বাংলা কোরানের আয়াত ও হাদিসের লেখা ছবি [৩০+ ইসলামিক পিকচার]

বাংলা কোরানের আয়াত ও হাদিসের লেখা ছবি  ঃ  ইসলামিক পিকচার ডাউনলোড









➤ ‘আকাশে রয়েছে তোমাদের জীবিকা এবং প্রতিশ্রুত সবকিছু।’’ [সূরা যারিয়াত: ২২]

➤ ‘‘কাজেই তোমরা আল্লাহর কাছে জীবিকা তালাশ করো এবং তাঁর ইবাদত করো।’’ 
[সূরা আনকাবুত: ১৭]


















সালাফী জিহাদী ধারা কখনোই মনে করে না, যে মক্কার মুশরিকদের তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ সঠিক ছিল, বরং তারা বলার চেষ্টা করে, যে তাদের মধ্যে আল্লাহর রুবুবিয়াতের ধারণা ছিল। এটা তো খুব সহজ কথা, কারণ এই আরবদের মাঝেই তো ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) ছিলেন। তারা তো শুরুতে ইসলামই চর্চা করত। ধীরে ধীরে দ্বীনকে বিকৃত করে ফেলেছে।
.
ঠিক সেভাবেই, সালাফী জিহাদীরা বলে না যে, মুশরিকদের তাওহীদ আর-রুবুবিয়াহ ঠিক আছে। বরং তারা বলার চেষ্টা করে যে, আল্লাহর রুবুবিয়াতের সাথে তারা একমত হতে রাজি। আল্লাহ তা’আলা এক এবং অদ্বিতীয়, তার কোন শরীক নেই। এ বিষয়গুলো চর্চা করতে দিতে শিক্ষিত মুশরিক কিংবা সেকুলারদের কোন আপত্তি নেই। তাদের আপত্তি সেই রব্বকে নিয়ে, যিনি আসমানী কিতাব দিয়ে হালাল-হারাম নির্ধারণ করে দেন। আর-রহমানকে নিয়ে তাদের আপত্তি নেই, আর-রহিমকে নিয়ে তাদের আপত্তি।
.
একটু সূক্ষ্ণভাবে চিন্তা করলেই এই বাস্তবতাটা বুঝতে পারা সম্ভব। তারা আসলে ইসলামের কতটুকু চর্চা করার অনুমতি দেয়? মানে রব্ব হিসেবে আল্লাহ যে দায়িত্ব পালন করে আসছেন, তারা নিজেরা সেটা এ্যাপ্রিশিয়েট করে। কিন্তু যখনই আসমানী কিতাব নিঃশর্ত মান্য করার বিষয় চলে আসে, তখন তারা বেকে বসে।
.
এখন এই কাজটা উলুহিয়াহ কিংবা রুবুবিয়াহ এই দুই ভাগ করেই যে করতে হবে, বিষয়টা তা না। তবে কেউ বুঝার সুবিধার্থে শব্দের পার্থক্য করে বুঝতে কিংবা বুঝাতে পারে। উদ্দেশ্যটা হল মূল যে, কি বুঝানোর চেষ্টা করছে। অবশ্যই মুশরিকরা যেই রুবুবিয়াহ স্বীকার করে, সেখানেও তারা শরীক করে। আর তারা তো আল্লাহর হাকিমিয়াহ মানেই না। তারা যদি আল্লাহর উলুহিয়াহ মানতো, তবে তো তারা লা~ ইলাহা ইল্লাল্লাহ -ই পড়তো, বলতো।
.
অথচ আমরা দেখি, সালাফী কিংবা জিহাদী এই শব্দগুলোর প্রতি বিদ্বেষ বশত অনেকে উলুহিয়াহ কিংবা রুবুবিয়াহ এভাবে ভাগ করে বুঝানোর বিষয়টা বিকৃতভাবে বর্ণনা করছে। যেমন নাস্তিক কিংবা অজ্ঞেয়বাদীরা প্রকৃতপক্ষে “প্রকৃত” নামক সৃষ্টিকে রব্বের আসনে বসিয়েছে। অর্থাৎ তাদের মধ্যেও রুবুবিয়াতে ধারণা আছে। তবে সেই রুবুবিয়াত মুসলিমদের বুঝের মত নয়, সালাফী জিহাদীরা এমন মনে করে না। আমি বরং বলবো, সকল মানুষের মধ্যে রুবুবিয়াতের ধারণা বাই-ডিফল্ট থাকে। তবে নাস্তিকরা প্রকৃতিকে রব্বের আসনে বসিয়েছে, কারণ এই মিথ্যা রব্বের কোন আসমানী কিতাব নেই, এই রব্ব হালাল-হারাম নির্ধারণ করে দেয়া না। তাদের আপত্তি এখানেই। ঠিক সেকুলারিসম যা চায় যে, আসমানী কিতাব থেকে বিধান নেয়া হবে না, বরং নিজেদের খেয়াল-খুশিই হবে বিধান প্রণয়নের মূল উৎস।
- Ibne Mazhar





