ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস এর ইতিহাস, গল্প, ছবি ২০২৪

ভ্যালেন্টাইন ডে এর ইতিহাস। ভালোবাসা দিবসের পিকচার, শুভেচ্ছা ২০২৪ ছবি 

বছর ঘুরে আবার ফেব্রুয়ারি আবার ভালোবাসা দিবস কিংবা ভ্যালেন্টাইন  ডে। এই পোস্টে আপনি পাবেন অনেক গুলো ভালবাসার ছবি। লাভ, হার্ট ইত্যাদির পিকচার। 

সাথে কিভাবে ভ্যালেন্টাইন ডে শুরু হলো, বাংলাদেশে কিভাবে কে এটি শুরু করেছে এসব ও জানতে পারবেন আশা করি। 

.

.

.


ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস


ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস এর  ইতিহাস
ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস

ভ্যালেন্টাইন ডে এর একাধিক ইতিহাস আছে ।কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল নাকি সবই গাল গপ্প তা বুঝা দায়।

চলুন দুই ইতিহাস ই জানিনা। এখানে ৫ টি ইতিহাস সংক্ষেপে তুলে ধরা আছে।
ভ্যালেন্টাইন ডে ছবি


এবং লেখার মাঝে মাঝে ২০ টির বেশি HD ভালোবাসা দিবসের পিকচার বা ছবি পাবেন। ছবি গুলো হারাম কাজে ইউজ নিষিদ্ধ।

তাও যদি হারাম প্রেম ভালবাসায় ইউজ করেন তাহলে তার দায় আপনার। আমি দায় মুক্ত। 

   ভালোবাসা দিবস  বা   ভ্যালেন্টাইন ডে এর ইতিহাস

ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস

ভালোবাসা দিবস এর  ইতিহাস ০১

২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন'স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। আর তাই তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন। খৃষ্টানজগতে পাদ্রী-সাধু সন্তানদের স্মরণ ও কর্মের জন্য এ ধরনের অনেক দিবস রয়েছে। যেমন: ২৩ এপ্রিল - সেন্ট জজ ডে, ১১ নভেম্বর - সেন্ট মার্টিন ডে, ২৪ আগস্ট - সেন্ট বার্থোলোমিজম ডে, ১ নভেম্বর - আল সেইন্টম ডে, ৩০ নভেম্বর - সেন্ট এন্ড্রু ডে, ১৭ মার্চ - সেন্ট প্যাট্রিক ডে।

পাশ্চাত্যের ক্ষেত্রে জন্মদিনের উৎসব, ধর্মোৎসব সবক্ষেত্রেই ভোগের বিষয়টি মুখ্য। তাই গির্জা অভ্যন্তরেও মদ্যপানে তারা কসুর করে না। খৃস্টীয় এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের চেতনা বিনষ্ট হওয়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেইটাইন উৎসব নিষিদ্ধ করা হয়। ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীন পিউরিটানরাও একসময় প্রশাসনিকভাবে এ দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিবস প্রত্যাখ্যাত হয়। সম্প্রতি পাকিস্তানেও ২০১৭ সালে ইসলামবিরোধী হওয়ায় ভ্যালেন্টাইন উৎসব নিষিদ্ধ করে সেদেশের আদালত।
উতসঃ Wikipedia

ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস

ভ্যালেন্টাইন ডে ইতিহাস ঃ ২০২৪ সাল 

২৭০ খ্রিষ্টাব্দের কথা। তখন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস নারী-পুরুষের বিবাহ বাধনে আবদ্ধ হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। তার ধারণা ছিল, বিবাহ বাধনে আবদ্ধ হলে যুদ্ধের প্রতি পুরুষদের অনীহা সৃষ্টি হয়। সে সময় রোমের খ্রিষ্টান গির্জার পুরোহিত ‘ভ্যালেন্টাইন’ রাজার নির্দেশ অগ্রাহ্য করে গোপনে নারী-পুরুষের বিবাহ বাধনের কাজ সম্পন্ন করতেন। এ ঘটনা উদ্ঘাটিত হওয়ার পর তাকে রাজার কাছে ধরে নিয়ে আসা হয়। ভ্যালেন্টাইন রাজাকে জানালেন, খিষ্টধর্মে বিশ্বাসের কারণে তিনি কাউকে বিবাহ বাধনে আবদ্ধ হতে বারণ করতে পারেন না। রাজা তখন তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। কারাগারে থাকা অবস্খায় রাজা তাকে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্মে ফিরে আসার প্রস্তাব দেন এবং বিনিময়ে তাকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা বলেন। উল্লেখ্য, রাজা দ্বিতীয় ক্লডিয়াস প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্মে বিশ্বাস করতেন এবং তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যে এ ধর্মের প্রাধান্য ছিল। 

