ইসরাইলিদের এত বুদ্ধিমত্তার কারণ কি? ইহুদিরা কেন শক্তিশালী

 ইজ্রায়েলিদের এত বুদ্ধিমত্তা বলতে কি বুঝাচ্ছেন? কেন মনে হচ্ছে ওরা অন্য দেশের মানুষের চেয়ে খুব বেশি বুদ্ধিমান?

ইজরায়েল এর অনেক বুদ্ধির যা দেখছেন তার পিছনে আছে ইউরোপ ও আমেরিকার জিও পলিটিক্স এর ফল। আমেরিকা প্রতি বছর কয়েক বিলিওন ডলার ইজরায়েল কে সহায়তা করে। ইউরোপ আমেরিকা যেকোনো টপিকে চোখ বন্ধ করে ইজরায়েল কে সাপোর্ট দেয়।

যেমন ধরুন বাংলাদেশ আর্মির যোগ্যতা ও জ্ঞান আছে মিলিটারি Tank বানানোর কিন্তু আমরা চাইলেই সেটা বানাতে পারবো না কারন বানালে ইউরোপ আমেরিকা চাপ দিবে, নানা রকম অবরোধ আরোপ করবে, আমদানি রপ্তানি তে বাধা দিবে। এর ফলে বাংলাদেশ চাইলেও অনেক কিছু করতে পারে না। 

উল্টা হয় ইজরায়েল এর ক্ষেত্রে, ওরা নিউক্লিয়ার বোমা বানিয়ে বসে থাকলেও ইউরোপ আমেরিকা কিছুই করবে না বলবে না। খুব বেশি পাবলিক প্রেসার তৈরি হলে একটু আধটু লোক দেখানো কাগজে খতিয়ে দেখছি টাইপ কথা বলতে দেখা যাবে কিন্তু ইজরায়েল কে কোন কিছুতে বাধা দেওয়া হবে না।

এর কারন মূলত ২টা।

  1. এক,মিডল ইষ্টের ভু রাজনীতি যেখানে তেলের সাগর।
  2. দুই, ইউরোপ এবং আমেরিকা ২ জায়গাতেই ইহুদি লবিং অনেক অনেক শক্তিশালী।

ইহুদিরা কেন শক্তিশালী

আমেরিকার অনেক প্রভাবশালী বিজনেসম্যান, পলিটিশিয়ান এই লবিং এর সাথে জড়িত।

এখন দেখেন সমগ্র ইউরোপ আমেরিকার সাহায্য ছাড়া ইজরায়েল এর আলাদা কোন ক্ষমতা আছে কি? ক্ষমতা না থাকলে আপনার বুদ্ধির দাম নাই।

বিভিন্ন সাইন্টিফিক পরিক্ষা চালানো, বোমা বানানো, রকেট বানানোর ক্ষমতা ও জ্ঞান অনেক দেশের ই আছে কিন্তু সেসব দেশ যদি এসব বানাতে চাই তাহলে ইউরোপ আমেরিকার যে চাপ আসবে তা ফেস করার ক্ষমতা নাই। যেমন ইরান।

নিউক্লিয়ার বোমা না বানিয়েও বছর বছর ধরে অবরোধে পড়ে আছে ফলে অর্থনীতি ধ্বসে পড়ার মত অবস্থা।

সাদ্দাম এর ইরাক। মিথ্যা MDW এর অভিযোগ তুলে দেশ টাকে ধ্বংস করে দেওয়া হলো।

কারা করলো? ঐ ইউরোপ আমেরিকা যারা ইজরায়েল কে নিজের দেশের চাইতে বেশি সমর্থন করে!!

দেখতেই পাচ্ছেন এখানে শুধু বুদ্ধির ব্যাপার না, সমষ্টিগত ভাবে রাজনীতি অর্থনীতি সামরিক ব্যাপার জড়িত।

এবার আসেন ইজরায়েল বলতে ইহুদি মানুষ বুঝিয়ে থাকলে সেটার ব্যাপারে একটু শুনি।

অনেক সময় দেখা যায় ইজরায়েল আর ইহহুদিরা কত শক্তিশালী কত বুদ্ধিমান ব্বলা ব্লা নিয়ে বিশাল পোস্ট!

ইহুদিরা যদি এতই বুদ্ধিমান এতই শক্তিশালী হয়ে থাকে তাহলে গত ২০০০ বছর ধরে কেন একটা স্বাধীন রাস্ট্র গঠন করতে পারেনি ওরা? শেষ পর্যন্ত ৪৭ সালে ইউরোপ এর সাহায্যে + আমেরিকার প্রটেকশনে নিজেদের জন্য এক টুকরো ভূমি পাইছে!

এই ইহুদিরাই শত শত বছর ধরে খোদ ইউরোপেই বিভিন্ন দেশে মারা খেয়ে তাড়া খেয়ে বেড়িয়েছে। ইউরোপ আমেরিকার গরিব ফকির ইহুদি গুলোকে সস্তায় ইজ্রায়েলে সেটেল করা হচ্ছে আর ইউরোপে আমেরিকাতে থাকছে শুধু প্রভাবশালী ইহুদিরা। নইতো এখনো অনেক ইহুদি ইউরোপ এর খ্রিস্টানদের হাতে মার খেতো।

শেষ কথা, পৃথিবীর ইতিহাস শুধু ১৯০০ সাল থেকে ২০০০ সাল ১০০ বছর না। ১০০ বছরের ইতিহাস দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, জাতির ইতিহাস ভাবলে ভুল জানবেন।

আরব, ভারত যখন জ্ঞান বিজ্ঞান, ধর্ম, ব্যবসা ইত্যাদিতে দুনিয়ার শীর্ষে তখন আমেরিকা নাঙ্গা হয়ে ঘুরত!! মুসলিম আন্দালুস যখন ইউরোপ এর প্রান কেন্দ্র তখন আমেরিকার খোঁজ ছিলো না!! কিন্তু এখন সেই আমেরিকায় এক নাম্বার সুপার পাওয়ার। আমেরিকা কবে সুপার পাওয়ার হলো? বিশ্বযুদ্ধের পর।

এখন এই অল্প কয়েক যুগ দেখেই যদি বলেন আমেরিকাই সবার সেরা আমেরিকা অন্য সবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ তাহলে সেটা ভুল ছাড়া কিছু না।

এখন আমেরিকার সময়, ইজ্রায়েলের সময়।

সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যাবে যেমন এক সময়ের সুপার পাওয়ার ব্রিটেন দুনিয়ার সব জায়গাতে নিজেদের কলোনি তৈরি করলেও সেই ব্রিটেন তার সেই ক্ষমতা হারিয়েছে। 

Next Post Previous Post