কুরবানির ঈদ মোবারক ২০২৪ | ঈদুল আযহার ইসলামিক photo | ৩০০+ ঈদ মোবারক ছবি পিকচার কবিতা শুভেচ্ছা এস এম এস ও photo 2024



ঈদ মোবারক |  ঈদ মোবারক ছবি পিকচার  কবিতা শুভেচ্ছা এস এম এস ২০২৪

রোজার ঈদ বা ঈদুল ফিতর নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক আনন্দ  শুভেচ্ছা বিনিময় বেশি হলেও কুরবানির ঈদে এটি তুলনামুলক কম হয়। তাও যারা অনলাইনে প্রিয়জনদের শুভেচ্ছা দিতে চান তাদের জন্য আজকের পোস্ট টি হেল্পফুল হবে আশা করি। 
















ঈদ মোবারক











সহিহ হাদিসের আলোকে ঈদের রাতের আমল ও ঈদের দিনের আমলগুলো 

.
❑ ঈদের রাতের আমল:.
ঈদের রাতের আমলের ব্যাপারে কয়েকটি হাদিস এসেছে। তবে, মুহাদ্দিস ইমামগণ সর্বসম্মতভাবে সেগুলোকে ‘দুর্বল’ বলেছেন। তবে, যেহেতু সাধারণ ফজিলতের ক্ষেত্রে দুর্বল হাদিসের উপর আমল করতে অসুবিধা নেই, তাই অধিকাংশ আলিম ঈদের রাতে আমল করা ‘মুসতাহাব’ (ভালো কাজ) গণ্য করেছেন। অতএব, কেউ চাইলে ঈদের রাতে আমল করতে পারেন। [হাশিয়াহ ইবনু আবিদিন, আল-উম্ম লিশ শাফি‘ঈ, মাজমু‘উ লিন নাবাবী]
.
হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ইবাদতের উদ্দেশ্যে দুই ঈদের রাতে জেগে থাকবে, তার অন্তর সেদিন মরবে না, যেদিন অন্তরগুলো মরে যাবে।’ (অর্থাৎ, কিয়ামতের দিন তার ভয় থাকবে না) [ইবনু মাজাহ:১৭৮২, হাদিসটি দুর্বল। ইমাম নববী (রাহ.), ইবনু হাজার (রাহ.), গত শতাব্দীর আলবানী (রাহ.)-সহ প্রায় সকল মুহাদ্দিস হাদিসটিকে দুর্বল বলেছেন।]
.
অধিকাংশ আলেমের মতে, কেউ চাইলে এই রাতে আমল করতে পারেন। তবে, এই রাতে ইবাদতের বিশেষত্ব নিয়ে কোনো সহিহ হাদিস সাব্যস্ত হয়নি। কোনো বিধান প্রমাণের ক্ষেত্রে ‘সহিহ’ হাদিস জরুরি, কিন্তু ফজিলতের ক্ষেত্রে অধিকাংশ আলিম শর্তসাপেক্ষে ‘দুর্বল’ হাদিসকেও আমলে নিয়েছেন। কোনো কোনো আলেম এই রাতকে গুরুত্ব দিয়ে আমল করাকে নাকচ করে দিয়েছেন।
.
❑ ঈদের দিনের উল্লেখযোগ্য মাসনূন আমলসমূহ:
.
❖ ঈদুল ফিতরে কিছু খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং ঈদুল আযহায় কিছু না খেয়ে যাওয়া।
.
বুরায়দা (রা.) বলেন, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কিছু না খেয়ে বের হতেন না এবং ঈদুল আযহার দিনে ফিরে আসার আগে কিছুই খেতেন না। ফিরে এসে তার কুরবানির পশুর মাংস থেকে ভক্ষণ করতেন।’ [দারা ককুতনী, মুসতাদরাক হাকিম: ১/৪৩৩, তিরমিযি: ২/৪২৬ হাদিসটি সহিহ]
.
সুন্নাত হলো, ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে বেজোড় সংখ্যক খেজুর খাওয়া। [সহিহ বুখারি: ৯৫৩]
.
খেজুর না থাকলে অন্য কিছু খাওয়া।
.
❖ ঈদের রাতে ও ঈদের দিনে (খুতবা পর্যন্ত) বেশি বেশি তাকবির দেওয়া। পুরুষ শব্দ করে তাকবির দিবে, নারী চুপে চুপে।
.
ঈদের তাকবিরের শব্দাবলী:
‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাল্লাহিল হামদ’ [ইবনু আবি শাইবাহ, সহিহ সনদ]
