বদ নজরের লক্ষন চিকিৎসা ইসলামিক দোয়া এর মাধ্যমে নজর দোষ কাটানোর উপায় : আটটি ইসলামিক দোয়া
বদ নজরের লক্ষন চিকিৎসা ইসলামিক দোয়া এর মাধ্যমে নজর দোষ কাটানোর উপায় : শিশুদের বদ নজর বা মুখ দোষ
বদ নজরে আক্রান্ত হওয়ার পর নিচের ৮ টি দু‘আর মাধ্যমে নিজের ও অন্যের ঝাড়-ফুঁক করুন সঠিক পদ্ধতিতে।
প্রথমে জানি, ঝাড়-ফুঁকের সঠিক নিয়ম:
ঝাড়-ফুঁককারী ব্যক্তি রোগীর ব্যথার স্থানে ঝাড়বেন বা হাত দিয়ে রোগীকে মাসাহ করবেন। অথবা পানি ও অনুরূপ তরল পদার্থ দ্বারা রোগীকে মালিশ করে দেবেন কিংবা ঝাড়-ফুঁকের পর রোগীর শরীরে এমনভাবে থুথু দেবেন, যেন হালকাভাবে থুথুর কিছু ক্ষুদ্র কণা বের হয় মাত্র; মুখভর্তি থুতু উদ্দেশ্য নয়। অথবা শুধু ফুঁ দেওয়াই যথেষ্ট।.
বদ নজর চিকিৎসা দোয়া দু‘আ নং—০১
যখন কেউ অন্যকে ঝাড়-ফুঁক করবে, তখন এটি বলবে (তিন বার) ও ঝাড়-ফুঁক করবে।.
بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ يُؤْذِيْكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اَللّٰهُ يَشْفِيْكَ بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ
.
[বিসমিল্লাহি আরক্বী-কা, মিন কুল্লি শাইয়িন য়ুঅ্-যীকা, মিন শাররি কুল্লি নাফসিন আও ‘আইনি হা-সিদিন; আল্লাহু ইয়াশফী-কা বিসমিল্লাহি আরক্বী-কা]
.
অর্থাৎ, আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি—সেসব বিষয় থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়; সকল প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদ নজর থেকে; আল্লাহ আপনাকে শিফা দিন; আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি।
.
আর যখন নিজের ঝাড়-ফুঁক নিজে করবেন, তখন বলবেন—
.
بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِينِيْ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيْنِيْ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اَللّٰهُ يَشْفِيْنِيْ بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْنِيْ
.
[বিসমিল্লাহি আরক্বী-নী, মিন কুল্লি শাইয়িন য়ুঅ্-যীনী, মিন শাররি কুল্লি নাফসিন আও ‘আইনি হা-সিদিন; আল্লাহু ইয়াশফী-নী বিসমিল্লাহি আরক্বী-নী]
.
জিবরিল (আ.) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই বাক্যগুলো দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন। [মুসলিম, আস-সহিহ: ২১৮৬]
.
মুখ দোষ কাটানোর দু‘আ নং—০২
অন্যকে ঝাড়-ফুঁক করলে, এটি ৩ বার বলবে এবং তার ঝাড়-ফুঁক করবে।.
أُعِيْذُكَ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ
.
[উ‘ই-যুকা বিকালিমা তিল্লা-হিত তা-ম্মাহ, মিন কুল্লি শায়ত্ব-নিন ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি ‘আইনিন লা-ম্মাহ]
.
অর্থাৎ, আমি তোমাকে আল্লাহ্র পরিপূর্ণ বাক্যসমূহের আশ্রয়ে রাখছি—প্রত্যেক শয়তান হতে; কষ্টদায়ক বস্তু হতে এবং প্রত্যেক হিংসুটে নজর হতে।
.
আর যখন এই বাক্যগুলো দিয়ে নিজের ঝাড়-ফুঁক নিজে করবে, তখন কেবল প্রথম শব্দ (উইযুকা)-এর বদলে (আউযু) পড়বে। বাকি অংশ হুবহু থাকবে।
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রিয় নাতিদ্বয়—হাসান ও হুসাইন (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা)-কে এই বাক্যগুলো দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করতেন। [বুখারি, আস-সহিহ: ৩৩৭১]
.
নজর দোষ কাটানোর দু‘আ নং—০৩
অন্যকে ঝাড়-ফুঁক করলে, এটি বলবে এবং ঝাড়-ফুঁক করবে (৩ বার)।.
بِسْمِ اللّٰهِ يُبْرِيْكَ وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَشْفِيْكَ، ومِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ، وَشَرِّ كُلِّ ذِيْ عَيْنٍ
[বিসমিল্লাহি য়ুবরী-কা ওয়া মিন কুল্লি দা-ইন ইয়াশফী-কা, ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ, ওয়া শাররি কুল্লি যী ‘আইনিন]
.
অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি, তিনি তোমাকে মুক্ত করুন; প্রত্যেক অসুখ থেকে আরোগ্য দান করুন; প্রত্যেক হিংসুকের হিংসা থেকে এবং প্রত্যেক বদ নজর থেকে (মুক্ত করুন)।
.
আর যখন নিজের ঝাড়-ফুঁক নিজে করবে, তখন এভাবে বলবে—
.
بِسْمِ اللّٰهِ يُبْرِيْنِيْ وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَشْفِيْنِيْ، ومِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ، وَشَرِّ كُلِّ ذِيْ عَيْنٍ
.
[বিসমিল্লাহি য়ুবরী-নী ওয়া মিন কুল্লি দা-ইন ইয়াশফী-নী, ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ, ওয়া শাররি কুল্লি যী ‘আইনিন]
.
[মুসলিম, আস-সহিহ: ২১৮৫]
.
অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি, তিনি তোমাকে মুক্ত করুন; প্রত্যেক অসুখ থেকে আরোগ্য দান করুন; প্রত্যেক হিংসুকের হিংসা থেকে এবং প্রত্যেক বদ নজর থেকে (মুক্ত করুন)।
.
আর যখন নিজের ঝাড়-ফুঁক নিজে করবে, তখন এভাবে বলবে—
.
بِسْمِ اللّٰهِ يُبْرِيْنِيْ وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَشْفِيْنِيْ، ومِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ، وَشَرِّ كُلِّ ذِيْ عَيْنٍ
.
[বিসমিল্লাহি য়ুবরী-নী ওয়া মিন কুল্লি দা-ইন ইয়াশফী-নী, ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ, ওয়া শাররি কুল্লি যী ‘আইনিন]
.
[মুসলিম, আস-সহিহ: ২১৮৫]
বদ নজরের চিকিৎসা দু‘আ নং—০৩
অন্যকে ঝাড়-ফুঁক করলে, এটি বলবে এবং তার ঝাড়-ফুঁক করবে (৩ বার)।.
اَللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبْ الْبَاْسَ، اشْفِهِ وَأَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
.
[আল্লা-হুম্মা রাব্বান না-স; আযহিবিল বাঅ্স; ইশফিহি, ওয়া আনতাশ শা-ফী। লা শিফা-আ ইল্লা শিফা-উক; শিফা-আন লা য়ুগা-দিরু সাক্বামা]
.
অর্থ: হে আল্লাহ—মানুষের রব! (তার) কষ্ট দূর করে দাও। তাকে সুস্থ করে দাও; কেবল তুমিই রোগমুক্তির মালিক। তোমার শেফা (রোগমুক্তি) ব্যতীত আর কোন শেফা নেই। তুমি এমন সুস্থ করে দাও, যেন কোনো রোগ না থাকে।
.
আর যখন এই বাক্যগুলো দিয়ে নিজের ঝাড়-ফুঁক নিজে করবে, তখন কেবল ‘ইশফিহি’-এর বদলে ‘ইশফি’ পড়বে। বাকি অংশ হুবহু থাকবে। [বুখারি: ৫৬৭৫, মুসলিম: ২১৯১]
.
দু‘আ নং—০৫
.
অন্যকে ঝাড়-ফুঁক করলে, এটি ৩ বার বলবে এবং ঝাড়-ফুঁক করবে।
.
أُعِيْذُكَ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَأَنْ يَحْضُرُوْنِ
.
[আ‘উযু বি কালিমা-তিল্লা-হ
.
অর্থ: আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্যসমূহ দ্বারা আশ্রয় চাই—তাঁর রাগ ও শাস্তি থেকে; তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট থেকে; শয়তানদের উসকানি থেকে এবং আমার কাছে তাদের (শয়তানদের) উপস্থিতি থেকে।
.
আর যখন এই বাক্যগুলো দিয়ে নিজের ঝাড়-ফুঁক নিজে করবে, তখন কেবল প্রথম শব্দ (উইযুকা)-এর বদলে (আউযু) পড়বে। বাকি অংশ হুবহু থাকবে।
.
বদ নজরের পাশাপাশি, বিশেষত ঘুমের মধ্যে জিন কাউকে সমস্যা করলে এটি পড়া উচিত। [তিরমিযি, আস-সুনান: ৩৫২৮; হাদিসটি হাসান]
.
দু‘আ নং—০৬.
অন্যকে ঝাড়-ফুঁক করলে এটি ৭ বার বলবে এবং ঝাড়-ফুঁক করবে।
.
أَسْأَلُ اللّٰهَ الْعَظِيْمَ، رَبَّ الْعَرْشِ العَظِيْمِ، أَنْ يَشْفِيَكَ
.
[আস আলুল্লাহাল আযীম, রাব্বাল আরশিল আযীম, আঁই ইয়াশফিয়াক]
.
অর্থাৎ আমি সুমহান আল্লাহ—মহান আরশের রবের নিকট তোমার আরোগ্য প্রার্থনা করছি।
.