প্রিয় ভাই-বোনেরা, ঈমানকে আঁকড়ে থাকো। সাধ্যমত আমল করে যাও। হয়ত কিছুদিন পর আমাদের অনেকেই মাটির নীচে অবস্থান করব। অবস্থা খুবই খারাপ। আমি তোমাদের আতঙ্কিত করছি না, কিন্তু বাস্তবতা সত্যিই ভয়াবহ। 
.
তোমাদের লেন-দেন ক্লিয়ার করো, ওসিয়ত লিখে ফেলো। সমাপ্তিটা সুন্দর করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করো।
.
খুব বেশি পরিমাণে ইসতিগফার পাঠ করো, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর বারবার দরুদ পড়ো, সকাল-সন্ধ্যার মাসনূন আমলগুলো আঁকড়ে থাকো, সলাতকে সুন্দর করো।
.
কারো সাথে মনোমালিন্য থাকলে মাফ চেয়ে নাও, প্রয়োজনে পা ধরে হলেও সব মিটমাট করে ফেলো। এখন থেকেই নিজের আখলাককে সর্বোচ্চ সুন্দর করো। 
.
অপ্রয়োজনীয় কথা বলা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দাও। গিবত, গসিপিং ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকো। বাসায় অবস্থান করো। 
.
অন্তত এটুকু চেষ্টা করো—সামনের প্রতিটি দিন যেন বিগত দিন থেকে ক্রমান্বয়ে ভালোর দিকে যায়। আল্লাহ্ আমাদের সবর করার তাওফিক দিন।
.-Tasbeeh






















➤ একজন সাহাবিকে নবীজি তাঁর জীবদ্দশায় জান্নাতী বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাও সেটি তিন বার! তিনি সবাইকে ক্ষমা করে দিতেন, কারো প্রতি বিদ্বেষ রাখতেন না। শুধু এই কারণে তিনি ঘোষণাপ্রাপ্ত জান্নাতী! তাঁর বিশেষ কোনো নফল আমল ছিলো না।
.
কারো অন্তর এতটাই সংকীর্ণ যে, সেখানে তার নিজেরও জায়গা থাকে না! শবে বরাতের রাতে আল্লাহ্ সব মুসলিমকে মাফ করে দেন—দুই শ্রেণি বাদে। তাদের মধ্যেও এক শ্রেণি হলো, যারা বিদ্বেষপরায়ণ। কঠিন, বিদ্বেষপরায়ণ অন্তর থেকে আল্লাহ্ আমাদের হেফাযত করুন। 
.
হাফিয ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘‘সমস্ত পাপের উৎস তিনটি। (এক.) অহংকার—এটা ইবলিসের পতন ঘটিয়েছিলো; (দুই.) লোভ—এটা জান্নাত থেকে আদম (আ.)-কে বের করে দিয়েছিলো এবং (তিন.) হিংসা—এটা আদম (আ.)-এর এক সন্তানের বিরুদ্ধে অপর সন্তানকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তুলেছিলো। যে ব্যক্তি উক্ত তিনটি বস্তুর অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকতে পারবে, সে যাবতীয় অনিষ্ট থেকে বাঁচতে পারবে। কেননা কুফরির মূল উৎস হলো অহংকার; পাপাচারের মূল উৎস হলো লোভ আর বিদ্রোহ ও সীমালঙ্ঘনের মূল উৎস হলো হিংসা।’’ (ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ, আল-ফাওয়াইদ, পৃষ্ঠা: ৫৮) 
.
হাসান আল বাসরি (রাহ.) বলেন, ‘‘হিংসুকের চেয়ে বড় কোন জালেমকে আমি দেখিনি, যে নিজেই মাজলুমের মতো (অত্যাচারিত)। কেননা সে বেঁচে থাকে, অথচ দুঃখ তার জন্য অবশ্যম্ভাবী এবং দুশ্চিন্তা তার অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।’’ (ইবনু আব্দি রাব্বিহি, আল-ইক্বদুল ফারিদ: ২/২৭০)
.
আবু হাতেম দারেমি (রাহ.) বলেন, ‘‘জ্ঞানীর উপর ওয়াজিব হলো—সর্বাবস্থায় সে হিংসা থেকে দূরে থাকবে। কেননা হিংসার সবচেয়ে নীচু স্তর হলো—তাক্বদিরের উপর সন্তুষ্টি পরিত্যাগ করা এবং আল্লাহ স্বীয় বান্দার জন্য যা নির্ধারণ করেছেন তার বিপরীত কামনা করা।’’ (আবু হাতেম দারেমি, রওদ্বাতুল উক্বালা, পৃষ্ঠা: ১৩৪)
.
আল কুরআনুল কারিমে আল্লাহ্ বলেন, ‘‘যারা হৃদয়ের কার্পণ্য হতে মুক্ত, তারাই তো সফলকাম।’’ (সূরা হাশর: ০৯)
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘শ্রেষ্ঠ মানুষ কে?’’ তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেক শুদ্ধহৃদয় ও সত্যভাষী ব্যক্তি।’’ লোকেরা বুঝতে পারেননি। তখন নবীজি আরো স্পষ্টভাবে বলেন, ‘‘সে হবে আল্লাহভীরু ও পরিচ্ছন্নহৃদয়—যাতে কোনো পাপ নেই; সত্যদ্রোহিতা নেই; বিদ্বেষ নেই; হিংসা নেই।’’ [ইবনু মাজাহ: ৪২১৬, সিলসিলা সহিহাহ: ৯৪৮]
.
- Tasbeeh


