.
হাদিসে এসেছে, ‘ইবনু উমার (রা.) উভয় ঈদে তাকবির বলে বলে ঈদগাহে যেতেন।’ [মুসতাদরাক হাকিম: ১০৫৬]
.
❖ ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া ও অন্য রাস্তা দিয়ে আসা উত্তম।
.
জাবির (রা.) বলেন, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন (যাওয়া-আসায়) রাস্তা পরিবর্তন করতেন।’ [ইবনু মাজাহ: ১০৭৮]
.
❖ সামর্থ থাকলে পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নাত।
.
আলী (রা.) বলেন, ‘সুন্নাত হলো পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া।’ [তিরমিযি: ১২৯৬]
.
❖ ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়:
.
মুহাম্মদ বিন যিয়াদ আল আলহানী (রাহ.) বলেন, ‘আমি সাহাবি আবু উমামা আল বাহিলী (রা.)-কে ঈদের দিন তাঁর সাথীদের উদ্দেশ্যে বলতে দেখেছি— تَقَبَّلَ اللّٰهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ
.
[তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম] অর্থ: আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের (নেক কাজগুলো) কবুল করুন। [বায়হাকি: ২/৩১৯, হাসান সনদ]
.
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা।’
.
তবে, ‘ঈদ মুবারক’ বা এজাতীয় আঞ্চলিক পরিভাষা দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোও বৈধ। এতে কোনো সমস্যা নেই। এ ব্যাপারে আলিমগণ একমত।
.
❖ ঈদের দিনে ঈদগাহে অন্য কোন নামায পড়া মাকরূহ। তবে ঘরে এসে দুই রাকাত পড়তে পারেন।
.
আবু সা‘ঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের নামাজের পূর্বে কোনো নামাজ পড়তেন না। তবে নামাজের পর বাসায় ফিরে দুই রাকাত নামাজ পড়তেন।’ [ইবনু মাজাহ: ১২৯৩, আবু দাউদ: ২৫৫]
.
❖ ঈদের নামাজের তাকবিরগুলো:
.
মোটাদাগে এদেশে অধিকাংশ মানুষ ৬ তাকবিরে ঈদের নামাজ পড়েন আর আহলে হাদিস মাসলাকের অনুসারীগণ ১২ তাকবিরে পড়েন। দুটোই নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবিদের থেকে সহিহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং এ বিষয় নিয়ে ঝগড়া করা উচিত নয়।
- Tasbeeh




















































































































ঈদ মোবারক ছবি













'ঈদ মোবারক' না বলে সাহাবীদের বাতলানো বাক্যটি বলা চাই---

মুমিনের শান হলো, সে তার জীবনের পরতে পরতে সুন্নতের অনুসরণ করে চলবে। সে প্রত্যেকটা আমলের মধ্যে তালাশ করবে, এইখানে আমার পেয়ারা রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ কি? সুন্নত কি? সেটা সে গ্রহণ করবে।

আর যদি তালাশ করে দেখে যে,
ঐ আমলের মধ্যে সরাসরি আমার নবীজী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনো সুন্নত পাওয়া যাচ্ছে না। 

