনেক এগিয়ে। কিন্তু তাদের মাঝেই আমি ছিলাম না। আল্লাহপ্রেমীরা হয়ত মনে মনে আমার মতো কাউকেই খুজছিলেন। আমিও খুব করে চাচ্ছিলাম বাংলার গঠনেও যেন আমার আত্মপ্রকাশ হয়!

 বাঙালীদের মুখেও যেন আমাতে থাকা রাসূলের নির্দেশিত দুআগুলো রবের দরবারে উচ্চারিত হয়! আপনাদের ও আমার মনের অব্যক্ত কথাগুলো পৌছে গেছে মাকতাবাতুল বায়ানের হৃদয়কানে। তাই তারা আমাতে মুগ্ধ হয়ে আপনাদের উপকারী হব বলে বিশ্বাস করে সেই উদ্যোগ নেন। আলহামদুলিল্লাহ আরো একটি ভাষায় আমার রূপান্তর হয়েছে।
আমার মূল পরিচয়ই তো বলা হলো না আপনাদের।

আমার মূল নাম -
" الذکر والدعاء والعلاج بالرقی من الکتاب والسنة "
আমাকে প্রথম অস্তিত্বে এনেছেন শাইখ ড. সাঈদ ইবনু আলি ইবনি ওয়াহাফ কাহতানি রহ.।
আপনারা আমাকে আগে অতটা না দেখলেও 'হিসনুল মুসলিম'কে চিনেন নিশ্চয়? যতদুর জানি, এদেশে সে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। সে তো আমারই একটা অংশবিশেষ মাত্র। তবে তাতে দৈনন্দিন জীবনের কেবল দুআগুলোর সংকলন হয়েছে।

 অনেকেরই নবীজির দুআর ভাষ্যগুলো পড়তে গিয়ে মাথায় প্রশ্ন আসে, নবীজি স. এই দুআটি কখন কোথায় কেন পড়েছিলেন, বা কখন কাকে কেন শিখিয়েছিলেন? দুআটিকে হাদীস থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার দরুণ প্রেক্ষাপটগুলো পাঠকমহলে স্পষ্ট ছিল না। পুরো হাদীস সহ দুআটি জানা গেলে মনে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে, আগ্রহ বাড়ে, যা শুধু দুআর উল্লেখে হয় না।

আলহামদুলিল্লাহ আমার ভেতর সেই শূণ্যতা নেই। প্রতিটি দুআই আমাতে সন্নিবিশিত করা হয়েছে পুরো হাদীস সহকারে। মানবজাতির মহান শিক্ষক পথহারা মানুষদের সঠিকপথের দিশা দিতে আমরণ কাজ করে গেছেন৷ শিখিয়েছেন রবকে ডাকার নানা পন্থা, বিভিন্ন মাধ্যম, বলেছেন হরেক রকমের বিপদ আপদ ও ব্যধির প্রতিকারপদ্ধতি।

 তবে হাদীসের বিভিন্ন কিতাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় পাঠকদের জন্য আত্মস্ত করা ছিল কষ্টসাধ্য ব্যপার। এসব সমস্যা ঘুচাতেই এক মলাটের সেই বিস্তর রূপ এই আমি।
আমি চাই, আপনারা আমাকে হাতে তুলে নিন। আমাকে পড়ুন। আমি নিজের জন্য চাই না, চাই আপনাদের কল্যাণে। 

ওপারের জীবনে প্রশান্তিময় স্থায়ী নিবাসের টিকেট হাতে তুলে নিতে আমাকে বেছে নিতে পারেন আপনার সুহৃদ বন্ধু হিসেবে। অযথা সময় নষ্ট করব না আপনার। আমি তো প্রাণহীন এক জড়পদার্থ মাত্র। আমি কথা বলি লেখার ভাষায়। 

তাই আমার দরদি কথাগুলো শুনতে হলে আমাকে আপনার হাতে তুলে নিতে হবে। আপনি আমাকে হাতে নিন, আমি আপনাকে জান্নাতের চাবির সন্ধান দিব। আপনার কাজটুকু পূর্ণ করুন, আমিও আমার ওয়াদা পূরণ করব ইনশাআল্লাহ!