লাভ ছবি


আরো কিছু সুন্দর পিকচার দেখতে  → ভালোবাসা দিবস এর ছবি 


যা হোক, ভ্যালেন্টাইন রাজার প্রস্তাব মানতে অস্বীকৃতি জানালেন এবং খ্রিষ্ট ধর্মের প্রতি অনুগত থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন। তখন রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন। অত:পর রাজার নির্দেশে ২৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। পরে রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিষ্ট ধর্মের প্রাধান্য সৃষ্টি হলে গির্জা ভ্যালেন্টাইনকে ` `Saint' হিসেবে ঘোষণা করে। ৩৫০ সালে রোমের যে স্খানে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল সেখানে তার স্মরণে একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়। অবশেষে ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু পোপ গ্লসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে `Saint Valentine Day' হিসেবে ঘোষণা করেন। ভ্যালেন্টাইন কারারক্ষীর যুবতী মেয়েকে ভালোবাসার কারণে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু পোপ গ্লসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ ঘোষণা করেননি। কারণ, খ্রিষ্ট ধর্মে পুরোহিতদের জন্য বিয়ে করা বৈধ নয়। তাই পুরোহিত হয়ে মেয়ের প্রেমে আসক্তি খ্রিষ্ট ধর্মমতে অনৈতিক কাজ। তা ছাড়া, ভালোবাসার কারণে ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে যেতে হয়নি। কারণ, তিনি কারারক্ষীর মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন কারাগারে যাওয়ার পর। সুতরাং, ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ ও মৃত্যুদণ্ডদানের সাথে ভালোবাসার কোনো সম্পর্ক ছিল না। তাই ভ্যালেন্টাইনের কথিত ভালোবাসা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে’র মূল বিষয় ছিল না। বরং ধর্মের প্রতি গভীর ভালোবাসাই তার মৃত্যুদণ্ডের কারণ ছিল।


ভালোবাসা দিবস
ভালোবাসা দিবস


১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবস কেনো? 

ষ্টীয় ইতিহাস মতে, ২৬৯ খৃষ্টাব্দের কথা।
সাম্রাজ্যবাদী, রক্তপিপাষু রোমান সম্রাট
ক্লডিয়াসের দরকার এক বিশাল সৈন্যবাহিণীর। এক
সময় তার সেনাবাহিনীতে সেনা সংকট দেখা দেয়।
কিন্তু কেউ তার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে রাজি
নয়। সম্রাট লক্ষ্য করলেন যে, অবিবাহিত যুবকরা
যুদ্ধের কঠিন মুহূর্তে অত্যধিক ধৈর্যশীল হয়। ফলে
তিনি যুবকদের বিবাহ কিংবা যুগলবন্দী হওয়ার উপর
নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। 
যাতে তারা
সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ না
করে। তার এ ঘোষণায় দেশের যুবক-যুবতীরা ক্ষেপে
যায়। যুবক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক ধর্মযাজকও
সম্রাটের এ নিষেধাজ্ঞা কিছুতেই মেনে নিতে
পারেননি। প্রথমে তিনি সেন্ট মারিয়াসকে
ভালবেসে বিয়ের মাধ্যমে রাজার আজ্ঞাকে
প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার গীর্জায় গোপনে বিয়ে
পড়ানোর কাজও চালাতে থাকেন। একটি রুমে বর-বধূ
বসিয়ে মোমবাতির স্বল্প আলোয় ভ্যালেন্টাইন ফিস
ফিস করে বিয়ের মন্ত্র পড়াতেন। কিন্তু এ বিষয়টি
এক সময়ে সম্রাট ক্লডিয়াসের কানে গেলে সেন্ট
ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ২৭০
খৃষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি সৈন্যরা ভ্যালেন্টাইনকে
হাত-পা বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে সম্রাটের সামনে
হাজির করলে তিনি তাকে হত্যার আদেশ দেন।
ভালোবাসা দিবস

১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস

গোটা ইউরোপে যখন খৃষ্টান ধর্মের জয়জয়কার, তখনও
ঘটা করে পালিত হতো রোমীয় একটি রীতি। মধ্য
ফেব্রুয়ারিতে গ্রামের সকল যুবকরা সমস্ত মেয়েদের
নাম চিরকুটে লিখে একটি পাত্রে বা বাক্সে জমা
করত। অতঃপর ঐ বাক্স হতে প্রত্যেক যুবক একটি করে
চিরকুট তুলত, যার হাতে যে মেয়ের নাম উঠত, সে
পূর্ণবৎসর ঐ মেয়ের প্রেমে মগ্ন থাকত। আর তাকে
চিঠি লিখত, এ বলে ‘প্রতিমা মাতার নামে তোমার
প্রতি এ পত্র প্রেরণ করছি।’ বৎসর শেষে এ সম্পর্ক
নবায়ন বা পরিবর্তন করা হতো। এ রীতিটি কয়েকজন
পাদ্রীর গোচরীভূত হলে তারা একে সমূলে উৎপাটন
করা অসম্ভব ভেবে শুধু নাম পাল্টে দিয়ে একে
খৃষ্টান ধর্মায়ণ করে দেয় এবং ঘোষণা করে এখন
থেকে এ পত্রগুলো ‘সেন্ট ভ্যালেনটাইন’-এর নামে
প্রেরণ করতে হবে। কারণ এটা খৃষ্টান নিদর্শন, যাতে
এটা কালক্রমে খৃষ্টান ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে
যায়।

ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা
 ভালোবাসা দিবস ছবি

ছবি গুলো সুন্দর এবং নরম কোমল তাই বলে পুরা ভালোবাসা দিবস কে নরম কোমল সুন্দর ভাব্বেন না। ছবি গুলো আপনারা আপনাদের স্বামী কিংবা স্ত্রী কে দিতে পারেন।
হালাল ভালোবাসা। হারাম ইউজ এর জন্য আমি দায়ি না।

৫। ভালবাসা দিবসের উৎপত্তি কিভাবে

প্রেম ভালবাসা ছবি

প্রাচীন রোমে দেবতাদের রাণী জুনোর সম্মানে ১৪

ফেব্রুয়ারি ছুটি পালন করা হতো। রোমানরা বিশ্বাস
করত যে, জুনোর ইশারা-ইঙ্গিত ছাড়া কোন বিয়ে
সফল হয় না। ছুটির পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি
লুপারকালিয়া ভোজ উৎসবে হাজারও তরুণের মেলায়
র্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে সঙ্গী বাছাই প্রক্রিয়া চলত।
এ উৎসবে উপস্থিত তরুণীরা তাদের নামাংকিত
কাগজের সিপ জনসম্মুখে রাখা একটি বড় পাত্রে
ফেলত। সেখান থেকে যুবকের তোলা সিপের
তরুণীকে কাছে ডেকে নিত। কখনও এ জুটি সারা
বছরের জন্য স্থায়ী হত এবং ভালবাসার সিঁড়ি বেয়ে
বিয়েতে গড়াতো।
ঐ দিনের শোক গাঁথায় আজকের এই "ভ্যালেন্টাইন
ডে"।
ভালোবাসা দিবস ছবি
ভালোবাসা দিবস ছবি

৬। ভ্যালেন্টাইন ডে  গল্প

পৌত্তলিক(অগ্নি উপাসক রোমের পৌরাণিক
কাহিনীতে রোমিউলাস নামক এক ব্যক্তি ছিল।
একদা রোমিউলাস নেকড়ের দুধ পান করায় অসীম
শক্তি ও জ্ঞানের অধিকারী হয়ে প্রাচীন রোমের
প্রতিষ্ঠা করেন। 

প্রেম পিরিত ছবি

রোমানরা এই পৌরাণিক
কাহিনীকে কেন্দ্র করে ১৫ই ফ্রেব্রুয়ারী উৎসব
পালন করত। উৎসবের দিন তারা একটি কুকুর ও একটি
পাঠা বলি দিত। দুজন শক্তিশালী যুবক বলির রক্ত
সারা গায়ে মাখতো এবং পরে তা দুধ দিয়ে ধুয়ে
ফেলত। অত:পর সেই দুই শক্তিশালী যুবকের নেতৃত্বে
শহরে প্যারেড অনুষ্ঠিত হতো। সেই দুই যুবক তাদের
হাতে থাকা চামড়ার রশি দিয়ে সম্মুখে আগত যে
কাউকে আঘাত করত। রোমান নারীরা এই আঘাত
আনন্দচিত্তে গ্রহণ করতো। কেননা তারা বিশ্বাস
করত, এর ফলে তারা ভবিষ্যতে বন্ধ্যাত্ব থেকে রক্ষা
পাবে, আর বন্ধ্যা মহিলারা তাদের অনুর্বরতা থেকে
মুক্তি পাবে। তাদের উৎসবের আরেকটি অংশ ছিল
বিবাহযোগ্যা নারীদের নাম লিখে কতগুলো
কাগজের টুকরো রাখা হবে। অত:পর, যে ব্যক্তি, যে
নামের টুকরো তুলত সেই মেয়েটির সাথেই পরবর্তী
এক বছর কাটাতো । এই এক বছর তারা পরস্পরকে
যাচাই করার সময় পেত।পরবর্তী বছরের এই একই দিনে
হয় তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতো নতুবা একই নিয়মে
নতুন সঙ্গী গ্রহণ করত। পরবর্তীতে রোমানরা
খ্রীস্টানদের দখলে আসে এবং তাদের অনেকেই
খ্রীস্টধর্ম গ্রহণ করে। খ্রীস্টান ধর্মযাজকরা এই
অনৈতিক, অশ্লীল বিবাহ-বহির্ভূত ব্যবস্থা বাতিল
করেন।
ভ্যালেন্টাইন ডে

৭। ভালবাসা দিবসের কাহিনী ০১

তিনজন খ্রিস্টান শহীদের নাম অনুসারে দিনটি
পালন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত যত জন সেন্ট
ভ্যালেন্টাইনের নাম জানা যায় তাদের মাঝে
সবচেয়ে প্রাচীন আলেকজান্দ্রিয়ার সেন্ট
ভ্যালেন্টাইন। তিনি সম্ভবত ১০০-১৫৩ সময়ে ছিলেন।
বিশপ আব রোম পদের জন্য সে সময় তিনি ছিলেন
শক্তিশালী প্রার্থী। তিনি মনে করতেন অর্থের
বিনিময়ে পরকালে দায়মুক্তির চেয়ে বাসর ঘর
অনেক ভাল। তবে প্রকৃত ভ্যালেন্টান কে ছিলেন এ
নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। এবং সেই তর্কের
মীমাংসা এখনও হয়নি।
ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা
ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা

