সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৩ | বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ও তাদের শক্তির বিস্তারিত - BanglaFeeds.info

সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৩ | বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ও তাদের শক্তির বিস্তারিত



সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান | বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ও তাদের শক্তির বিস্তারিত। বাংলাদেশ ভারত ও মিয়ানমারের তুলনা 

  1. বাংলাদেশের অবস্থানঃ ৪৫ তম
  2. ভারতঃ ৪র্থ
  3. মিয়ানমারঃ ৩৫ তম 
আরো পড়ুনঃ 
বাংলাদেশের মিসাইল লিস্ট
বাংলাদেশ সেনাবাহিনির ট্রেনিং দ্বীপ


গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (জিএফপি) নামের একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ‘২০২০ : মিলিটারি স্ট্রেন্থ র‍্যাংকিং’ তালিকায় ৫০টিরও বেশি মাপকাঠির ভিত্তিতে এই সামরিক শক্তিমত্তার সূচকে স্কোর দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ০.৭০৬৬ শক্তিসূচক নিয়ে ৪৬তম অবস্থানে রয়েছে।
প্রতিবারের মতো এ বছরও সামরিক শক্তিতে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রাশিয়া। অন্যদিকে, তৃতীয় চীন ও চতুর্থ স্থানে ভারত।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তিতে পাকিস্তানের অবস্থান ১৫তম। বাংলাদেশের আরেক প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অবস্থান ৩৫তম। 

তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ সামরিক ভাবে শক্তিশালী দেশ এর নামগুলো হলো

১. যুক্তরাষ্ট্র
২. রাশিয়া
৩. চীন
৪. ভারত
৫. জাপান
৬. দক্ষিণ কোরিয়া
৭. ফ্রান্স
৮. যুক্তরাজ্য
৯. মিশর
১০. ব্রাজিল

স্বাধীনতার  ৫০ বছর হয়ে গেলেও বাংলাদেশ সামরিক বাহিনি বর্তমান দুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে জেতে পারেনি।

আপনারা অনেকেই দেখবেন ফেসবুক জেনারেলরা সকল তথ্য উপাত্ত অস্বীকার করে বাংলাদেশ কে মিয়ানমারের চেয়ে এগিয়ে রাখে!! এমন কি এই জেনারেলরা ৪র্থ অবস্থানে থাকা শক্তিশালী ভারতকেও
যুদ্ধে হারিয়ে দেওয়ার দাবি করে!!
তাদের লেখার কমন একটা ধরন দেখবেন তারা বার্মার বিভিন্ন গেরিলা দল ভারতের উলফা এসব দলের উদাহরণ এনে ওইসব দেশকে দুর্বল প্রমান করতে চাই কিন্তু এরাই আবার বাংলাদেশের হিলে চাকমাদের শান্তিবাহিনি কে বেমালুম ভুলে যায়।
ভারতের উলফা কিংবা কাশ্মিরের গেরিলা যুদ্ধে ভারত দুর্বল হয় আর বাংলাদেশের শান্তিবাহিনির বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশ আর্মির দক্ষতা বৃদ্ধি পায় তাই বাংলাদেশ শক্তিশালী(!!!) এই হইলো তাদের যুক্তি!!!!! 
একই ঘটনা কিন্তু ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করে সত্যকে পাশ কাটানো আমাদের ফেবু জেনারেলদের স্বভাব। 
ভুলে যায় ভারত ফেনি অংশ কেটে দিলেই বাংলাদেশের সামরিক বাহিনির বিশাল একটা অংশ চিটাগং এ আটকা পড়বে।
এই জেনারেলরা ভুলে যায় বাংলাদেশের হিন্দুরা এক ডাকে ভারতের আনুগত্য করবে এবং পাহাড়ের চাকমারা বার্মিজদের হয়ে কাজ করবে।
অর্থাৎ এদেশের সবদিকেই শত্রু থাকার পরেও নাকি আমরা নিরাপদ! আমরা শক্তিশালী!!
এখনকার যুদ্ধে ময়দানের চেয়ে আকাশপথে বেশি লড়াই হয় আর বাংলাদেশ বিমান বাহিনি সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা একটা বাহিনি।
সেই ৯৬ আমলে কেনা ৮টা মিগ ২৯ ছাড়া এই বাহিনির বলার মত তেমন কিছু নেই। তাও এই মিগের অনেক গুলো আবার গ্রাউন্ডেড থাকে!!!
ফোরসেস গোল ২০৩০ এর অধিনে আমরা যদি ২০৩০ এ গিয়ে ২০০১ সালের অস্র কিনি তাহলে ঐ ২০৩০ ভিশন দিয়ে কি হবে?
২০২০ সালে ২০২০ সালের মানের অস্র কিনা দরকার। ১৯৯০ সালের না।
চীনের ফেলে দেওয়া জাহাজ দিয়ে ট্রেনিং চলে কিন্তু যুদ্ধ চলবে না এই কথা আমাদের বুঝা দরকার।
শুধু জঙ্গি জঙ্গি বলে মুসলিমদের পিছনে দাড়ী টুপি পড়া এদের পিছনে না লেগে থেকে আসল শত্রুদের দিকে নজর দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশে ২০১৬ সালের পর কয়টা জঙ্গি হামলা হইছে? কয়জন মারা গেছে? কত টাকা ক্ষতি হইছে বলতে পারবেন?
অথচ রিপোর্ট দেখেন প্রতিবছর বিনাবিচারে ২০০+ করে মানুষ ক্রসফায়ার করে পুলিশ হত্যা করছে।
বাংলাদেশের রাস্তা ব্রিজ বন্দর সবই ভারত দখল না করেই স্বাধীন ভাবে ইউজ করছে। বার্মা লাখ লাখ মানুষ পুশ করে অর্থনীতির উপর চাপ বাড়াচ্ছে।
এসব ভেবে দেখার সময় হয়নি? 
যায় হোক বাংলাদেশ সামরিক বাহিনি পিছয়ে না থেকে এগিয়ে যাক, রোহিঙ্গা সমাধানে দরকার হলে আরাকানে যাক। আমরা সাথে আছি। কিন্তু মিথ্যা তথ্য এর উপর ভিত্তি করে আত্মতুষ্টির ঢেকুর তুলতে পারলাম না।
বাংলাদেশ যদি বাইরের শক্তির মোকাবেলা করে জিততে চাই তাহলে মাস্ট বিমান বাহিনি আর নোউ বাহিনি কে আরো দ্রুতো আগাতে হবে।
নেভাল ব্লক  ভাঙ্গার মত ক্ষমতা না থাকলে যুদ্ধ লাগবে না, না খেয়েই মরতে হবে।