টুইটার : টুইটার কি, একাউন্ট খোলা এবং এপ্স সহ টুইটারের বিস্তারিত

টুইটার : টুইটার কি, একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং এপ্স সহ টুইটারের বিস্তারিত  তথ্য ঃ Twitter Details In Bangla 2024


 সতর্কতা ঃ ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব আপনার শরীর এবং মনের জন্য চরম ক্ষতিকর। এদের থেকে নিজেকে যত দূরে রাখতে পারবেন ততই আপনার জন্য ভালো। এখানে শুধুমাত্র আপনাদের লেখাপড়া/ ক্যারিয়ার/ তথ্য জানতে কীভাবে টুইটার ওপেন করবেন তার জন্যই বিস্তারিত বলে হয়েছে। টুইটার বা অন্যান্য সাইট ইউজ করা থেকে আপনাকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। এরপরেও যদি আপনি ইউজ করেন তাহলে এর ফলে আপনার জন্য আপনিই দায়ি। আপনার ক্ষতি, আপনার পাপ সবই আপনার। আমি দায় মুক্ত। ধন্যবাদ 
টুইটার : টুইটার কি, একাউন্ট খোলা এবং এপ্স সহ টুইটারের বিস্তারিত

টুইটার একাউন্ট খোলার নিয়ম ঃ 

assorted-color social media signage

০১। 
টুইটার একাউন্ট ওপেন করার জন্য  আমাদের কে প্রথমে  টুইটার এর Twitter.com ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। টুইটারে জেতে Twitter লিখে সার্চ করুন, প্রথমে থাকা রেজাল্টে টুইটার লগ ইন পেজে প্রবেশ করুন । 
০২। আপনার আগে থেকে খোলা কোন মেইল একাউন্ট দিয়ে, ফেসবুক এর মত নাম Password লিখে Sign Up করুন।
সেখানে আপনি একটা ইমেইল অ্যাড্রেস এবং আপনার পাসওয়ার্ড দিয়ে Get start এ ক্লিক করবেন। এরপর full name এর অপশনে আপনার নাম দিয়ে পুরন করবেন। এখন “Sing up” এ ক্লিক করবেন।
টুইটারে ফেসবুক এর মত নাম নিয়ে তেমন ঝামেলা নাই। ইচ্ছামত পালটানো যায়। 
০৩। আপনি যে ইমেইল  অ্যাড্রেস দিছেন সেখানে একটি  মেইল যাবে। টুইটার থেকে যাওয়া মেইলটা ওপেন করে  confirm now  এ ক্লিক করলে আবার টুইটার লগ ইন পেজ আসবে। সেখানে আবার  আপনার দেওয়া মেইল অ্যাড্রেস এবং পাস দিয়ে লগিন  বাটনে ক্লিক করলে আপনার  টুইটার একাউন্ট ওপেন হয়ে যাবে। 
black smartphone
টুইটার একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলায় 
প্রোফাইল পিকচার ঃ  ছেলে কিংবা মেয়ে সবখানে নিজের ছবি দেওয়া যত কম দেওয়া যায় ততই ভালো। আর মেয়ে হলে তো একদম ি দেওয়া ঠিক না। দিন দিন অনলাইন অনলাইনের বস দের জন্যও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ডিপ ফেক দিয়ে এখন আনাড়ি রাও এমন ভিডিও বানাতে সক্ষম যে টেক জায়ান্ট কোম্পানি গুলোও Real/ Fake বাছায় করতে হিমশিম খাচ্ছে।
আর তাছাড়া আপনি জানেন না আপনার দেওয়া ছবি দিয়ে কতজন  ফেক আইডি খুলে সস্তা মার্কেটিং করবে, আপনার মারা যাওয়ার পরও এসব ছবি নেটে থাকবে। কোটি কোটি মানুষ আপনাকে ইউজ করবে।