➤সতর্কবার্তাঃ
কুরআনে আল্লাহ বলেন :
وَلَنُذِيقَنَّهُم مِّنَ الْعَذَابِ الْأَدْنَىٰ دُونَ الْعَذَابِ الْأَكْبَرِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ
আর আমি তাদেরকে বড় শাস্তির আগে ছোট শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাই, যেন তারা ফিরে আসে।
[সুরা সাজদা : ২১]

সমাধানঃ
وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ
আর তারা ক্ষমাপ্রার্থনারত থাকলে আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন না।
[সুরা আনফাল : ৩৩]







মারসেলিয়া ভাইরাস
আর লবঙ্গ-কাহিনি...!
১৭২১ সাল।
ফ্রান্সে ব্যাপকভাবে মারসেলিয়া ভাইরাস/মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। মারসেলিয়ায় প্রায় একলাখ মানুষ মারা যায়। মারসেলিয়া ছড়িয়েছিল ভ্যাকটেরিয়া ভাইরাসাক্রান্ত একটা মাছির মাধ্যমে। মাছিটা বসেছিল একজন লোকের গায়ে। আর এই লোক ছড়িয়ে দিয়েছিল অপরাপর লোকদের মধ্যে।
মারসেলিয়া ভাইরাস প্রতিরোধকরণে ব্যর্থ হয়ে পড়ে ফরাসি সরকার। রাস্তাঘাটে মৃত লোকদের স্থানান্তরিত করে সৎকার করার জন্য পর্যন্ত কোনো লোক পাওয়া যেত না। সবাই সংক্রমণের ভয় করত। এতে লাশগুলো পচে গিয়ে পরিবেশ আরও খারাপ করে দিচ্ছিল।
ফরাসি সরকার এক অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে। লাশগুলো স্থানান্তরিত করে সৎকার করার জন্য দেশের কারাগারগুলোতে ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আসামিদের ওপর হকুম জারি করে যে, তারা যেন লাশগুলো সরায় এবং সৎকার করে। এভাবে সরকার এক গুলিতে দুই পাখি শিকার করার পদ্ধতিগ্রহণ করে।
সরকারের আইন অনুযায়ী ফাঁসির আসামিরা লাশগুলো স্থানান্তরকরণ ও সৎাকারের কাজে লিপ্ত হয়ে যায়। কিছুদিন পর দেখা যায়, প্রত্যেক আসামিই মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে এবং মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। শুধুমাত্র দুইজন আসামি ছাড়া। এ দুজনই ছিল নিরাপদ।
অনেক গবেষণা ও অনুসন্ধান করার পর জানা গেল যে, সুস্থ ও নিরাপদ দুজন আসামির একজন হলেন ভেষজ চিকিৎসক। গাছগাছড়ার মূল ও বিভিন্ন গুল্মলতা দ্বারা তিনি মানুষের রোগব্যধির চিকৎসা করতেন। লাশ স্থানান্তরকরণ কাজের পুরো সময়টাতেই তিনি তার সঙ্গীকে নিয়ে একটি গুল্মলতা ব্যবহার করেছিলেন। যার কারণে তারা মহামারির জীবাণু থেকে বাঁচতে পেরেছিলেন।
কিন্তু কী সেই গুল্মলতা? সেই গুল্মলতাটি ছিল লবঙ্গ-গাছ। লবঙ্গ ব্যবহার করেই তারা নিরাপদ ছিলেন! এই ভেষজ চিকিৎসকের কাছ থেকেই ফরাসি সরকার মারসেলিয়া ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় সনাক্ত করেছিল।
বি : দ্র : পোস্টটি একটি আরবি ফেসবুক পেইজের লেখা অবলম্বন করে ইন্টারনেট ঘেঁটেঘুটে লিখেছি। সত্যতা জানা নেই আমার। কারও জানা থাকলে জানাবেন। আর হ্যাঁ, দয়া করে এই লেখাটি 'করোনাভাইরাস আর থানকুনিপাতা'র কাহিনি মনে করবেন না। ভালো থাকুন।
-
মারসেলিয়া ভাইরাস
Next Post Previous Post