৮.  ভালবাসা দিবসের কাহিনী ০২

আগেরগুলোর থেকে এইটা একটু অংশে আলাদা।
প্রাচীন রোমে খ্রিস্টধর্ম তখন মোটেও জনপ্রিয়
ছিল না। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের শাস্তি দেওয়া
হতো। একদিন রোমের এক কারাপ্রধান তার অন্ধ
মেয়েকে ভ্যালেন্টাইনের কাছে নিয়ে এলেন
চিকিৎসার জন্য। ভ্যালেন্টাইন কথা দিলেন তিনি
তার সাধ্যমতো চিকিৎসা করবেন। চিকিৎসা চলছিল।
হঠাৎ একদিন রোমান সৈন্যরা ভ্যালেন্টাইনকে
বেঁধে নিয়ে গেল। ভ্যালেন্টাইন বুঝতে
পেরেছিলেন, খ্রিস্টান হওয়ার অপরাধে তাকে
মেরে ফেলা হবে। ২৬৯ (কারও মতে ২৭০)
খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রোম সম্রাট
ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড
কার্যকর করা হয়। তার আগে ভ্যালেন্টাইন অন্ধ
মেয়েটিকে বিদায় জানিয়ে একটি চিরকুট
লিখেছিলেন। কারাপ্রধান চিরকুটটি দিলেন
মেয়েকে। তাতে লেখা ছিল, 'ইতি তোমার
ভ্যালেন্টাইন।' মেয়েটি চিরকুটের ভেতরে বসন্তের
হলুদ ত্রৌকস ফুলের আশ্চর্য সুন্দর রং দেখলো। তার
অন্ধ দু'চোখে তখন ঝলমলে আলো। 
আকাশে লেখা লাভ

৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে

পোপ জেলাসিয়ুস ফেব্রুয়ারি ১৪ তারিখ
ভ্যালেন্টাইন্স ডে ঘোষণা করেন। সেই থেকে
ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করছে মানুষ। আরেকটি
সম্পূর্ণ ভিন্নমত আছে। এই মতের লোকেরা বলেন,
ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে প্রিয়জনকে ভালোবাসার
বার্তা পাঠানোর আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রাচীনকালে মানুষের বিশ্বাস ছিল, ১৪ ফেব্রুয়ারি
হলো পাখিদের বিয়ের দিন। পাখিরা বছরের
দ্বিতীয় মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডিম পাড়তে বসে।
আবার কেউ বলেন, মধ্যযুগের শেষদিকে মানুষ
বিশ্বাস করত এদিন থেকে পাখিদের মিলন ঋতু শুরু
হয়। পাখিরা সঙ্গী খুঁজে বেড়ায়। পাখিদের
দেখাদেখি মানুষও তাই সঙ্গী নির্বাচন করে এ
দিনে। কারণ যাই হোক, ভালোবাসা প্রকাশের জন্য
এ দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত ১৪০০ শতক থেকে
ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপন শুরু হয় মহাসমারোহে।


আসলে সব গুলা কাহিনীর দেখবেন অনেক অংশই

কমন।কিছু কিছু জায়গায় ভিন্নতা।
যাই হোক, এবার একটু দেখি বাণিজ্যিজীকরণ
কিভাবে হলো।

ভ্যালেন্টাইন ডে

14 ভালোবাসা দিবস 2024

১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিষ্টান সম্প্রদায় কর্র্তৃক `Saint
Valentine Day'হিসেবে ঘোষণার আগে এ দিনটি
পৌত্তলিক ধর্মীয় উৎসবহিসেবে পালিত হতো। তখন
তারা ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত
লুপারকেলিয়া উৎসব পালন করত।
ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন ``Valentine Day'কার্ডে
Cupid-এর প্রতীক ব্যবহার করাহয়। এ দিনে রোমানদের
আরেকটি উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি ছিল, প্রেমের
দেবী জুনুর আশীর্বাদ কামনায় যুবকদের মধ্যে
যুবতীদের বন্টনের জন্য লটারিরআয়োজন। তারাযুবতী
মেয়েদের নামলিখে একটি বাক্সে রাখতএবং
লটারির মাধ্যমে যুবকরা এসে নাম তুলত। লটারিতে
যারসাথে যার নাম উঠত এক বছরের জন্য তারা লিভ
টুগেদার করত। এ ধরনের নানা অনৈতিকতা,
কুসংস্কার ওভ্রান্ত বিশ্বাসে আচ্ছন্ন লটারির
মাধ্যমে যুবতীদের বন্টনের রীতি ফন্সান্স সরকার
১৭৭৬ সালে নিষিদ্ধ করেছিল। ক্রমান্বয়ে এটি
ইতালি, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মান থেকেও
উঠে যায়। ইংল্যান্ডেও এক সময় এটি নিষিদ্ধ
করাহয়েছিল।

