তারাবীহ নামাজের নিয়ম ও তারাবির নামাজ কিভাবে পড়তে হয়| তারাবি নামাজের নিয়ত দোয়া |

 তারাবীহ নামাজের নিয়ম ও  কিভাবে পড়তে হয়| তারাবি নামাজের নিয়ত দোয়া 


তারাবীহ নামাজের নিয়ম

 এশার ফরয এবং সুন্নাত নামায শেষে তারাবীহ শুরু করবেন ।

 দুই দুই রাকাত করে ২০ রাকাত পড়বেন।

 স্বাভাবিক ভাবে যে রকম নামাজ পড়ে ।

 কোন নির্দিষ্ট সূরা নেই । যে কোন সূরা দিয়ে পড়তে পারেন । চাইলে এক রাকাতে একাধিক সূরা পড়তে পারেন।
যেমন প্রথম রাকাতে সূরা ফীল সূরা কুরাইশ সূরা মাউন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কাওসার সূরা কাফিরূন এভাবে ধারাবাহিকতা রেখে পড়তে পারেন।

 এমন কি সূরা ফাতিহা ( আলহামদুলিল্লাহ সূরা ) সহ আর মাত্র যে কোন দুইটা সূরা দিয়েও সব নামায পড়তে পারেন।

 প্রতি চার রাকাত শেষ করে একটু বিশ্রাম নিবেন। এই সময়ে দুআ দুরুদ এস্তেগফার পড়তে পারেন, কুরআন পড়তে পারেন।
বা নফল নামাজ ও পড়তে পারেন।

বা চুপ থাকতেও পারেন।
(প্রচলিত দুআ ই পড়তে হবে এমন না।
আপনার ইচ্ছা মত পড়বেন)
কিছু না পড়লেও সমস্যা নেই ।

গরমের সময় যেহেতু সেহেতু পানি বা শরবত খেয়ে নিতে পারেন । সারাদিন রোযা রেখে এক বারে অধিক পরিমাণ পানি না খেয়ে কিছু সময় পরপর পানি খাওয়া উত্তম।

 ৪ রাকাত পরপর মোনাজাত না করে ২০ রাকাত শেষে মোনাজাত করতে পারেন। তবে আপনি চাইলে মোনাজাত করতেও পারেন নাও পারেন । নিজের যা প্রয়োজন মোনাজাতে চেয়ে নিবেন । প্রচলিত মোনাজাতই করতে হবে এমন না । আপনার ইচ্ছা মত পড়বেন । কুরআন হাদিসের দুআ গুলো মুখস্থ করে পড়তে পারেন।

 প্রতি ২ রাকাত বা ৪ রাকাত শেষ হলেই মোনাজাত করতে হবে এমন না । চাইলে করতে পারেন ।

(মোনাজাত নামাযের অংশ না)

🚫 নিয়্যাত মনে মনে করবেন । ২ রাকাত তারাবীহর সুন্নাত নামাজ পড়ছি এমন ধারণা রাখবেন । মুখে পড়তে হবেনা। নিয়ত মনের বিষয় ।

 যদি শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়েন তাহলে এই রাতে বিতর পড়বেন না ( পুরুষেরা জামাতে বিতর পড়ে নিবেন ) । তাহাজ্জুদ নামাজের পর বিতর পড়বেন । অন্যথায় তারাবীহ এর পর বিতর পড়ে নিবেন ।

 বিতর পড়ার পরেও তাহাজ্জুদ পড়া যাবে কোন সমস্যা নেই । তবে উত্তম হলো সব শেষে বিতর পড়া।

🚫অসুস্থ ( মাসিক/পিরিয়ড ) মা বোনেরা দুঃখ বা কষ্ট পাবেন না। আপনারা এই সময়ে দুআ দরূদ ইস্তেগফার যিকির করবেন । মোনাজাত করে আল্লাহর কাছে প্রয়োজনের কথা বলবেন

🚫অসুস্থ ( মাসিক/পিরিয়ড) অবস্থাই নামায রোযা আর কুরআন শরীফ পড়া নিষেধ । কুরআন শরীফ মুখস্থও পড়া যাবে না ।

 তবে কুরআনে যে সকল দুআ এর আয়াত আছে তা পড়া যাবে।

কোন ভাই, মা বোনদেরকে জিজ্ঞাসা করবো না তারা রোযা আছে কিনা ।

 কাযা রোযা রমজানের পরপরই আদায় করে নিবো ইনশাআল্লাহ।

 আর মা বোনেরা আপনারা অসুস্থ অবস্থায় সারাদিন না খেয়ে কষ্ট করবেন না । অসুস্থতা এটা আল্লাহর হুকুম । এটা নিয়ে কষ্ট পাওয়ার কোন কারণ নেই । গোপনে খাবার খেয়ে নিবেন ।

অনেক বোন ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোযা রাখেন বা রাখতে চান । দয়া করে তারা এমনটি করবেন না। আল্লাহ পাক আপনাকে রোযার কাযা আদায় করার ব্যবস্থা করেই দিছেন তাহলে কেনো তাঁর একটা হুকুম কে নিজে বাঁধা দিবেন?

আল্লাহ সবাইকে কবুল করুক।
আমিন
(সংগ্রহীত লিখা। লেখিকাকে আল্লাহ উত্তম বিনিময় দিক)

🚫 কারো ভিন্নমত সঠিক মনে হলে মানবেন।
তবে এখানে কোন যুক্তিতর্ক এর সুযোগ দেয়া হবেনা। ইবাদত করা উচিত শান্তিমত।

রমাজানে যত ইবাদত করা যায় তত ই লাভ।
তর্কাতর্কি করে কারো আমল কমানোর
চেষ্টা করা উচিত নয়।

আল্লাহ আমাদের সহীহ বুঝ দিক।

- এই লেখার সাথে ব্লগ এডমিন একমত না আবার দ্বিমত না। কেননা আমি দলিল খুজে সব চেক করে দেখিনি। আমি যত টুকু জানি সে অনুযায়ী ঠিক আছে দেখে শেয়ার দিচ্ছি। কিন্তু আমি ভুল হতে পারি। আপনারা যারা ব্লগে লেখাটি পড়ছেন তারা আলেম থেকে জেনে নিবেন ও নিজেও কোরান হাদিস পড়ে জানবেন ও আমল করবেন।

নিয়ত মনের বিষয় এই টাতে আমি একমত ও দলিল আছে। যদিও আমাদের দেশে অনেকে না ওয়াইতু আন এমন নিয়ত মুখস্ত বলে থাকে!!!

আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিঃ) এর লেকচার গুলো শুনতে পারেন ।

Next Post Previous Post