আর যখন এই বাক্যগুলো যখন নিজে পড়বে, তখন শেষ শব্দ ‘ইয়াশফিয়াক’-এর বদলে ‘ইয়াশফিনী’ পড়বে। বাকি অংশ হুবহু থাকবে। [আবু দাউদ, আস-সুনান: ৩১০৬; তিরমিযি, আস-সুনান: ৩০৮৩; হাদিসটি সহিহ]
.
.
এরপর ৭ বার পড়বে—
.
اَعُوْذُ بِاللّٰهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ
অন্যকে ঝাড়-ফুঁক করলে এটি ৭ বার বলবে এবং ঝাড়-ফুঁক করবে।
.
أَسْأَلُ اللّٰهَ الْعَظِيْمَ، رَبَّ الْعَرْشِ العَظِيْمِ، أَنْ يَشْفِيَكَ
.
[আস আলুল্লাহাল আযীম, রাব্বাল আরশিল আযীম, আঁই ইয়াশফিয়াক]
.
অর্থাৎ আমি সুমহান আল্লাহ—মহান আরশের রবের নিকট তোমার আরোগ্য প্রার্থনা করছি।
.
আর যখন এই বাক্যগুলো যখন নিজে পড়বে, তখন শেষ শব্দ ‘ইয়াশফিয়াক’-এর বদলে ‘ইয়াশফিনী’ পড়বে। বাকি অংশ হুবহু থাকবে। [আবু দাউদ, আস-সুনান: ৩১০৬; তিরমিযি, আস-সুনান: ৩০৮৩; হাদিসটি সহিহ]
.
বদ নজর সম্পর্কে হাদিস : দু‘আ নং—০৭
এই আমলটি নিজেই করবে। শরীরের যে স্থানে ব্যথা অনুভব হয়; সেখানে হাত রেখে প্রথমে তিনবার بِسْمِ اللّٰهِ (বিসমিল্লাহ) পড়বে।.
এরপর ৭ বার পড়বে—
.
اَعُوْذُ بِاللّٰهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ
[আ‘উযু বিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহী মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহা-যিরু]
.
অর্থাৎ, যে ব্যথা আমি অনুভব করছি এবং যার আমি আশঙ্কা করছি, তা থেকে আমি আল্লাহ্ এবং তাঁর কুদরতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [মুসলিম, আস-সহিহ: ২২০২]
.
.
أُعِيْذُكَ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
.
[উ‘ইযুকা বিকালিমা তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্ব]
.
অর্থাৎ, আমি তোমাকে আল্লাহ্র পরিপূর্ণ বাক্যসমূহের আশ্রয়ে রাখছি—তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে।
.
কেউ নিজের ঝাড়-ফুঁক নিজে করলে শুরুতে ‘উ‘ইযুকা’-এর স্থানে ‘আ‘উযু’ পড়বে। বাকি অংশ হুবহু পড়বে। [মুসলিম, আস-সহিহ: ২১৯১]
.
এছাড়াও যা করবে:.
তিন বা ততোধিক বার সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পরে ফুঁ দেবে এবং ডান হাত দিয়ে ব্যথার জায়গা মুছে দেবে। [ইবনু হাজার, ফাতহুল বারি]
.
ধ্বংসাত্মক দৃষ্ টি পঞ্চম পর্ব
পূর্বের চারটি পর্বে বদ নজরের পরিচয়, বদ নজরে অন্যকে আক্রান্ত করা এবং নিজে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচার উপায় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সবগুলোর লিংক কমেন্টে।
.
মূল লেখাঃ Tasbeeh
.
অর্থাৎ, যে ব্যথা আমি অনুভব করছি এবং যার আমি আশঙ্কা করছি, তা থেকে আমি আল্লাহ্ এবং তাঁর কুদরতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [মুসলিম, আস-সহিহ: ২২০২]
.
দু‘আ নং—০৮.
অন্যকে ঝাড়-ফুঁক করলে এটি ৩ বার বলবে এবং ঝাড়-ফুঁক করবে।.
أُعِيْذُكَ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
.
[উ‘ইযুকা বিকালিমা তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্ব]
.
অর্থাৎ, আমি তোমাকে আল্লাহ্র পরিপূর্ণ বাক্যসমূহের আশ্রয়ে রাখছি—তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে।
.
কেউ নিজের ঝাড়-ফুঁক নিজে করলে শুরুতে ‘উ‘ইযুকা’-এর স্থানে ‘আ‘উযু’ পড়বে। বাকি অংশ হুবহু পড়বে। [মুসলিম, আস-সহিহ: ২১৯১]
.
এছাড়াও যা করবে:.
তিন বা ততোধিক বার সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পরে ফুঁ দেবে এবং ডান হাত দিয়ে ব্যথার জায়গা মুছে দেবে। [ইবনু হাজার, ফাতহুল বারি]
.
ধ্বংসাত্মক দৃষ্
পূর্বের চারটি পর্বে বদ নজরের পরিচয়, বদ নজরে অন্যকে আক্রান্ত করা এবং নিজে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচার উপায় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সবগুলোর লিংক কমেন্টে।
.
মূল লেখাঃ Tasbeeh