Apple, Love, Heart


কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আধুনিক সভ্যতার এ যুগে

কুসংস্কারাচ্ছন্ ন ভ্রান্ত বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত
তথাকথিত প্রেমিক উৎসব চালু হলো কিভাবে? ইস্টার
এ হল্যান্ড নামক এক চতুর কার্ড বিক্রেতা কোম্পানি
প্রথম'What Else Valentine'নামে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে
আমেরিকান ভ্যালেন্টাইন ডে কার্ড বানায় এবং
প্রথম বছরই ৫০০০ ডলারেরকার্ড বিক্রি হয়। পরে
সুযোগসìধানীমিডি য়া কোম্পানির পৃষ্ঠপোষকতায়
ভ্যালেন্টাইন ডে ফুলে-ফেঁপে ওঠে।
- Muslim Page

ভ্যালেন্টাইন ডে

বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে


বাংলাদেশে প্রথম আসে এদেশের খবিশদের নেতা
যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান এর মাধ্যমে। এই লোকই বাংলাদেশে সমকামিতা, চটি, অজাচার এর প্রচার প্রসার ঘটানোর পিছনে কাজ করছে।
১৯৯৩ সালের দিকে বাংলাদেশে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের আর্বিভাব ঘটে। যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান এর প্রবক্তা। পাশ্চাত্যের প্রভাব নিয়ে দেশে এসে লন্ডনি সংস্কৃতির চর্চা শুরু করেন। লন্ডনি সংস্কৃতি না বলে লন্ডনি অজাচার বলায় ভালো।
তিনি প্রথম যায়যায়দিন পত্রিকার মাধ্যমে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বাংলাদেশিদের কাছে তুলে ধরেন।


ভ্যালেন্টাইন ডে
ভ্যালেন্টাইন ডে পিকচার

ভালোবাসা দিবস কবে ?

১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।

আর কি কি দিবস আছে জানেন?
  1. প্রস্তাব দিবস
  2. গোলাপ দিবস
  3. চকোলেট দিবস
  4. ব্লা ব্লা 
Love, Hearts, Banner, Heart, Red

ভালবাসা দিবসের ক্ষতি 


জানি আপনারা এই পোস্টে আসছেন তারা ভালবাসা গুতাইতে আসছেন তাই আমার রসকষ লেখা ভালো লাগবে না।
কিন্তু কিছু করার নাই। ফাউল কে ফাউল বলা দোষের না বরং ফালতু দিবস তিবস কে পালন করায় দোষের।
ধর্মে হারাম আবার আমাদের চেতনার বাঙালি চেতনাতেও এটা যায় না।Roses, Petals, Floral, Romantic, Love, Romance
ভিনদেশি উতসব কেনো পালন করবো? কেনো নিজেদের ইজ্জত একদিনের আনন্দে বিলিয়ে দিয়ে সারাজীবন ভুগবো?
মেয়েরা এইসব দিবসে প্রেমিক কে ভালবাসা প্রমান করতে ও নিজের সুখ ভোগ করতে বিছানায় যায় পার্কে যায় আনাচে কানাচে ভিডিও তৈরি করে! পড়ে যখন প্রেমিক এর সাথে ব্রেকাপ হয় তখন Pure ভালবাসার ছেলেটা ঐ ভিডিও নেটে ছেড়ে দেয়!!! তখন কে ভুগে? মেয়েটা আর তার পরিবার।
এই ভুল শুধরানোর মত না কেননা যা একবার ছাড়া হইছে তা আপনার মৃত্যুর পরও থাকবে। আপনার ছেলে মেয়েও হইতো একদিন নেটে ব্রাউজ করতে করতে আপনার সেসভ ক্লিপ দেখে ফেলবে! বুঝেন তখন আপনার অবস্থা?
আর পাপ সে তো চলমান!
ভ্যালেন্টাইন ডে পিকচার



১) ভালবাসা নামের এ শব্দটির সাথে এক চরিত্রহীন লম্পটের স্মৃতি জড়িয়ে যারা ভালবাসার জয়গান গেয়ে চলেছেন, পৃথিবীবাসীকে তারা সোনার পেয়ালায় করে নীল বিষ পান করিয়ে বেড়াচ্ছেন।

২) তরুণ-তরুণীদের সস্তা যৌন আবেগকে সুড়সুড়ি দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও ফাসাদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের ভালবাসেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ‘‘আর তারা তো পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়ায়। আর আল্লাহ ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের ভালবাসেন না।’’ [সূরা আল মায়িদাহ: ৬৪]

৩) নৈতিক অবক্ষয় দাবানলের মত ছড়িয়ে যাচ্ছে।

বিশ্ব ভালবাসা দিবস

৪) নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি লাভ করছে। যারা ঈমানদারদের সমাজে এ ধরণের অশ্লীলতার বিস্তার ঘটায়, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ‘‘যারা মু’মিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি..।’’ [সূরা আন-নূর :১৯]

বস্তুত যে সমাজেই চরিত্র-হীনতার কাজ ব্যাপক, তথায় আল্লাহর নিকট থেকে কঠিন আযাব সমূহ ক্রমাগত অবতীর্ণ হওয়া অবধারিত, আব্দুল্লাহ ইবন ‘উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন: ‘‘যে জনগোষ্ঠীর মধ্যে নির্লজ্জতা প্রকাশমান, পরে তারা তারই ব্যাপক প্রচারেরও ব্যবস্থা করে, যার অনিবার্য পরিণতি স্বরূপ মহামারি, সংক্রামক রোগ এবং ক্ষুধা-দুর্ভিক্ষ এত প্রকট হয়ে দেখা দিবে, যা তাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে কখনই দেখা যায় নি।’’ [ইবনু মাজাহ, কিতাবুল ফিতান, হাদিস নং-৪০০৯]