তখন সে তালাশ করবে এখানে সাহাবায়ে কেরামের আদর্শ কি? সুন্নত কি? এটা হচ্ছে মুমিনের শান। সে নিজে থেকে কোনো আমল তৈরি করবে না।

ঈদের দিন এক সাহাবীর সঙ্গে অন্য সাহাবীর দেখা সাক্ষাৎ হলে তারা শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন এই বাক্য বলে -

تَقَبَّلَ اللّهُ مِنَّ وَ مِنْكُمْ
"তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম"
[বাইহাকী ২/৩১৯]


তো হাদীসে পাকে এ আমল পাওয়া যায়। সাহাবায়ে কেরাম ঈদের দিন পরস্পর দেখা সাক্ষাতের সময় এই বাক্য বলতেন। এটা তো শুধু একটা বাক্য না, এটা একটা দু'আ। 

কত চমৎকার দু'আ-

تَقَبَّلَ اللّهُ مِنَّ وَ مِنْكُمْ
"তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম" 

অর্থ আল্লাহ আমাদের পক্ষ থেকে এবং আপনাদের পক্ষ থেকে কবুল করেন।


অর্থাৎ আমরা যে দীর্ঘ এক মাস রোযা রাখলাম, তারাবীহ পড়লাম, ইফতার করলাম, সাহরী খেলাম ইত্যাদি বহু আমল করার আল্লাহপাক তৌফিক দান করেছেন, এ সকল আমল আল্লাহপাক কবুল করেন। কত বড় আজিমুশশান দু'আ এবং উচ্চস্তরের ইবাদত হয়ে গিয়েছে।

সাহাবায়ে কেরামের বাক্য হতো ছোট কিন্তু সেখানে এক সাগর মওজুত থাকতো। ছোট্ট বাক্যের মধ্যে বিশাল এক তাৎপর্য থাকতো। এই দু'আ-ই তার বড় দলিল।

আমাদের পক্ষ থেকে এবং আপনাদের পক্ষ থেকে আল্লাহ তা'য়ালা কবুল করেন। আমরা যে এক মাস আমল করলাম, যার ভিতরে হাজারো ভুলত্রুটি আছে, তারপরও মেহেরবানী করে আপনি আল্লাহ কবুল করেন। কত চমৎকার দু'আ...

ঈদের দিন সাহাবায়ে কেরাম একে অন্যের সঙ্গে সাক্ষাত হলে এ বাক্য বলতেন।
আফসোসের বিষয় আমরা সাহাবায়ে কেরামের আমল থেকে বহু দূরে সরে গিয়েছি।

আমরা ঈদের দিন একজন আরেক জনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত হলে বলি "ঈদ মোবারক"।
এর এত ব্যাপক প্রচলন হয়েছে যে, ঈদের দিন কোনো অমুসলিমের সঙ্গে দেখা হলে তখনও বলে, "ঈদ মোবারক"। এমনটা না বলা চাই।

ঈদ মোবারক শব্দ দু'টি তো সুন্দর মাশাআল্লাহ এবং এটা বলাও জায়েয। কিন্তু উত্তম হচ্ছে ঐটা বলা যা শুরুতেই বলা হয়েছে।

যে সময় যে আমল করি, প্রথমে তালাশ করা যে, এখানে আমার রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল কি ছিল?

 যদি দেখা যায় এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল পাচ্ছি না। তাহলে তখন তালাশ করা যে, এখানে সাহাবীদের আমল কি ছিল? আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন।

মেসেজ দেওয়ার ক্ষেত্রেও একই বিষয়। "ঈদ মোবারক" না লিখে, সাহাবায়ে কেরামের ঐ বাক্যটি লিখে দেওয়া। এটা অনেক বড় কাজের কাজ হয়ে যাবে।

এর দ্বারা খুশি প্রকাশ হবে, আর ঈদের দিন খুশি প্রকাশ করা সুন্নত।
সাহাবায়ে কেরামের ঐ বাক্য বলার দ্বারা খুশিও প্রকাশ করা হলো আবার তার জন্য দু'আও করা হলো। নিজের জন্যও দু'আ করা হলো।

