ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইন্টেলিজেন্স রিসার্চার হবেন কিভাবে? গোয়েন্দা হওয়ার উপায় বা নিয়ম

 ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স বা OSINT কি ? কিভাবে আপনিও ঘরে বসেই ইন্টেলিজেন্স কালেক্ট করবেন এনালাইসিস করবেন এবং কোন দেশ এর সামরিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক গতিবিধি নজরে রাখবেন?

ছবির পার্থক্য ও তথ্যঃ বাংলাদেশের স্যাটেলাইট ইমেজারি 

প্রথমে জানি ওপেন সোর্স  ইন্টেলিজেন্স কি কাকে বলে?

ওপেন সোর্স থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যায় OSINT.

এই ওপেন সোর্স হতে পারে প্রিন্টিং নিউজ পেপার, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট/পেজ, সার্ফেস ওয়েবে পাওয়া তথ্য কিংবা লোকাল এলাকায় অপেনলি এভেলেভেল তথ্য ইত্যাদি।

আমি আপনি কিভাবে কোন দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবো ওপেন সোর্স থেকে এবং কিভাবে পাওয়া  ইন্টেলিজেন্স কে এনালাইসিস করে অর্থমূলক রিপোর্ট তৈরি করতে পারবো?


রিসার্চের কাজের জন্য কিভাবে কোন লোকেশনের পূর্বের স্যাটেলাইট চিত্র ও বর্তমানের চিত্র পাবেন?

শুরুতেই বলে রাখি গোয়েন্দা বলতে আপনি যদি ক্রাইম ফিকশনের গোয়েন্দা হতে চান তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য না। আবার আপনি যদি গোয়েন্দা বিভাগে জব করতে চান তাহলেও না। আজকের এই পোস্ট মূলত ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্টেলিজেন্স রিসার্চার অর্থাৎ যারা স্বাধীন ভাবে বিভিন্ন ইন্টেল কালেক্ট করা, এনালাইসিস করা ইত্যাদি করতে চান তাদের জন্য। 

গোয়েন্দা অনেক রকমের হতে পারে।   
পুলিশ গোয়েন্দা, মিলিটারি গোয়েন্দা, প্রাইভেট গোয়েন্দা ইত্যাদি। 


প্রাইভেট ডিটেকটিভ হওয়ার উপায়

ইমেজ ইন্টেলিজেন্স, হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স, সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদিও গোয়েন্দা সংস্থার কাজের মধ্যে পড়ে।

ইমেজ ইন্টেলিজেন্স হলো ছবি এনালাইসিস করে ইন্টেল বের করা রিসার্চ করা এবং রিপোর্ট করা। 

উদাহরণ হিসাবে নিচের ছবি দেখেন। এখানে বার্মিজ নৌ বাহিনিতে যুক্ত হওয়া কিলো ক্লাস সাবমেরিন দেখা যাচ্ছে যা একই স্থানে আগে স্যাটেলাইট ইমেজারি থেকে দেখা যেত না। অর্থাৎ ২ টা ভিন্ন সময়ের একই স্থানের ছবি তুলনা করে আপনি সহজেই বের করতে পারছেন ঐ স্থানে কি কি পরিবর্তন আসছে।
মূলত এটাই ইমেজ ইন্টেলিজেন্স।

গোয়েন্দা হওয়ার উপায়

এর কাজ আরো বিস্তৃত ও গভীর তবে যেহেতু আমরা কোন সরকারী এজেন্ট না, তেমন কাজ ও করবো না বরং শখের বসে ঘরে বসে যত টুকু তথ্য পাওয়া যায় তাই নিয়েই আমরা ফ্রিলান্স গোয়েন্দা হিসাবে কাজ করা শিখবো। 

আজকের এই পোস্ট শুধুই ইমেজ ইন্টেলিজেন্স নিয়ে। এর সাথে অন্য কিছু আসতে পারে তবে মূল বিষয় ইমেজ ইন্টেলিজেন্স রিসার্চ। 

