আফগানিস্তানে মুসলিম বিরোধী ভারতের মিথ্যা প্রোপোগান্ডা যুদ্ধ । ভারতের র এর প্রক্সি ওয়ার।
আফগানিস্তান আপডেট- ইনফরমেশন ওয়ারফেয়ার এন্ড প্রোপোগান্ডা
- Kaisar Ahmad
বৈদেশিক সৈন্য আফগানিস্তানের ভূমি ত্যাগ করবে এটা অনেকে মেনে নিতে পারছে না।
তারা চায় অ্যামেরিকা সারাজীবন আফগানিস্তানে অবস্থান করুক কেননা তারা জানে তালিবানকে তারা কাবু করতে পারবে না এবং ইসলামিক ইমারাহ কায়েম আঁটকে রাখতে পারবে না।
সাম্প্রতি ডিল বিরোধীরা তাই তালিবানের বিরুদ্ধে চতুর্মাত্রিক যুদ্ধ শুরু করেছে।
তালিবান বিরোধী প্রধান দল হল আফগানিস্তানের পোপাট রেজিম এবং পাক-আফগানিস্তান ের সেকুলার গ্রুপ।
তবে এদের শক্তি অনেক সীমিত। বিরোধীদের মধ্যে সবচে শক্তিধর হল ভারত। ভারত কোনো ভাবেই চায় না এই ডিল বাস্তবায়ন হোক।
ভারত তালিবানের বিরুদ্ধে ইনফরমেশন ওয়ার শুরু করেছে।
প্রথমে তালিবানের প্রতি মানুষকে উস্কে দেয়ার জন্য আফগান সরকার এবং ভারতের RAW মিলে আইসিসের মাধ্যমে কাবুলের হসপিটালে হামলা করালো।
তারা জেনে বুঝে এমন লোকেশন সিলেক্ট করেছিল। যাতে সর্বাধিক দুর্বল এবং নিরাপরাধ মানুষ মারা যায়।
ছোট ছোট শিশু, গর্ভবতী মা ইত্যাদি ছিল তাদের প্রধান টার্গেট।
হলও তাই। অতপর তাৎক্ষণিক ভাবে মিডিয়াতে এই হামলার দোষ তালিবানের উপর চাপিয়ে নিউজ প্রচার করা হল।
মিডিয়া, টুইটার, ফেইসবুক সকল প্লাটফর্মে সাধারণ মানুষ আবেগের বশবর্তী হয়ে তালিবানের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করল।
বিশেষ করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মডারেট সেকুলাররা সবচে বেশি মায়াকান্না করল।
তালিবান দ্রুত এই হামলার জন্য নিন্দা জানালো এবং বিস্তারিত ও দালিলিক ভাবে জানিয়ে দিল যে তারা এতে জড়িত ছিল না।
পরে রিপোর্ট প্রকাশ করল। সব মিলিয়ে দুয়েক দিন পরে তালিবান বিরোধী মিথ্যা প্রোপোগান্ডা সবাই বুঝতে পারল।
এমনকি অ্যামেরিকাও এই হামলার দায় চাপালো আইসিসের উপর।
কিন্তু আফগান পোপাট রেজিমের প্লান ব্যর্থ হওয়া সত্তেও তারা তালিবানের বিরুদ্ধে অফেন্সিভ যুদ্ধ ঘোষণা করল।
যা তারা আগে থেকেই চাচ্ছিল, কেননা অ্যামেরিকা চলে গেলে এরা টিকতে পারবে না।
এই প্রোপোগান্ডা শেষ হতে না হতেই ভারতের রো তালিবানের একটি মিথ্যা তথ্য মিডিয়াতে ছড়ালো।
তালিবান ভারতের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছে। ইদের পরেই গাযওয়াতুল হিন্দের ডাক দিয়েছে।
এই খবর দেখেই অতি আবেগি পাকিস্তানীরা ভালো করে চিন্তা না করে প্রচার শুরু করে দিল।
পাকিস্তানের মিডিয়া তথ্য যাচাই না করে রাতারাতি খবর রাষ্ট্র করে দিল। তালিবান বুঝতে পেরে সাথে সাথে এই তথ্য প্রচারকারী তালিবানের টুইটার আইডি ফেইক তা জানিয়ে দিল।
কিন্তু তবুও প্রোপোগান্ডা থেমে নেই। এখন তা পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
যদি তালিবান সত্যিই এমন করত তাহলে সবচে বড় ক্ষতি হত তালিবানের। সবচে লাভবান হত ভারত।
তালিবান ডিলে বলেছে তারা ভিন্ন দেশে আক্রমণ করবে না। এখন জিহাদ ঘোষণার অর্থ তালিবান এগ্রিমেন্ট ভঙ্গ করেছে।
তখন অ্যামেরিকা আফগানিস্তানে থাকতে বাধ্য হয়ে পড়বে। তালিবানের যুদ্ধ আগের মতই চলবে।
অন্যদিকে আফগানিস্তানের সাথে ভারতের কোনো বর্ডার নেই, তাই ভারত আক্রমণের অর্থ হল পাকিস্তানের মদদে এই হামলা হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ তালিবান হল পাকিস্তানের প্রক্সি আর্মি।
এতে ভারত এক তীর দিয়ে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের প্রবলেম সল্ভ করে ফেলত। তাই এমন খবর শোনা ও প্রচারের আগে চিন্তা করুন, ভাবুন।
এটা ছিল এগ্রিমেন্টের পর ভারতের সবচে বড় ইনফরমেশন ওয়ার।
যা তালিবান সুন্দর ভাবেই মোকাবেলা করতে পেরেছে।
তাহলে কি তালিবান ভারতের বিরুদ্ধে অন্য মুসলিম দেশ গুলোর মত নিরব থাকবে? এটা তো তালিবান কখনো বলেনি, প্রক্সি যুদ্ধর যুগে তালিবান পিছিয়ে থাকবে তা আমি মনে করি না।
আফগানিস্তানে ভারতের রোল নিয়ে তালিবান অফিসার মোল্লা মুহাম্মাদ আব্বাস স্টেকেনযায়ি স্পস্ট বলেছেন
'গত ৪০ বছর ভারত আফগানিস্তানে নেগেটিভ রোল প্লে করেছে'। ভারতের সাথে তাদের সংলাপ নিয়ে চিন্তিত না হয়ে এই উক্তি জেনে রাখলেই হবে।
উপরন্তু ভারতের সাথে তালেবানের সংলাপের অর্থ হল আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ- আশ্রাফ গনির দুর্বল হয়ে যাওয়া, তারা বুঝে যাবে ভারত এখন তাদের সাপোর্ট দিতে পারবে না।
এতে করে ইমারাত প্রতিষ্ঠা আরও সহজ হয়ে পড়বে। আর ভারত এখন আমেরিকা-চীনের নিউ কোল্ড ওয়ারে ফেসে আছে।
৯/১১ এর পরে বিশ্ব আবার সেইপ চেঞ্জ করছে। তা নিয়ে অন্য সময় আলোচনা করব ইংশাআল্লাহ।