Heart, Letter, Love, Mail, Valentine, Romantic
৫) তরুণ-তরুণীরা বিবাহ পূর্ব দৈহিক সম্পর্ক গড়তে কোন রকম কুণ্ঠাবোধ করছে না। অথচ তরুণ ইউসুফ আলাইহিস সালামকে যখন মিশরের এক রানী অভিসারে ডেকেছিল, তখন তিনি কারাবরণকেই এহেন অপকর্মের চেয়ে উত্তম জ্ঞান করেছিলেন। রোমান্টিক অথচ যুব-চরিত্রকে পবিত্র রাখার জন্য কী অতুলনীয় দৃষ্টান্ত! আল্লাহ জাল্লা শানুহু সূরা ইউসুফের ২৩-৩৪ নম্বর আয়াত পর্যন্ত এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন এ ভাবে- ‘‘সে যে স্ত্রীলোকের ঘরে ছিল সে তার কাছ থেকে অসৎকাজ কামনা করল ও দরজাগুলো বন্ধ করে দিল এবং বলল, ‘আস।’ সে বলল, ‘আমি আল্লাহ্‌র আশ্রয় প্রার্থনা করছি, তিনি আমার প্রভু; তিনি আমার থাকার সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। নিশ্চয়ই সীমালঙ্ঘনকারীরা সফলকাম হয় না। সে রমণী তো তার প্রতি আসক্ত হয়েছিল এবং সেও তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ত যদি না সে তার প্রতিপালকের নিদর্শন দেখতে পেত। আমি তাকে মন্দ-কাজ ও অশ্লীলতা হতে বিরত রাখার জন্য এভাবে নিদর্শন দেখিয়েছিলাম। সে তো ছিল আমার বিশুদ্ধচিত্ত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। ওরা উভয়ে দৌড়ে দরজার দিকে গেল এবং স্ত্রীলোকটি পিছন হতে তার জামা ছিঁড়ে ফেলল, তারা স্ত্রীলোকটির স্বামীকে দরজার কাছে পেল। স্ত্রীলোকটি বলল, ‘যে তোমার পরিবারের সাথে কুকর্ম কামনা করে তার জন্য কারাগারে প্রেরণ বা অন্য কোন মর্মন্তুদ শাস্তি ছাড়া আর কি দণ্ড হতে পারে? ইউসুফ বলল, ‘সে-ই আমার কাছ থেকে অসৎকাজ কামনা করছিল।’ স্ত্রীলোকটির পরিবারের একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিল, ‘যদি তার জামার সামনের দিক থেকে ছিঁড়ে থাকে তবে স্ত্রীলোকটি সত্য কথা বলেছে এবং পুরুষটি মিথ্যাবাদী, কিন্তু তার জামা যদি পিছন দিক থেকে ছিঁড়ে থাকে তবে স্ত্রীলোকটি মিথ্যা বলেছে এবং পুরুষটি সত্যবাদী। 
Heart, Letter, Love, Mail, Valentine, Seal, Romantic
গৃহস্বামী যখন দেখল যে, তার জামা পিছন দিক থেকে ছেঁড়া হয়েছে তখন সে বলল, ‘নিশ্চয়ই এটা তোমাদের নারীদের ছলনা, তোমাদের ছলনা তো ভীষণ। হে ইউসুফ! তুমি এটা এড়িয়ে যাও এবং হে নারী! তুমি তোমার অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর; তুমিই তো অপরাধী। নগরের কিছু সংখ্যক নারী বলল, ‘আযীযের স্ত্রী তার যুবক দাস হতে অসৎকাজ কামনা করছে, প্রেম তাকে উন্মত্ত করেছে, আমরা তো তাকে স্পষ্ট ভুলের মধ্যে দেখছি। স্ত্রীলোকটি যখন ওদের কানা-ঘুষার কথা শুনল, তখন সে ওদেরকে ডেকে পাঠাল, ওদের জন্য আসন প্রস্তুত করল, ওদের সবাইকে একটি করে ছুরি দিল এবং ইউসুফকে বলল, ‘ওদের সামনে বের হও।’ তারপর ওরা যখন তাঁকে দেখল তখন ওরা তাঁর সৌন্দর্যে অভিভূত হল এবং নিজেদের হাত কেটে ফেলল। ওরা বলল, ‘অদ্ভুত আল্লাহর মাহাত্ম্য! এ তো মানুষ নয়, এ তো এক মহিমান্বিত ফেরেশতা। সে বলল, ‘এ-ই সে যার সম্বন্ধে তোমরা আমার নিন্দা করেছ। আমি তো তার থেকে অসৎকাজ কামনা করেছি। কিন্তু সে নিজেকে পবিত্র রেখেছে; আমি তাকে যা আদেশ করেছি সে যদি তা না করে, তবে সে কারারুদ্ধ হবেই এবং হীনদের অন্তর্ভুক্ত হবে। ইউসুফ বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! এ নারীরা আমাকে যার দিকে ডাকছে তার চেয়ে কারাগার আমার কাছে বেশী প্রিয়। আপনি যদি ওদের ছলনা হতে আমাকে রক্ষা না করেন তবে আমি ওদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হব। তারপর তার প্রতিপালক তার ডাকে সাড়া দিলেন এবং তাকে ওদের ছলনা হতে রক্ষা করলেন। তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।” [সূরা ইউসুফ: ২৩-৩৪]