[শায়খ মুহাম্মাদ রবিউল আকরাম]























ঈদের পিকচার





































ঈদ মোবারক

























ঈদ মোবারক photo

























ঈদ মোবারক পিকচার
















ঈদ মোবারক শুভেচ্ছা বার্তা












ঈদ কার্ড
























অগ্রিম ঈদ মোবারক




































গুনাহ মাফের সহজ দশটি আমল,
১। সুন্দরভাবে ওযু করা
যে ব্যক্তি ওজু করে এবং তা সুচারুরূপে সম্পন্ন করে; তার শরীর থেকে গুনাহগুলো বের হয়ে যায়, এমনকি তার নখের নিচ থেকে সেগুলো বের হতে থাকে’। (মুসলিম/২৪৫)
২। বাসা থেকে ওযু করে মসজিদে যাওয়া
যে ব্যক্তি তার বাড়ি থেকে পবিত্রতা অর্জন করে, এরপর ফরজ আদায়ের জন্য আল্লাহর কোনো একটি ঘরের উদ্দেশ্যে হাঁটতে থাকে; তার প্রত্যেক পদক্ষেপে একটি করে গুনাহ মুছে দেয়া হয় এবং অপর পদক্ষেপে এক ধাপ মর্যাদা উন্নীত করা হয়’। (মুসলিম/৬৬৬)
৩। ওযু অবস্থায় সালাত আদায়ের স্থানে অবস্থান করা
যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের কেউ তার সালাত আদায়ের স্থানে অবস্থান করছে এবং তার ওজু ভঙ্গ না হচ্ছে; ফিরিশতারা তার জন্য দুআ করতে থাকে – হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে দিন; হে আল্লাহ! তার উপর দয়া করুন’। (বুখারি/৬৫৯)
৪। সালাতের পর তিন তাসবিহ পড়া
প্রত্যেক সালাতের শেষে যে ৩৩ বার তাসবিহ [সুবহানাল্লাহ], ৩৩ বার তাহমিহ [আলহামদুলিল্লাহ], ৩৩ বার তাকবির [আল্লাহু আকবার] পাঠ করবে; এরপর “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির” [একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই, তাঁর কোনো শরিক নেই, তাঁর জন্যই রাজত্ব ও প্রশংসা, তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান] এর মাধ্যমে একশত পূর্ণ করবে; তার গুনাহগুলো মাফ করে দেয়া হবে, এমনকি যদি তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণও হয়’। (মুসলিম/৫৯৭)
৫। দিনে একশতবার "সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি" পড়া
যে ব্যক্তি একদিনে একশত বার “সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি” বলবে; তার গুনাহগুলো মুছে দেয়া হবে, এমনকি যদি তা সাগরের ফেনারাশির মতও হয়’। (বুখারি/৬৪০৫)
৬। দুরুদ পাঠ করা
যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে; আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত প্রেরণ করবেন, তার দশটি গুনাহ মুছে দেবেন এবং তার মর্যাদা দশ ধাপ উন্নীত করবেন’। (নাসায়ি/১২৯৭); সাহিহ।
৭। দান সাদাকাহ করা
সাদাকা সেভাবে গুনাহকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়, যেভাবে আগুন পানিকে নিভিয়ে দেয়’। (তিরমিজি/২৬১৬); হাসান
৮। আরাফার নফল রোজা রাখা
আমি আল্লাহর কাছে আশা রাখি, আরাফার দিনের সিয়াম দ্বারা এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের [গুনাহগুলোর] ক্ষতিপূরণ হবে এবং আমি আল্লাহর কাছে আশা রাখি আশুরার দিনের সিয়াম দ্বারা তার বিগত বছরের [গুনাহগুলোর] ক্ষতিপূরণ হবে’। (মুসলিম/২৬১৭)
৯। পোশাক পড়ার দোয়া পড়া
যে ব্যাক্তি কোনো পোশাক পরিধান করে বলবে - “আলহামদু লিল্লাহিল্লাযি কাসানি হাযাস সাওবা ওয়ারাযাকানি মিন গাইরি হাওলিন মিন্নি ওয়ালা কুওওয়াতিন” [সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাকে এই পোশাক পরিয়েছেন ও তা রিজক হিসেবে দান করেছেন, আমার নিজের কোনো শক্তি বা সামর্থ্য ছাড়াই] – তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুনাহগুলো মাফ করে দেয়া হবে’। (আবু দাউদ/৪০২৩); হাসান।
১০। দুজন মুসলিম মুসাহাফা করা
দুজন মুসলিম পরস্পর মিলিত হওয়ার পর মুসাহাফা করলে, তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই তাদের উভয়কে ক্ষমা করে দেয়া হয়’। (আবু দাউদ/৫২১২); সহিহ
সংকলনঃ ইমরান হেলাল