কী ভাবছেন? অযথা বকছি? নিজের ঢোল নিজেই পিটাচ্ছি! হ্যা, পিটাচ্ছি। তবে আপনাদেরকে কিছু দিব বলেই করছি এসব। নিজের স্বার্থে নয়, বরং আপনাদের কল্যাণের কথা ভেবে। আচ্ছা চলুন, আমার উল্লেখযোগ্য কিছু বৈশিষ্টের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই--

১. আমার ভেতর নবীজি স. থেকে বর্ণিত শুধু দুআটুকু উল্লেখ করেই ক্ষান্ত থাকা হয়নি৷ বরং প্রত্যেকটি দুআ যে হাদীসে আছে তার পূর্ণাঙ্গ পাঠ উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে পাঠক স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন--নবি স. দুআটি কখন কাকে কেন শিখিয়েছিলেন।

২. দুআর মর্মকথা ও প্রকারভেদ, দুআর মহত্ত্ব, দুআ কবুলের শর্ত, যেসব কারণে দুআ কবুল হয় না, দুআ করার নিয়ম কানুন, দুআ কবুলের সময় ও স্থান, নবি-রাসুলের ডাকে আল্লাহর সাড়া, যাদের দুআ কবুল হয়, মানুষের জীবনে দুআর গুরুত্ব--ইত্যাদি জরুরী বিষয়ের বিশদ পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়েছে৷ যার কল্যাণে আমি পুরো বিশ্বে একটি পূর্ণাঙ্গ দুআর বই হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছি।

৩. আমার মূলরূপ আরবিতে প্রত্যেকটি হাদীসের তাখরীজ (উৎস-নির্দেশ) করতে গিয়ে পাদটীকায় অসংখ্য হাদীস গ্রন্থের উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। তবে অনুবাদের সময় সাধারণ পাঠকদের কথা মাথায় রেখে সেসব গ্রন্থের এক-দুটির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

৪. প্রচলিত দুআর বইগুলো সাধারণত তাহকীকবিহীন। তবে শুদ্ধতার বিচারে মনের সংশয় দূর করতে আমি এসেছি আপনাদের সামনে পূর্ণাঙ্গ তাহকীকী সূরতে। কিন্তু মূল আরবিতে একেকটি হাদীসের তাহকীক করা হয়েছে ছয়-সাত পৃষ্ঠা পর্যন্ত৷ তবে অনুবাদে লেখকের অনুসিদ্ধান্ত এক-দু শব্দে পাদটীকায় উল্লেখ করা হয়েছে, এটাও সাধারণ পাঠকদের কথা চিন্তা করেই।

৫. রুকইয়া অংশে কুরআন সুন্নাহ'য় উল্লেখিত চিকিৎসাপদ্ধতির পাশাপাশি একজন অভিজ্ঞ মনোবিজ্ঞানীর ন্যায় অত্যন্ত জীবনঘনিষ্ট পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৬. দুআগুলো লাইন-বাই-লাইন অনুবাদ করা হয়েছে, যাতে পাঠকগণ প্রতিটি লাইন বাংলার সাথে মিলিয়ে বুঝে বুঝে দুআগুলো পড়তে পারেন। যারা আরবি বুঝেন না তাদের জন্য এই কাজটা কতটা উপকারী, ভাবা যায়!

৭. অনন্য কিছু বৈশিষ্টের কল্যাণে মুসলিম-সমাজে আমি এতটাই সমাদৃত হয়েছি যে, এ যাবৎ বিশ্বের প্রায় ৪০টি ভাষার মানুষ আমাকে পড়ছে নিজেদের ভাষায় আপন করে নিয়ে।

৮.আরবি শব্দের বাংলা উচ্চারণে মাঝে মাঝেই অজ্ঞ লেখকদের কবলে পড়ে শব্দবিকৃতি চোখে পড়ে। যা বিজ্ঞ পাঠককে বিরক্ত করে এবং অজ্ঞ পাঠককে ভুলভাল শিখায়। তবে অনুবাদক বিজ্ঞ আলিম হওয়ায় খুব সজাগ দৃষ্টি রেখেই আমাকে সর্বমহলের পাঠকউপযোগী করে তুলেছেন।

৯. সাধারণত আমলী এসব দুআর বইগুলো থাকে রেফারেন্সশূণ্য। তাই খাঁটির সাথে ভেজাল হাদিসের সংমিশ্রণ ঘটে বিভিন্ন লেখকের লেখনীতে। ফযীলতের পাহাড় দেখে যাচাই ছাড়া সূত্রবিহীনই উঠিয়ে দেন নিজের ফাযায়েলের উপর লেখা কিতাবে। তাই এসব বইয়ের প্রভাবে যে কোনো ফাযায়েলের বই পড়তে গেলেই পাঠকের মনে বাসা বাঁধে নানা সংশয় ও দ্বিধা। তবে টেনশনের কিছু নেই। আমি চলে এসেছি তো! এই আমি আপনার সামনে উপস্থিত। আমার ভেতর পাবেন না এমন কোনো দুআ সম্বলিত হাদীস, যাতে রেফারেন্স যুক্ত করা হয়নি। পাবেন না। পাবেন না।