৬) শরীরে উল্কি আঁকাতে যেয়ে নিজের ইয্‌যত-আব্রু পরপুরুষকে দেখানো হয়। যা প্রকাশ্য কবিরা গুনাহ। যে ব্যক্তি উল্কি আঁকে এবং যার গায়ে তা আঁকা হয়, উভয়য়ের উপরই আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: ‘‘যে ব্যক্তি পর-চুলা লাগায় এবং যাকে লাগায়; এবং যে ব্যক্তি উল্কি আঁকে এবং যার গায়ে আঁকে, আল্লাহ তাদেরকে অভিসম্পাত করেন।’’ [বুখারী,কিতাবুল লিবাস,হাদিস নং৫৪৭৭] মূলত যার লজ্জা নেই, তার পক্ষে এহেন কাজ নেই যা করা সম্ভব নয়। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘‘যদি তোমার লজ্জা না থাকে তাহলে যা ইচ্ছা তাই করতে পার।’’ [বুখারী, কিতাবু আহাদীসিল আম্বিয়া, হাদিস নং৩২২৫]


৭) ভালবাসা দিবসের নামে নির্লজ্জতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে যিনা-ব্যভিচার, ধর্ষণ ও খুন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘‘যে জনগোষ্ঠীর-মধ্যেই ব্যভিচার ব্যাপক হবে, তথায় মৃত্যুর আধিক্য ব্যাপক হয়ে দেখা দেবে।’’ [মুয়াত্তা মালিক, কিতাবুল জিহাদ, হাদিস নং-৮৭০]


বিশ্ব ভালবাসা দিবস

বিশ্ব ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা ভালোবাসা দিবস কবে ভালবাসা দিবসের কাহিনী ভালবাসা দিবসের উৎপত্তি কিভাবে ভালোবাসা দিবস কেন পালন করা হয় 14 ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস ভালবাসা দিবসের এস এম এস ২০১৮ প্রেম দিবস
ভালোবাসার ছন্দ পিকচার ভালোবাসার পিকচার ছবি ভালোবাসার পিকচার ডাউনলোড ভালোবাসার রোমান্টিক পিকচার ভালোবাসার ছবি ডাউনলোড লাভ পিকচার লেখা ভালোবাসার ফটো ডাউনলোড লেখা


 ভালোবাসা দিবসের পিকচার


ভালোবাসা দিবসের পিকচার


ভালোবাসা দিবসের পিকচার
 ভালোবাসা দিবসের পিকচার



ভালোবাসা দিবসের পিকচার
 ভালোবাসা দিবসের পিকচার ০২


ভালোবাসা দিবস কবে পালিত হয়?

ভালোবাসা দিবসের পিকচার


ভালোবাসা দিবসের পিকচার

ভালোবাসা দিবসের পিকচার

কেটে পড়েন বাকিটুকু পড়ে সময় নষ্ট করে লাভ নাই। 

কখনও কখনও বিচ্ছেদের পরে, একজন ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ ব্যথা অনুভূত হয় এবং নেতিবাচক অনুভূতিগুলি খুব দৃ become় হয় এবং আমরা ভয়, হতাশা, উদ্বেগ, হতাশা, ক্রোধ, হতাশা এবং অপমান অনুভব করি এবং খুব বিরক্ত বোধ করি। , ক্ষুধা, ঘুম এবং কাজের মতো মনে হয় না এবং শরীরেও ব্যথা লাগে তবে কেন এমন হয় ???

বিশেষজ্ঞদের মতে এর পিছনে কিছু বৈজ্ঞানিক ও মানসিক কারণ রয়েছে যার কারণে আমরা ব্যথা এবং নেতিবাচক অনুভূতি অনুভব করি।


গবেষণা থেকে জানা গেছে যে ব্রেকআপের পরে, আমাদের মস্তিষ্কের একটি অংশ অ্যামিগডালা সক্রিয় হয়, আঘাতের পরে শারীরিক ব্যথা বা ভয় বা তীব্র আবেগ যা আমরা অনুভব করি তা অ্যামিগডালার সক্রিয়তার কারণে ঘটে। হয়। এই অংশটি ব্যথা, ভয় এবং তীব্র আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে।



যখন আমরা কারও প্রেমে আছি, তখন আমাদের দেহটি ভাল হরমোনটি সরিয়ে দেয় যা আমাদের ডোপামিন এবং অক্সিটোসিনের মতো খুশি করে তোলে, কিন্তু যখন একই প্রিয়জনটি চলে যায়, তখন অনুভূতিটি ভাল হরমোনগুলি বন্ধ হয়ে যায় এবং মস্তিষ্কের স্ট্রেস হয়ে যায়। কর্টিসল এবং এপিনেফ্রিনের মতো হরমোন তৈরি হয়।