হুজুর এক মসজিদের এক কোণে বসে তাসবিহ পাঠ করছেন। এক লোক হুজুর পাশে চুপ করে বসলেন। হুজুরের কাছে তার একটি প্রশ্ন আছে, কিভাবে করবেন বুঝতে পারছেন না। তিনি লজ্জা পাচ্ছেন। লোকটি ভয়ে ভয়ে হুজুরকে সালাম দিয়ে বলল, 'হুজুর! আমি একটা ব্যক্তিগত সমস্য নিয়ে আপনার কাছে এসেছি।'
হুজুর বলল, 'কি সমস্যা?!'
লোকটি বলল, 'আমি কয়েক বছর হলো বিয়ে করেছি। আমার একটি সন্তান আছে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে আমি অনুভব করছি, আমি আমার স্ত্রীকে আগের মত ভালবাসতে পারছি না।'
হুজুর তাসবিহ পাঠ বন্ধ করে লোকটির দিকে তাকালেন। মুচকি হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, 'কেন, আপনার স্ত্রী কি আগের থেকে মোটা হয়ে গেছে?'
লোকটি বলল, 'না। সে আগের মতই আছে।'
হুজুর বলল, 'সে কি এর মধ্যে কোন এক্সিডেন্ট করেছে, যার ফলে তার চেহারা নষ্ট হয়ে গেছে বা কোন অঙ্গ হানি হয়েছে?'
লোকটি বলল, 'সেরকম কিছুই হইনি। আগের মতই আছে।'
হুজুর বলল, 'তাহলে আপনার স্ত্রী কি কোন পর পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে?'
লোকটি এবার একটু রাগত্ব স্বরে বলল, 'না। আমার স্ত্রী নেককার, দ্বীনদার। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজস পড়ে, পর্দা করে।'
এবার হুজুর বলল, 'তাহলে আপনি যখন রাস্তায় চলাফেরা করেন, তখন আপানার পাশ দিয়ে কোন মহিলা অতিক্রম করলে, আপনি আপনার দৃষ্টি নত রাখেন না। মহিলাম দিকে হারাম দৃষ্টিতে তাকান। এবং আপনি হয়তো পর্ণগ্রাফির প্রতি ঝুকে পড়েছেন।'
লোকটি মাথা নিচু করে আছে। কোন কথা বলছে না। হুজুর লোকটি জিজ্ঞেস করল, 'আপনার সম্পর্কে আমার ধারনা কি সত্যি?'
লোকটি মাথা নিচু করেই বলল, 'জ্বী হুজুর। কিন্তু আপনি কিভাবে জানেন এসব?!'
হুজুর বলল, 'যখন আপনি কোন হারাম কাজে লিপ্ত হবেন, কোন হামার সম্পর্কে জড়িয়ে যাবেন। হারাম খাবেন। হারাম বিছানায় শুবেন এবং হারাম কোন কিছু আপনার নিশ্বাসের সাথে চলে আসবে তখন হালাল জিনিস গুলো আপানর কাছে অপছন্দীয় মনে হবেন। হালাল কোন কিছুকেই আপনি আর ভালবাসতে পারবেন না।'