টুইটার ফলোয়ার 

ফেসবুক যেমন ফ্রেন্ড আছে তেমনি টুইটারে আছে ফলোয়ার। একজন সাধারণ আম পাবলিক এর জন্য ফেসবুক  এ ফ্রেন্ড বাড়ানো কঠিন না হলেও টুইটারে ফলোয়ার বাড়ানো কিন্তু কিছুটা কঠিন ই। তবে আপনি যদি আপনার টুইটে ভেল্যু ক্রিয়েট করতে পারেন, আপনার টুইট যদি মানুষের কাছে একইসাথে মজাদার আবার informative হয় তাহলে আশা করা যায় ফলোয়ার বাড়বে।তবে আপনাদের জন্য আমার সাজেশন হলো, টুইটারে বিজনেস করতে না চাইলে ফলোয়ার নিয়ে ভাবার দরকার নেই। যাদের থেকে কিছু শিখতে পারবেন তাদের ফলো করেন, মত প্রকাশ করেন। জানুন এবং জানান। কত ফ্রেন্ড কত ফলোয়ার এসব নিয়ে ভাবার দরকার নেই।
 কভার ফটো ঃ  আপনার শখ বা যা আপনাকে প্রকাশ করে এমন ছবি কভারে দেন। যেমন আপনি সাংবাদিক হলে সংবাদ রিলেটেড পিক দেন। আপনার শখ যদি ডিফেন্স হয় তাহলে তেমন কোন ছবি দেন।
নতুন টুইটার আগের থেকে কিছুটা হিজিবিজি হয়ে গেছে। অন্তত আমার কাছে এমন  ই মনে হয়।তাই আমি এক্সটেনশন ইউজ করে পুরাতন টুইটার ই ইউজ করি। আমার কাছে সহজ লাগে।
person holding turned on space gray iPhone 5c near table

টুইটার এর খারাপ দিক 

টুইটার এর কিছু খারাপ দিক আছে। আমি দিক গুলো নাম ধরে উল্লেখ করে আপনাদের কাছে সেগুলো পরিচত করে দিবো না, তবে সতর্ক করতে চাই যাতে দূরে থাকতে পারেন।
টুইটার অন্যান্য সোশ্যাল সাই থেকে বেশি খোলামেলা। আপনি যদি বাংলাদেশে একটা বেশি খোলামেলা ছবি ফেসবুক ই রিপোর্ট করেন তাহলে অনেক সময় ই ফেসবুক রিপোর্ট অনুযায়ী ছবিটা রিমুভ করে দেই কিন্তু টুইটার এমন না। এই সাইট ফুল এডাল্ট সাপোর্ট করে। 
আর বললাম না। বুদ্ধিমানের জন্য ইশারা যথেষ্ট । দূরে থাকুন ভালো থাকুন।


টুইটার এর প্রাইভেসি ঃ 

আপনি চাইলে আপনার একাউন্ট সবার জন্য ওপেন রাখতে পারেন আবার প্রাইভেট ও রাখতে পারেন।
প্রাইভেট রাখলে শুধুমাত্র যাদেরকে আপনি ফলো করার জন্য Accept করবেন তারায় আপনার টুইট দেখতে পারবে। এবং সার্চ ইঞ্জিন গুলোও আপনার একাউন্ট থেকে দূরে থাকবে।

টুইটার এর কাজ কি 

টুইটার এর কাজ সম্পর্কে আসুন উইকি থেকে জানি।

টুইটার সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা ও মাইক্রোব্লগিং এর একটি ওয়েবসাইট।

 যেখানে ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ২৮০ অক্ষরের বার্তা আদান-প্রদান ও প্রকাশ করতে পারেন। 
এই বার্তাগুলোকে টুইট বলা হয়ে থাকে। টুইটারের সদস্যদের টুইটবার্তাগুলো তাদের প্রোফাইল পাতায় দেখা যায় । টুইটারের সদস্যরা অন্য সদস্যদের টুইট পড়ার জন্য ফলো করতে পারেন। এই কাজটিকে বলা হয় ফলো করা। কোনো সদস্যের টুইট পড়ার জন্য যারা নিবন্ধন করেছে, তাদেরকে বলা হয় অনুসরণকারী। 


টুইট লেখার জন্য সদস্যরা সরাসরি টুইটার ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও, মোবাইল ফোন বা এসএমএসের মাধ্যমেও টুইট লেখার সুযোগ রয়েছে।

টুইটারের মূল কার্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিস্কো শহরে। এছাড়াও, টেক্সাসের সান অ্যান্টোনিও এবং ম্যাসাচুসেটসের বস্টনে টুইটারের সার্ভার ও শাখা কার্যালয় রয়েছে।