প্রকাশনী দ্বীনি স্বার্থে আমার পরিচিতি বাড়াতে ও আমার জাত চিনাতে ৪৫ পৃষ্ঠার পিডিএফ ফাইল উন্মুক্ত করেছে পাঠকমহলে। এই দেখুন, আমিই শুধু বলে যাচ্ছি। আমার ব্যক্তিগত গুণাবলী ও বৈশিষ্টের বর্ণনা তো আমিই দিয়ে দিলাম। ছোট্ট এই পিডিএফটি পড়েই একজন পাঠকের কিছু অভিব্যক্তি শুনুন!

"আলহামদুলিল্লাহ! অল্প কয়েক পৃষ্ঠার পিডিএফ পড়েই বইটির প্রেমে পড়ে গেছি। মুগ্ধতা ছড়িয়েছে আমার হৃদয়রাজ্যে। নামটাতেই যাদুমাখা। ফিরে যেতে চাইলেও যেন চুম্বকার্ষণে কাছে টেনে আনে। বইটি খুললে প্রথমেই চোখে পড়ে একটি হাদীসে কুদসি, মনের স্মৃতিপটে বাধাই করে রাখার মতো। এই একটি হাদীসই আত্মভোলা মালিকবিমুখ মানুষকে মালিকমুখী করতে যথেষ্ঠ। দুআয় অনাগ্রহীকে আগ্রহী করতে বেশ কার্যকরী।

১৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত চলে গেছে সূচিপত্রেই। সূচিপত্র পড়লেই যে-কেউ বইটির গুরুত্ব অনুভব করে পুরো বইটি পড়ার জন্য উতলা হয়ে উঠবেন, যেমনটা আমার হচ্ছে। বইটির পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে মণিমুক্তা। মনে হচ্ছে, আর যদি কিছু পৃষ্ঠা বেশি থাকতো! নবীজির মুখনিঃসৃত বাণি+ লেখকের মুগ্ধকর বিন্যাস + অনুবাদকের যাদুময়ী উপস্থাপনে যে-কোনো পাঠকের হৃদয়রাজ্যে মুগ্ধতা ছড়াবে নিঃসন্দেহে।

অনুবাদকের কথা তিন পৃষ্ঠায় ইতি টানা হয়েছে। তবে বেশ গুছালো ও সুন্দর আলোচনা এনেছেন তিনি। পুরো বইয়ের সংক্ষিপ্ত চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। তার অনুবাদ ইতিমধ্যেই পাঠকমহলে একটি বিশেষ জায়গা দখল করে নিতে পেরেছে। ভাষায় সহজতা ধরে রাখতে পারা তার সবচে বড় সফলতা। আর এই দিকটিই পাঠককে বইয়ে টানতে বেশি কার্যকরী। 

তার লেখা পাঠককে টানে, টাকায় কিনেছে তাই না চাইলেও তিতা ঔষধের মতো জোর করে খেতে হয় না। বরং তার লেখা পাঠক মিষ্টি ভিটামিন সিরাপের মতোই আগ্রহ নিয়ে খায়, মজা পায়, আরো খেতে চায়, বিরক্তি আসে না। আসে কেবল মন থেকে দুআ। তার জন্য রয়ে যায় বুকভরা ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।

তিনটি পর্বে ভাগ করা বইটি।
প্রথম পর্ব -যিকির
দ্বিতীয় পর্ব -দুআ
তৃতীয় পর্ব-রুকইয়া

পিডিএফ ফাইল ওপেন করা হয়েছে 'যিকির' পর্বের "সকাল-সন্ধ্যার যিকির" অধ্যায় ও 'দুআ' পর্বের "দুআ কবুলের সময়" অধ্যায় নিয়ে।
সব মিলিয়ে অনন্য উপকারী একটি খিদমত আঞ্জাম দিতে যাচ্ছে মাকতাবাতুল বায়ান। বইটির জন্য অধীর আগ্রহে প্রহর গুণছি। আশা করি বইটি সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করবে! আল্লাহ বইটি কবুল করুন! বইটির মাধ্যমে আমাদের উপকার হাসিলের তাওফীক দিন! বই সংশ্লিষ্ট সবাই-ই রবের দরবারে মকবুল হোক!