#অনুগল্প: নাম ঠিক করতে পারি নি....😚😚
- যায়িদ হাসান ইসমাঈল





ঈদ উদযাপনের জন্য আপনার বাড়িটি
সাজান ঈদের  ঠিক কিছুদিন আগে বাড়িটি একটি সক্রিয় মৌমাছিতে রূপান্তরিত হয়, যেহেতু গৃহিণী এই আনন্দময় অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত ঘরগুলি সাফ করে এবং সজ্জিত করে এবং পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সর্বোত্তমভাবে উদযাপন করে। "আমার কমনীয়তা" ঈদ আল ফিতরকে স্বাগত জানাতে বাড়ির সাজসজ্জার ধারণাগুলির একটি সেট সরবরাহ করে: -
ঘর আলো: এটি জরুরী যে বাড়ীতে আনন্দ এবং আলোকসজ্জার পরিবেশ তৈরি করার জন্য ঘরটি ভালভাবে আলোকিত করা উচিত। দিবসটি উদযাপনের জন্য রঙিন হওয়া উচিত।
মোমবাতি ব্যবহার: আপনার বাড়িতে একটি রোমান্টিক এবং উষ্ণ পরিবেশ তৈরি করার জন্য একটি অনন্য ধারণা, কারণ এটি বেশিরভাগ অনুষ্ঠানে এবং উত্সব পরিবেশের সাথে খাপ খায়।
লণ্ঠন: লন্ঠন যদিও রমজান মাসের পবিত্র বরাদ্দের অন্যতম  তবে গ্রহণের জন্য সেগুলিও কার্যকর।
উজ্জ্বল রঙ: ঈদ এমন একটি অনুষ্ঠান যা পরিবারের সকল সদস্যের মনকে আনন্দিত করে। তাই বাড়ির সজ্জাতে উজ্জ্বল এবং উজ্জ্বল রঙগুলি যুক্ত করা উচিত, কারণ এই দিনটিতে সবকিছু রঙিন এবং উজ্জ্বল হওয়া উচিত।
কাগজের সাজসজ্জা: বিভিন্ন ধরণের কাগজের সজ্জা বাজারে পাওয়া যায় যা joyদে আনন্দের পরিবেশকে বাড়িয়ে তোলে। এবং colorsদের অর্থ প্রকাশ করে এমন সুন্দর রঙ এবং আকার চয়ন করুন।
ডাইনিং টেবিল সাজাইয়া রাখা: ঈদের দিন ডাইনিং টেবিলটি বাকী দিনগুলির চেয়ে আলাদা হওয়া উচিত। থালা বাসন সজ্জিত করা উচিত এবং ভোজ উত্সব পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য করা উচিত।
ব্যানারগুলি হ্যাং: আপনার অতিথিদের একটি নির্দিষ্ট লক্ষণ সহ গ্রহন করুন যা শব্দগুলিকে স্বাগত জানায় এবং ঈদ আগমন উদযাপন করবে।
ফুল: সর্বাধিক আনন্দময় অনুষ্ঠানে উত্সব বায়ুমণ্ডলের সেরা অভিব্যক্তি pleasant এমন একদল তাজা ফুলের সাথে ঘরটি সাজাইয়া ঠিক আছে যা সুগন্ধযুক্ত।
Eidদের আশ্চর্য: :দে আপনার পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু চমক আনার চেষ্টা করুন: যেমন আপনার স্বামী এবং শিশুদের জন্য বিশেষ উপহার কেনা বা এই উপলক্ষে বিশেষ কার্ড উপস্থাপন করা।
Next Post Previous Post