একটা সমাজ ধ্বংসের জন্য তিনটাি পাপ । সুদ,ঘুষ,ব্যভিচার আমাদের সমাজ ধ্বংসের অন্যতম কারন।
• সুদ হয়ে গেছে— interest/
• ঘুষ হয়ে গেছে—বকশিশ/
• ব্যভিচার হয়ে গেছে— mutual sex.
.
খুব সাবধান! কুরআন ও সুন্নাহর অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত কোনো হারামকে কেউ হালাল মনে করলে বা হালাল ঘোষণা করলে, সে মুসলিম উম্মাহর সর্বসম্মত মতে কাফির হয়ে যাবে; চাই সেই হারামে সে জড়িত থাকুক বা না থাকুক।
.
কিন্তু, কেউ যদি শয়তানের খপ্পড়ে পড়ে এবং প্রবৃত্তির চাহিদা পূরণে হারাম কাজ করে (এবং সে এটিকে হারামই মনে করে) তবে, সে নিঃসন্দেহে গুনাহগার হলেও কাফির হবে না। সুতরাং, নিজের ঈমান-আকিদাকে নিরাপদ রাখুন।
.
মুফতি তারেকুজ্জামান (হাফিযাহুল্লাহ্
.
আল্লাহ তাআলা বলেন,
.
قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ
.
‘তোমরা যুদ্ধ করো আহলে কিতাবের ওই লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও হাশর দিবসের প্রতি ইমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম; (তাদের সাথে ততক্ষণ যুদ্ধ করো) যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিজিয়া প্রদান করে।’ [সুরা আত-তাওবা: ২৯]
.
ইমাম ইবনু আব্দিল বার (রাহ.) বর্ণনা করেন, ‘আদি বিন হাতিম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (খ্রিষ্টান থাকাকালে) গলায় ক্রুশ ঝুলানো অবস্থায় আমি একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট আসলাম। তখন তিনি বললেন, ‘‘হে হাতিমপুত্র আদি! তোমার গলা থেকে এ মূর্তি ফেলে দাও।’’ তিনি সূরা তাওবাহ তিলাওয়াতকালীন আমি তাঁর নিকট পৌঁছুলাম। তিনি সূরা তাওবাহ তিলাওয়াত করতে করতে যখন এ আয়াত اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ
[‘তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদের পণ্ডিত ও সংসারবিরাগীদেরক
.
সুতরাং সুদ, ঘুষ, ব্যভিচার এবং অন্যান্য হারামগুলোকে যে নামেই ডাকা হোক, তা হারামই থাকবে। কারণ, এই হারাম মানুষ ঘোষণা করেনি, স্বয়ং আল্লাহ্ এগুলোকে হারাম ঘোষণা করেছেন। এগুলোকে হারাম মনে করা ঈমানের শর্ত এবং এসব হারামকে হালাল মনে করা কুফরি।
.
#Tasbeeh