প্রাপ্তি স্থান: মাকতাবাতুল বায়ান সহ পছন্দের যে কোনো অনলাইন শপে প্রি-অর্ডার চলছে।
RifAt Hasan


বাংলা ইসলামিক বই "গুয়ান্তানামোতে প্রথম দিন" রিভিউ 


রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আমাদের বিমান থেকে নামানো হয়। বিমান থেকে নেমেই প্রথম ধাপেই টানা চার পাঁচ ঘণ্টা চলে নির্যাতন। সেই ফ্লাইটেই প্রথম কিছু খাওয়া, টয়লেট করা নিষিদ্ধ ছিল। প্রহরী সৈন্যরা আমাদের ঘুমাতেও দিত না। গালিগালাজ করত। একজন আরেকজনের উপর ঘুমে টলে পড়লে লাঠি দিয়ে পেটাত।

পানি চাইলে সৈন্য এসে মুখের মুখোশ খুলে এক ঢোক পানি ঢেলে দিয়ে চলে যেত। তখন আমার শিশুদের দোলনায় বসে খাওয়ানোর কথা মনে পড়েছিল। প্রয়োজন হলে মাথা ঢাকা অবস্থায়ই মাথা নেড়ে ইশারা করতে হতো। টয়লেট ব্যবহার নিষেধ জেনে আমার পাশের জন পানি পান থেকে বিরত ছিল। আসলে আমারও টয়লেট প্রয়োজন ছিল না। প্রয়োজন ছিল একটু পা নাড়ানো। পা নাড়াতে না পেরে হাঁটুতে ব্যথা জমে গেছে। শেকলের ব্যথাতো আছেই!

আমরা একটি এয়ারপোর্টে অবতরণ করি। এরপর আমাদের আরেকটি বিমানে ওঠানো হয়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। আগের মতোই বিমানে ওঠানো হয়। কাঠের আসনে বসতে দেয়। মেঝেতে ঝুলে থাকা পাগুলো ভারি শেকলে বাধা। দ্বিতীয় সে ভ্রমণ হয়েছিল বার-তেরো ঘণ্টার।
ক্লান্তিকর সফর। সারা শরীর বরফ হীম অবস্থা, না ঘুমানোয় বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত। তারা এক ইঞ্চি নড়তেও দেয়নি। জীবন বড় অদ্ভুত। 

সুন্দর পরিপাটি সালাত শেষে কতকিছু চাই আল্লাহর কাছে! অথচ এখন! কোন চাওয়া নেই। চাওয়া শুধু যেন পাটা একটু নাড়াতে পারি। হাতটা যেন একটু সরাতে পারি! চোখের পাতা যেন একটু নড়াতে পারি!

বিমান অবশেষে গন্তব্যে এসে অবতরণ করে। যথারীতি একটা হুলুস্থূল, দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। সৈন্যরা চেঁচাচ্ছে, “তোমরা এখন মার্কিন নৌবাহিনীর হাতে আটক। কোনো কথা বলবে না। নড়াচড়া করবে না।”

আমি খুব দুর্বল, বিধ্বস্ত। কিন্তু এ অবস্থা মুখ খুলে বলতেও পারছিলাম না। তারা আমাদের নিচে নামায়। হাঁটতে বলে। কিন্তু পাগুলো সরতে চাইছে না। একজন এদিক সেদিক হলে বাকিরাও হবে তাই সৈন্যরা কাউকে লাইনচ্যুত হতে দিচ্ছে না। আমাদের পাগুলোর কোনো বোধ নেই। নড়াচড়ার শক্তি নেই।

তারা আমাদের সবাইকে পেটাতে থাকে। আমরা যে নড়তে পারছি না সেদিকে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। লাথি মারছিল। ধাক্কা দিচ্ছিল। টেনে-হিচঁড়ে বাসের সামনে নিয়ে আসে। বাসে কোনো সিট নেই। তারা আমাদেরকে বাসের মেঝেতে সারিবদ্ধভাবে বসায়।

 আমি খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। পা-টা একটু সোজা করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তখনই এক সৈন্য আমাকে মারতে শুরু করে। এত বর্বর সে পিটুনি, যা সামরিক ক্যাম্পগুলোতেও আমাকে খেতে হয়নি। সেখানে মানবতার স্পষ্ট লঙ্ঘন হতে দেখেছিলাম।
গুয়ান্তানামো... একটি অবিচার ও জঘন্য কর্মকান্ডে পরিপূর্ণ কারাগার।

 এখানে বিশ্বাসীদের প্রতিটি বিশ্বাসের গোড়ায় আঘাত করা হয়। গুয়ান্তানামোর কুৎসিত দিক হলো এখানে মানবতাকে পায়ের তলায় পিষ্ট করা হয়, যা ছিল জঙ্গলের চেয়েও গহীন। মধ্য যুগের বর্বরতার চেয়ে নির্মম। গুয়ান্তানামো... জালিমের প্রাণবায়ু। কিন্তু ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন।