টুইটার কবে শুরু হয় বা এর ইতিহাস


টুইটারের যাত্রা শুরু হয়  ২০০৬ সালের মার্চ মাসে । তবে ২০০৬ এর জুলাই মাসে জ্যাক ডর্সি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। টুইটার সারা বিশ্ব্জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। টুইটার বিশ্বের দ্বিতীয় বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ২০১০ সালের ৩১শে অক্টোবর নাগাদ টুইটারে ১৭৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৭.৫ কোটিরও বেশি সদস্য ছিলো। 

 অন্যান্য পরিসংখ্যান অনুসারে একই সময়ে টুইটারের ১৯০ মিলিয়ন বা ১৯ কোটি সদস্য ছিলো এবং দিনে ৬৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৬ কোটি টুইট বার্তা, এবং ৮ লাখ অনুসন্ধানের কাজ সম্পন্ন হতো।

 টুইটারকে ইন্টারনেটের এসএমএস বলে অভিহিত করা হয়েছে।

টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা বা জনক কে ?

গুগল এ দেওয়া তথ্য মতে টুইটার এর জনক যথাক্রমে 
  1.  Noah Glass,
  2.  Evan Williams,
  3.  Biz Stone
তবে টুইটার এর মূল লোক কে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে টুইটার প্রজেক্টে, এটা নিয়ে বিস্তারিত পাবেন। 

Noah Glass কে মূলত প্রতারনা করে টুইটার থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অনেকে মনে করে। এই ব্যাপারে ডকুমেন্টস আছে কিছু। 

কেনো টুইটার ইউজ করবেন?


যেসব ভাইয়েরা ইসলাম নিয়ে লেখালিখি করেন, তারা যদি টুইটারে এক্টিভ হন- সম্ভবত আরো বেশি অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমি ফেইসবুকের চেয়ে টুইটারকে এগিয়ে রাখব-
১। ফেইসবুকের তুলনায় টুইটারে সময় অপচয় কম হয়। কারণ টুইট করতে হয় ২৮০ ক্যারেক্টারের মধ্যে। ভিডিও আপ্লোড দিলেও সেটা ১৪০ সেকেন্ডের মধ্যে দিতে হয়। তাই খুব অল্পসময়ে আপনি টুইটারে ব্রাউজ করতে পারবেন। ফেইসবুকে একটা বড়ো পোস্ট পড়তে যতোটুকু সময় লাগে, সে সময়ে আপনি টুইটারের পুরো হোম-পেইজ ব্রাউজ করে ফেলতে পারবেন।
২। টুইটারে বাইরের দেশের অনেক আলেম-উলামা, দায়ী ভাইদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়, যেটা ফেইসবুকে সেভাবে দেখা যায় না।
৩। কোনো ইন্টারন্যাশনাল ইস্যুতে বাইরের দেশে বার্তা পৌঁছাতে চাইলে ফেইসবুকের চেয়ে টুইটার বেশি ইফেক্টিভ। যদি ইংলিশে লেখা যায়, তাহলে তো আরো ভালো। এখন আমাদের বাইরের দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে পত্রিকার নিউজের ওপর ডিপেন্ড করতে হয় যারা অধিকাংশ সময়েই পক্ষপাতদুষ্ট নিউজ করে।
৪। টুইটার একেবারে মাসুম না হলেও ফেইসবুকের তুলনায় কম পক্ষপাতমূলক আচরণ করে। হেইটস্পিচের নামে ইসলামিক পোস্ট সরিয়ে দেয় না। আবার বেশি হাবিজাবি লিখতে দেয়, তাও না। একাউন্ট একেবারে সাসপেন্ড করে দেয়।
৫। ফেইসবুকের সাথে টুইটারের বেশ সাদৃশ্য আছে। রিটুইট শেয়ারের মতো, রিপ্লাই অনেকটা কমেন্ট করার মতো। তাই ব্যবহার করতে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না।
৬। যেসব ভাইরা ইসলাম নিয়ে লেখালিখি করেন, তাদের অধিকাংশই বেশ মেধাবী। তাদের এই মেধা দিয়ে তারা চাইলে বাইরের দেশের মানুষকেও উপকৃত করতে পারবেন ইন শা আল্লাহ। ইসলামে তো আর নিজের দেশ, বাইরের দেশ বলে কথা নেই। মুসলিম মাত্রই এক উম্মাহ।
- Shihab Ahmed Tuhin
Next Post Previous Post