স্ট্রেস হরমোনগুলি যখন অল্প পরিমাণে প্রকাশিত হয়, তখন এটি নিশ্চিত করে যে আমরা বিপাকে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাই, তবে ব্রেকআপের পরে, ভাঙ্গা হার্টের সমস্যাটি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তারপরে এই স্ট্রেস হরমোনগুলি শরীরে জমা হয়।

 এবং অস্বস্তি বাড়ায় ফলে মাথা ব্যথা হয়। ক্ষুধা হ্রাস, হতাশা। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, পেশী ফোলাভাব, ডায়রিয়া, বাধা, পেটে ব্যথা, ক্রোধ, আসক্তি, হতাশা, তৃষ্ণা দেখা যায়, সঙ্গীর কাছে ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষা বাড়ে 

ব্রেকআপের আগে দম্পতি একে অপরের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, কিন্তু যখন সঙ্গী চলে যায়, জীবন শূন্য হয়ে যায়, তখন সঙ্গী ছাড়া বেঁচে থাকার বেদনা বিশ্বাস করে না যে আমরা আলাদা  হয়ে উঠেছে, এই আকাঙ্ক্ষা নেশায় পরিণত হয়, ধীরে ধীরে সময়টি ছাড়া মনটি অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং আপনার ব্যথাও হ্রাস পায় 

সুতরাং এখন আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে ব্রেকআপের পরে, যদি সংবেদনশীল অনুভূতিগুলি আপনার হৃদয়ে জায়গা করে দেয়, তবে এটি আপনার পক্ষে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, এমন পরিস্থিতিতে আপনার ব্রেকআপের পরে এবং নিজেকে নিজেকে পড়ে যাওয়ার দরকার নেই। 

 গড়ে তুলুন, নিজেকে আরও বেশি মনোযোগ দিন এবং সম্মান দিন, নিজের মূল্যকে চিনুন, অন্যের চেয়ে নিজেকে বেশি ভালবাসতে শিখুন, মনে রাখবেন ব্রেকআপ একটি শেখার অভিজ্ঞতা, এই সম্পর্ক এটি শিখুন, এটি আপনার বিশ্বের শেষ নয়।


আপনি যদি নিজের জন্য মূল্যবান হন এবং শিখেন তবে ভবিষ্যতে এমন কোনও সম্পর্কের মধ্যে পড়াশোনা করা থেকে আপনি বাঁচবেন যা আপনার জন্য ক্ষতির চুক্তি হবে। 

ব্রেকআপের পরে, আপনার অনুভূতি এবং আবেগগুলি নোট করুন, এটি আপনার ব্যথা কমাবে, আগের সম্পর্কের ভাল এবং খারাপ জিনিসগুলি নোট করবে, সম্ভবত সম্পর্কটি আপনার খারাপ জিনিসের কারণে শেষ হয়েছে, এটি আপনাকে ভবিষ্যতে সৃষ্টি করবে, আপনি একই ভুল কাজ থেকে বাঁচবেন যা আপনার সম্পর্কের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।

কীভাবে ব্রেকআপের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে বেদনাদায়ক ব্রেকআপের মাধ্যমে
যেমনটি আমরা বলেছি যে ব্রেকআপের পরে, মানুষ শারীরিক এবং মানসিকভাবে উভয়ই আহত হয়, কিছু ক্ষেত্রে এর প্রভাব বেশি দেখা যায় এবং কিছু ক্ষেত্রে কম দেখা যায়। 

এটি ব্রেকআপের পরে ব্যথা থেকে একজন ব্যক্তির কত শীঘ্রই উত্থিত হয় তার উপর নির্ভর করে, যদিও সম্পর্কের ভাঙ্গনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে সময় লাগে, এমন পরিস্থিতিতে এই ব্যথাটি কাটিয়ে উঠতে পারে বা খুব সামান্যই হতে পারে। আপনি যেমন বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধুবান্ধবদের মতো আপনাকে খুব বেশি ভালোবাসেন তাদের সাথে আপনি আরও সময় কাটাতে পারেন, এটি আপনার মন অন্যত্র ফেলে দেবে।
ব্রেকআপের কারণে আপনি যে আঘাতটি ভোগ করেছেন এবং যার কারণ আপনি ভোগ করবেন সে সম্পর্কে আপনি যত বেশি ভাবেন, আপনার কী ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কেও আমরা জানিয়েছি, শরীরকে পুষ্ট করা যায় এমন উপায়ে ভাল খাবার খান। 

এবং পুনরুদ্ধার করতে, একটি ভাল ঘুম পান, জিম বা যোগ করুন। একজন ভাল মনোবিজ্ঞানী বা কাউন্সেলিংয়ে যোগদান করুন যিনি আপনাকে এই ব্রেক আপের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারেন। ভাল বই পড়ুন। 

মনে রাখবেন, শারীরিক ব্যথার মতোই মানসিক ব্যথাও একটি ভাল চিকিত্সার প্রয়োজন, সুতরাং পরামর্শ আপনার জন্য উপকারী প্রমাণিত হবে এবং আপনি এই ব্যথা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একটি ভাল সমাধান খুঁজে পাবেন।
Next Post Previous Post