লিটনের ফ্ল্যাট সহ নানা নোংরা নাটক সিনেমার কারিগর মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ইসলাম বিদ্বেষী সূক্ষ্ম মিশন
লিটনের ফ্ল্যাট সহ নানা নোংরা নাটক সিনেমার কারিগর মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ইসলাম বিদ্বেষী সূক্ষ্ম মিশন। আমাদের নীরবতা ও অজ্ঞতার ফল।
মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। অনেকেই হয়তো চিনেন এই শশ্রুমন্ডিত মানুষটিকে। যারা চিনেন না তাদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়া যাক। খুব বুদ্ধিমান (!) সৃজনশীল একজন মানুষ।
পেশায় একজন সমাজবিধ্বংসী চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাটক নির্মাতা । আরেকটি পরিচয় হলো তিনি সময়ের নোংরাধারার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিশার পতি ।
খ্যাতিমান এই চলচ্চিত্র পরিচালকের কাজ আমাদের কাছে অন্য দশজন বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালকের কাজের চেয়ে একটু বেশী জঘন্য মনে হয় ।
অবাক বা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন এ কথা শুনে? বলতে পারেন উনার ছবিতে তো আইটেম সং বা অত্যধিক নগ্নতা থাকে না , তাহলে এতো মানুষ রেখে তার পেছনে লাগলাম কেন? হ্যাঁ প্রশ্ন আশা খুব স্বাভাবিক।
তবে আমি মনে করি সুন্দর সামাজিক পরিবেশ ধ্বংসে এই ভদ্রলোক বেশ ভালো ভূমিকা রেখে চলেছেন এবং সৃজনশীল উপায়ে পারঙ্গমতার সাথে অশ্লীলতা ছড়িয়ে চলেছেন।
আরো পড়তে পারেন ঃ তিশা, পরকিয়ার প্রচারক
আরো পড়তে পারেন ঃ তিশা, পরকিয়ার প্রচারক
আপনারা নিশ্চয়ই ' লিটনের ফ্ল্যাট ' শব্দটি শুনেছেন। আর যারা শুনেছেন তাদের কাছে তো আর অর্থ ভেঙে বলার প্রয়োজন নেই।
এ জনপ্রিয় নোংরা টার্মটি বাংলা ভাষায় আসলো কোথা থেকে ? বা কে এর উদ্ভাবক ? হ্যাঁ,
যিনি এনেছেন তিনিই হচ্ছেন এই ফারুকী ।
২০০৩ সালে রিলিজ হওয়া তার প্রথম চলচ্চিত্র 'ব্যাচেলর 'ছবিতে এ টার্ম প্রথম ব্যবহৃত হয় । ছবিটিতে একজন মেয়ে বিয়েতে আগ্রহী নয় আর তার সাথে একঝাঁক ছেলে বন্ধুর ( হে হে জাস্ট ফ্রেন্ড আরকি!) নানামুখী সম্পর্ক বর্ণিত হয়েছে ।
আর তাকে মাঝে মাঝে ' লিটনের ফ্ল্যাটে ' যাবার অফার দেয়া হয় । সোজা বাংলায় বিয়ে বাদ দিয়ে লিভটুগেদারের নরমালাইজেশন করার কোশেশে ভরপুর ফিল্ম ।
পরবর্তীতে রিলিজ করেন তার আরো জঘন্য গল্প নির্ভর চলচ্চিত্র 'থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার' চলচ্চিত্রটি ।
এখানে পরকিয়া করাকে খুব মহিমান্বিত বা একদম স্বাভাবিক চাহিদা হিসেবে উপস্থাপন করা হয় ।
মেনে নেয়ার সবক দেয়া হয় একজন মা' ও তো মানুষ, তাই তার পরকিয়া করা খারাপ কিছু নয় ।
ফারুকী সাহেবের পরকিয়া প্রমোট করার হটাৎ কী প্রয়োজন পড়ে গেলো ? হয়তো তিনিই ভালো বলতে পারবেন ।
তার অন্যতম বৈদেশিক প্রশংসা কুড়ানো চলচ্চিত্র হচ্ছে ' টেলিভিশন ' ।
সেখানে দেখানো হয় একজন টেলিভিশন রাখার বিরোধী রক্ষণশীল মুসলিমও শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারে টেলিভিশন রাখার গুরুত্ব ।
টেলিভিশনের গুরুত্ব বোঝানোর কারণ হয়তোবা বুঝতে পেরেছি, টেলিভিশন না থাকলে তো ফারুকীর এসব সামাজিক (!) ফিল্ম মানুষ দেখে সচেতন হতে পারবে না ।
তার আরেকটি সুপরিচিত চলচ্চিত্র হলো সদ্য প্রয়াত ভারতীয় অভিনেতা ইরফান খান অভিনীত 'ডুব' চলচ্চিত্রটি ।
এখানে গল্পটি তৈরি হয়েছে পরিবারের প্রধান সদস্যের মৃত্যুর পরে দুইটি পরিবারের অটুট বন্ধনের কাহিনী নিয়ে।
যেখানে একজন মধ্যবয়স্ক লেখক এক তরুনীর প্রেমে পড়েন যিনি তার মেয়ের বন্ধু। বাহ! এক ফিল্মে মাকে দিয়ে পরকিয়া !