বইঃ কয়েদী ৩৪৫।গুয়ান্তানামোতে ছয় বছর
লেখকঃ সামী আলহায
পরিচালক, পাবলিক লিবার্টিজ এন্ড হিউম্যান রাইটস বিভাগ
আলজাজিরা
প্রকাশ করেছে প্রজন্ম পাবলিকেশন...
মুসা বিন মোস্তফা

 ইসলামিক বাংলা বই : আত্মশুদ্ধির পথনির্দেশ রিভিউ 

ডক্টর আ. ফ. ম. আবু বকর

আল্লাহ তা'লা মহাসূক্ষ্ম, নিরাকার ও নিরঞ্জন হিসেবে তিনি ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য নন– বুদ্ধিতে তার ব্যাখ্যা হয় না, ব্যাখ্যা করে বুঝানো সম্ভবপর নয়– কেবল উপলব্ধিতেই অনুধাবন করা সম্ভবপর। কিছু কিছু বিষয় যেমন অনেক সময় নিজে বুঝা যায়; কিন্তু অন্যকে বোঝানো যায় না। এও কতোকটা সেই ধরণের। কাজেই ব্যক্তিগত চেষ্টা ও অধ্যাবসায়ে প্রতিটি মানুষের উচিত এটা বুঝতে চেষ্টা কর। নিজের কান্না যেমন অন্যের দ্বারা হয় না, তেমনি নিজেকে চেনার চেষ্টা নিজেকেই করতে হবে। অনেক মহামানব, অনেক মনিষীই যুগে যুগে মানুষ সমাজে আবির্ভূত হয়ে মানুষকে নিজেকে চেনার উপদেশ ও পরামর্শ দিয়েছেন। মান আরাফা নাফসাহু ফাকাদ আরাফা রাব্বাহ।
নিজেকে চেনার অর্থই হলো নিজের প্রকৃত পরিচয় সম্পর্কে অবহিত হওয়া। এই অবগতিতে নিজের শরীরগত জড়ত্ব ও তার মধ্যকার অন্তর্নিহিত সূক্ষ্মতা সম্পর্কে সমধিক পরিচিত লাভ করা ছাড়াও নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়। সীমার মাঝে অসীম– এর সন্ধান লাভই হলো মানুষের জীবনের পরম প্রাপ্তি। এই পরম প্রাপ্তিরও সুনির্দিষ্ট পথ আছে, পদ্ধতি আছে। সেটাই ইলম-এ-তাসাউফ। এই তাসাউফ হাসিল করতে হলেই আত্মশুদ্ধির প্রয়োজন। আত্মশুদ্ধি হলেই আত্মদর্শন হয়। আর আত্মদর্শন লাভে সক্ষম হলেই সত্য দর্শনের যোগ্যতা অর্জন করা যায়। সূক্ষ্ম বিষয়ক কথাগুলোও সূক্ষ্মতার কথার প্যাঁচে জটিল থেকে জটিলতর হয়। এর পথ অত্যন্ত জটিল বলেই পূর্ণতায় যে প্রাপ্তি, সেই সাফল্যের আনন্দ ও শান্তি অনির্বচনীয় ও অনুপম। মানুষের মধ্যেই যুগে যুগে এমনই মেধাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব হয়েছে, যারা এইসব পথের সন্ধানে জীবনপাত করে যা পেয়েছেন, তা সবই সুচারুরূপে উত্তরসূরিদের মাধ্যমে পরবর্তী দিনের মানুষের জন্য সুসজ্জিত করে রেখে গেছেন। সেই পথই নিজেকে চেনার পথ, সেই পথই তাসাউফের পথ, সেই পথই মা'রিফাত হাসিলের পথ। এই অপরিচিত ও নাম-না-জানা পথের অন্বেষায় অনেকেই আজ দিকভ্রান্ত। অনেকেই পদ্ধতিহীনভাবে পরিশ্রম করেও অতলান্তে হারিয়ে যাচ্ছেন। সেইসব পথভ্রান্ত মানুষ ও আগ্রহী অন্বেষীদের কথা চিন্তা করে ডাঃ আ. ফ. ম. আবু বকর সিদ্দিক ❛আত্মশুদ্ধির পথ নির্দেশ❜ গ্রন্থ রচনা করেছেন। এর প্রতিটি শব্দে, প্রতিটি পদে, প্রতিটি বাক্যে, তিনি মহাসূক্ষ্ম জগতের সাথে জড় জগতের, সূক্ষ্মসত্তার সাথে মানবিক জড় সত্তার সম্পর্ক ও পরিচয় পাঠক সমাজের কাছে পরিষ্কার ভাষায়, প্রাঞ্জল ব্যাখ্যায়, সহজ-সরল বর্ণনায় তুলে ধরেছেন। যাতে মানুষের মনে কোনো নৈরাজ্য ও নিরুৎসাহিতার সৃষ্টি না হয়। তিনি তাঁর প্রতিটি বক্তব্যই আল্লাহ তা'আলার কালাম, না-হয় রাসূলে কারীম (স.) এর হাদিস থেকে উদ্ধৃতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন। নিজের বক্তব্য দিয়ে বিষয়বস্তুকে অহেতুক ভারাক্রান্ত করে তোলার চেষ্টা করেননি। তার ইঙ্গিত সবসময় সহজরত উসিলা বা মাধ্যমের উপকারিতা দিয়ে পাঠকদের মনে সাহস সঞ্চার করে মূল লক্ষ্যবস্তুর দিকে আকর্ষণের দ্বারা আশার আলো দেখিয়েছেন। ডক্টর আ. ফ. ম. আবু বকর সিদ্দিক এর বিশেষত্ব ও বৈশিষ্ট্য এখানেই। যারা দুর্গম অজানা পথে কোনদিন আনাগোনা করেনি, তারাও আশান্বিত হয়ে এই অজানা জগতের রহস্যময় পথে পদচারণা করার সহজতর প্রায়াস পাবেন। যারা বিভিন্ন পথে মিলন মোহনায় দাঁড়িয়ে প্রকৃত চলার পথ বেছে নেওয়ার জন্য চিন্তিত, তাদের জন্য এক অপ্রত্যাশিত সুযোগ এনে দিয়েছে এই ❛আত্মশুদ্ধির পথ নির্দেশ❜ বর্তমান যুগের দিকভ্রান্ত ও পথভ্রান্ত পথচারীদের সত্য সন্ধিৎসু মনে পথিকৃত হিসেবেই গ্রন্থটি সমাদৃত হবে –এই কামনা করি।
Misbah Uddin Numan

বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া প্রিভিউ প্রতিযোগিতাArfan Ahmad

বইয়ের নাম : বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া

লেখক : ড. সাঈদ ইবনু আলি কাহতানি (রহিমাহুল্লাহ)
অনুবাদক : শাইখ জিয়াউর রহমান মুন্সী
পৃষ্ঠা : ৩৬০
সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য : ৫০০৳
প্রকাশনা : মাকতাবাতুল বয়ান


🌷🌷ভূমিকা🌷🌷
🍁🍁বান্দা গোনাহ করবে, আবার তার রবকে স্মরণ করবে ৷ বান্দা আবার গোনাহ করবে, সে তার রবকে আবার স্মরণ করবে ৷ বান্দা আবার গোনাহ করবে ,অশ্রুসিক্ত নয়নে , আবারো সে তার রবকে স্মরণ করবে ৷ বান্দা ,শত দুঃখ কষ্টের মাঝেও ,সে তার প্রতিপালককে কখনই ভুলে যাবে না ৷
◆রহমানের কত বান্দা তো এমন আছে , যারা পাহাড় সমপরিমান দুঃশ্চিন্তার বোঝা মাথায় নিয়ে, তার রবের দরবারে সেজদায় লুটে পড়ে!একমাত্র তার কাছেই কায়ামনবাক্যে দুআ করে ৷ এর চেয়ে মোনমুগ্ধকর দৃশ্য আর কি হতে পারে এই পৃথিবীতে? বান্দা যখনই কোন সমস্যার সম্মুখীন হয় ,তো সর্বপ্রথম তার প্রতিপালকের কাছেই ছুটে যায়৷ তার মুখ থেকে সর্বপ্রথম উচ্চারিত হয় ,ইয়া রব্ব ....ইয়া রব্ব....
অপর দিকে তার প্রতিপালক, তার ডাক শোনা মাত্রই বলে উঠে "লাব্বাইকা ইয়া আবদি .....৷ হে আমার বান্দা! আমি উপস্থিত আছি ৷ কি চাও তুমি আমার কাছে? আহা ! বান্দা আর রবের মাঝে কি এক মধুরসম্পর্ক !
◆আর আল্লাহ তায়ালাও বলছেন: হে আমার বান্দা ! তুমি আমাকে স্মরণ কর , আমিও তোমাকে স্মরণ করব , তুমি আমার কাছে চাও , আমি তা অবশ্যই কবুল করব ৷
এই বক্যগুলো শোনামাত্রই যেন , মনের অজান্তেই অনিচ্ছা সত্যেও একটি কথা বারবার শুধু পুনরাবৃ়ত্তি হতে থাকে,
রদিতু বিল্লাহি রব্বা .......
রদিতু বিল্লাহি রব্বা .......
এমন রবের স্মরণ ছাড়া আর কাকে স্মরণ করতে চাই আমরা ? হায় ! সারা জীবন যদি আমরা ,এই রবের স্মরণে আমাদের এই তুচ্ছ জীবন উৎসর্গ করতে পারতাম!
◆পারব কি আমরা?
হাঁ অবশ্যই পারব ৷
কিন্তু কিভাবে?
হাঁ বলছি ......৷
রাসুল সা. আমাদেরকে অসংখ্য মাসনূন দুআ শিখিয়েছেন ৷ যার মাধ্যমে রবের স্মরণেই কাটবে আপনার আমার সারাটা জীবন ৷ অবশ্যই হতে পারব, আমি আপনিও একজন জাকিরীনদের দলভুক্ত ৷ আর শাইখ কাহতানি রহি. সেই অভিপ্রায়ে রচনা করেছেন এক অনন্য গ্রন্থ
"আয-যিকর ওয়াদ দুআ ওয়াল ইলাজ বির রুকা মিনাল কিতাবি ওয়াস সুন্নাহ্ ৷ বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া' শীর্ষক গ্রন্থটি হল যার ‌বিস্তৃত সংস্করণের বঙ্গনুবাদ ৷
💎💎আর সেই কিতাব ইনশাআল্লাহ অনতিবিলম্বে চলে আসছে , আমাদের হাতের নাগালে ৷ সত্যিই যার প্রতীক্ষায় ছিলাম আমরা ৷ তবে চলুন বক্ষমান বইটি আমাদের জন্য কি উপহার দিতে যাচ্ছে, তা একটু সারসংক্ষেপ জেনে আসি ☞☞
-----বক্ষ্যমান বইটি একটু ভিন্ন ভাবেই রচিত হয়েছে৷ তিন পর্বের সমন্বয়ে গঠিত এক অনন্য গন্থ -------
🌹✧✧প্রথম পর্বে থাকছে , জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে প্রতিটি কর্মের আজকার ৷
◆◆হে ভাই ! আমাদের জন্য আসলেই এটা অসম্ভাব্য যে, প্রতিটি মূহুর্তে রব্বে কারিমকে স্মরণ করা ৷ তাই না ? এই অসম্ভাব্যকে দুর করতে রাসুল স. আমাদেরকে, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ,প্রতিটি কর্মে, এমন কিছু আজকার শিক্ষা দিয়েছেন ৷ যার অনুসরণে, কাটবে আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত মহান প্রতিপালকের স্মরণে ৷ সুবহানাল্লাহ৷