কিছুদিন আগেও স্যাটেলাইট ইমেজ সাধারনের নাগালের বাইরে ছিল বিশেষ করে আমাদের দেশের মানুষদের জন্য।
কিন্তু এখন বেশ কিছু সাইট ফ্রি তেই স্যাটেলাইট ইমেজ সার্ভিস দিচ্ছে। কিছু ফ্রি কিছু পেইড।
আমরা ফ্রি তে কিভাবে কোন লোকেশনের আগের ও পরের ছবি পাবো সেটাই দেখাবো।

প্রথমে স্যাটেলাইট সম্পর্কে কিছু ভুল ধারনা পরিস্কার করি।

১। স্যাটেলাইট থেকে আপনার ঘর দেখা যায় ঠিকি কিন্তু আপনি ঘরের মধ্যে কি করছেন তা দেখা যায় না।

২। এখনো ফ্রি তো দুরের কথা কমার্শিয়াল ভাবেও রিয়েল টাইম ভিডিও দেওয়া হয় না। নিয়ার রিয়াল টাইম দেওয়া হয়।

৩।বাংলাদেশের স্যাটেলাইট দিয়ে ছবি ভিডিও পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের স্যাটেলাইট সেই ধরনের না।


এখন মূল কথায় আসি, কিভাবে কোন সাইটে পাবেন আগের ও পরের ছবি।

LivingAtlas 
এর Wayback archive সার্ভিস আছে যেখানে পূর্বের ও বর্তমানের ছবি পাবেন। খুব সহজেই  মাউস ঘুরিয়েই টাইমলাইন চেঞ্জ করে দেখতে পারবেন আপনার নির্ধারিত স্থানের আগের ও বর্তমানের চিত্র। আরো ভালো হচ্ছে ছবিতেই প্রিভিউ দেখা যায়। 

পাশেই তারিখ সাল দেওয়া থাকে সেখানে ক্লিক করে করে পরিবর্তন দেখা সম্ভব। 

যেহেতু আমাদের আজকের পোস্ট ডিফেন্স রিলেটেড তাই যারা ঘরে বসে ফ্রি তে অন্য দেশের সেনানিবাস/ বিমান ঘাটি কিংবা এয়ার ডিফেন্স এর অবস্থান জানতে চান, পরিবর্তন সম্পর্কে রিসার্চ করতে চান তাদের জন্য livingAtlas এর এই সার্ভিস কাজে লাগবে বলে মনে করি।
লিঙ্কঃ LivingAtlas Wayback Imagery

লিঙ্কে গেলে যে স্থান দেখা যায় তা আসলে মিয়ানমারের ইয়াংগুন নদী, এই নদীতে সাবমেরিন দেখা গেছিলো বলে জানায় সাবমেরিন নিয়ে কাজ করা সংস্থা । মূলত লিঙ্কের ছবিতে দেখা এরিয়ার আশপাশেই।

Google Map Satellite: 
আসলে আমার কাছে অন্য সাইট থেকে গুগল এর ম্যাপ ইউজ করা ইজি মনে হয় , এজন্য কোন নির্দিষ্ট কিছু খুজে বের করতে প্রথমে আমি গুগল ম্যাপ ইউজ করি, এতে করে সহজেই খুজে পাওয়া যায়। খুজে পাওয়ার পর অন্য সাইট থেকে সেটার অতিত বর্তমান দেখে বুঝার চেষ্টা করি কি কি পরিবর্তন আসছে। 

Maxer: 
এটি পেইড সার্ভিস। মোটা অংকের টাকা পে করে এদের সার্ভিস নিতে হয়। যেহেতু পে করে নেওয়া তাই স্বাভাবিক ভাবেই ফ্রি গুলোর চেয়ে এর মান ভালো হবে এটাই স্বাভাবিক। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিউজ মিডিয়া এদের সার্ভিস ইউজ করে নিউজ করে থাকে। 
Next Post Previous Post