আরেকটিতে বাবাকে দিয়ে মেয়ের বান্ধবীর সাথে প্রেম ! অসামাজিক বাংলাদেশের মানুষকে সামাজিক করার খুব সুন্দর প্রয়াস তো!!!
সর্বশেষ যে ছবিটি সেন্সর বোর্ডে মুসলিমদের প্রতিবাদের মুখে আটকে আছে ,
সেটা হলো হলি আর্টিজেনের হামলার ঘটনা উপর নির্মিত । সে সেখানে ইসলামের উপর কি আঘাত করা হয়েছে আল্লাহই জানেন , সেকুলার সেন্সর বোর্ড পর্যন্ত সাহস করছেনা প্রচারের অনুমতি দিতে।
ফারুকী সাহেব তো নাছোড় বান্দা এটা রিলিজের জন্য শুকনা কোমরে দড়ি বেঁধে নেমেছেন । যে করেই হোক ছবির মুক্তি চান!! চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
এতো গেলো ফিল্মের কথা , নাটকের কথা না হয় থাক । আর তার প্রায় সকল চলচ্চিত্রেই প্রধান নারী চরিত্রে ছিলো তার ওয়াইফ তিশা।
আর এই তিশাই দুই বছরের আগে অভিনয় করেছিলো সমকামীদের অধিকার (!) বিষয়ক প্রথম বাংলাদেশি নাটকে ।
হাজব্যান্ড-ওয়া ইফ মিলে ভালোই শুরু করেছেন । অবশ্য বাঙালিদের যাতে উঠাতে চেষ্টার ত্রুটি করছেন বলার সুযোগ নেই।
এজন্য প্রমোট দেয়া শুরু করেছেন , পরকিয়া, লিভটুগেদার, সমকামীতা, অসংলগ্ন প্রেম ইত্যাদি ।
ডাইলোগে তো সুক্ষ্মভাবে ইসলামী কালচারের উপর আক্রমণ থাকছেই ।
এদিকে এশিয়া সিনেমা ফান্ড ফর পোষ্ট-প্রোডাকশন এওয়ার্ড সহ তার দেশি-বিদেশি এওয়ার্ডের অভাব নেই ।
কোন বাংলাদেশী পরিচালক এত আন্তর্জাতিক সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন বলে আমাদের জানা নেই । আর ফারুকী হয়ে উঠেছেন তরুণ পরিচালকদের আইডলে ।
অশ্লীলতার প্রসার ও সামাজিক বিপর্যয় সৃষ্টির এই কারিগররাই যখন জাতির সেলিব্রিটি , আইডল ।পরিবারে ভাঙন , দাম্পত্য কলহ , ব্যভিচারের পক্ষে জনমত গড়ে তুলছে এ ফারুকীরা ।
দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে খুব কাঁদা ছোড়াছুড়ি করতে পারি কিন্তু জাতির শত্রুদের চিনতেও পারি না । এদের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো দেশে কোন মানুষ নেই । তখন ভবিষ্যত বাংলাদেশ আরো খুব সুন্দর হবে বলে আশা করতেই পারি !
.
.
[ সত্যতা যাচাইসহ বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়ার সহায়তা নিতে পারেন ]
- Monir Ahmed Monir