◆◆বিশেষ করে বইটিতে আরো থাকছে সকাল সন্ধায় বা প্রতি সালাতের পরের আজকার ৷ যেগুলো কোন তথা কথিত সুফি বা দরবেশের দেওয়া কোন অজিফা নয় ৷ স্বয়ং রাসুল সঃ এর মুখনিঃসৃত এক অমুল্য রত্ন ৷
🌹✧✧হে ভাই! জানি আপনার দুঃখ কষ্ট শোনার মত কেউ নেই এই পৃথিবীতে , যাকে বলছেন সে বিরক্তবোধ করছে ৷ কিন্তু আপনি কেন ,আপনার রব্বে কারিম থেকে এখনো গাফেল? আপনি আপনার প্রতিপালকের কাছে মনের চাপা যত দুঃখ কষ্ট, প্রাণ খুলে বলুন ৷ তিনি অবশ্যই আপনার কথা শুনবেন ৷ তিনি কখনই বিরক্ত হবেন না ৷ আর সেই রব্বে কারিমের কাছে দুআর বিভিন্ন দিক নিয়েই বিশদ আলোচনা করা হয়েছে বক্ষ্যমান বইটিয়ের দ্বিতীয় পর্বে ৷
উঠে এসেছে দুআ কবুলের বিভিন্ন শর্তসমূহ, আর একটু সামনে যেতে না যেতেই জনতে পারবেন ,কি কি কারনে দুআ কবুল হয় না আমাদের ৷
◆◆জানতে পারবেন, এমন কিছু স্থান আছে যেখানে আপনার প্রতিপালকের রহমতের বারিধারা মুশলধারায় বর্ষিত হচ্ছে , যেখানে কোন প্রার্থনাকারির প্রার্থনা কখনই বৃথা যায় না ৷ কোন ক্রন্দনের ক্রন্দন কখনই নিষ্ফল হয় না ৷
◆◆বইটিতে আরো আছে ,এমন কিছু বিশেষ মুহুর্তের কথা ৷ যে সময় ,আপনার প্রতিপালকের রহমত এই ভূপৃষ্ঠকে আচ্ছাদিত করে নেয় ৷ তার অফুরন্ত রহমতের সাগরে তরঙ্গ উঠে ৷ দুআ কবুলের এক বিশেষ মুহুর্ত ৷ যা প্রত্যেকটি সহিহ হাদিস দ্বারা অকাট্য প্রমান ৷ কোন বুজুর্গ পীর মাশায়েখদের তাজরেবা বা স্বপ্নে পাওয়া কোন আজগুবি কল্প কাহিনি নয় ভাই ৷
◆◆ভাই আর একটু গভিরে যেতে না যেতেই দেখতে পাবেন, আম্বিয়া আ. এর দুআ কবুলের বাস্তব কিছু দুর্লব ঘটনাবলি ,
এগুলো যেন আরো সুন্দর ৷ আশা করি এক একটি ঘটনা আপনার নব উদ্দীপনা জাগ্রত করবেই ইনশাআল্লাহ ৷আল্লাহ তায়ালার প্রতি আপনার দুআ কবুলের দৃঢ় আস্থা ও ইয়াকীন যেন বৃদ্ধি হতেই থাকবে
◆◆আরো আরোও বৃদ্ধি পাবে ,যখনই আপনি দুআর গুরুত্ব নিয়ে রচিত , এর সর্বশেষ অধ্যয়টি পড়বেন ,ঠিক তখনই ৷
🌹✧✧আর লেখক সর্ব শেষ পর্বে রচনা করেছেন রুকইয়া বা ঝাড়ফুঁক নিয়ে ৷ এটা কোন জাদু টোনা বা কুফুরি ঝাড়ফুঁক নয় ৷ নয় কোন পীরের তন্ত্র মন্ত্র৷ এ যেন কুরআনের এক বিশেষ মু'জেঝা ৷ সাথে সাথেই জাদু ,টোনা ,কুফুরি তাবিজ কবজ নিয়েও এর কুফল বর্ননা করেছেন তিনি ৷
💎💎বিইটির বিশেষত্ব ,
◆বিইটিতে, প্রতিটি দুআর প্রাক্ষাপট খুলে খুলে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ রাসুল স. এটি ,কখন, কাকে, কেন শিখিয়েছেন৷ যা এই কিতাবের এক অনন্য বৈশিষ্ট ৷
◆একাধিক কিতাবের রেফারেঞ্জ পাদটিকায় তুলে ধরা হয়েছে ৷ নিজের আমলের ব্যপারে ,ও অন্যকে দাওয়াতের ব্যপারে কখনই আপনার বুক কাপ্পেনা ইনশাআল্লাহ৷
◆সাথে সাথে সংক্ষিপ্ত পরিসরে পাদটিকায় হাদিসের তাহকিকও সন্নিবেশিত করা হয়েছে ৷
যা আপনাকে আমলের ক্ষেত্রে কোন প্রকারের সংশয় বা দিধা সংকোচের জট ,হৃদয়ে বাসা বাধবে না৷ ইনশাআল্লাহ ৷

💎💎নিজের অনুভূতি
✧✧সত্যিই দিশেহারা উম্মাহর জন্য এমন একটা মুল্যবান গ্রন্থ, বর্তমান সময়ের দাবি ৷ কী অবশিষ্ট আছে মুসলিমদের আজ? আর কিছুই তো অবশিষ্ট নেই ! শেষ অবধি মুসলিমদের সর্ব শেষ হাতিয়ার, যে দুআ, আজকার, অবশিষ্ট ছিল ,তাও আজ, তথাকথিত পীর তন্ত্র মন্ত্র এসে, দিন দিন বিকৃতি সাধন করে চলছে ৷ ঠিক সেই মুহুর্তে ,রাসুল স. এর মুখনিঃসৃত সহিহ হাদিসের আলোকে আমাদের জন্য এমন এক অনবদ্য গ্রন্থ "মাকতাবাতুল বয়ান" উপহার দিয়েছে ৷ সেটা তো আর বলার অপেক্ষাই রাখেনা ৷ সত্যিই এমন একটা মহামুল্যবান গ্রন্থের প্রতিক্ষায় ছিলাম আমরা ৷
Next Post Previous Post