রুকইয়াহ কেস স্টাডি - Gazi Md Tanjil

রুকইয়াহ কেস স্টাডি ঃ বিয়ে আটকে রাখা জাদু


পেশেন্ট এর ঈমানি দৃঢ়তার কারণে যে রুকইয়াহর সময় আল্লাহ অদৃশ্য বাহিনী দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।

আল-হামদুলিল্লাহ।
পেশেন্ট: মহিলা
সমস্যা: পেশেন্ট যার উপর জাদূকর ক্রমাগত জাদূ করে জীন চালান দিচ্ছে!
বিয়ে আটকে রাখার ও অসূস্থ বানানোর জন্য।
রাকি: গাজী মুহাম্মাদ তানজিল

তার রুকইয়াহর সময় আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার ঘটনা পড়ুন
তার নিজের ভাষায় যিনি আমার পেইজে লিখে পাঠিয়েছেন :


পার্ট-০১
“বাসায় তাবিয পাওয়ার পর খুব কান্নাকাটি করি, অনেক দোয়া করি আল্লাহর কাছে যে কেন আমার সাথে এমন হলো আল্লাহ,আপনে সাহায্য পাঠান আমার জন্য আপনার বাহিনি, ফেরেস্তা পাঠান আমাকে সাহায্য করেন। এমন প্রচুর কান্নাকাটি করি। রাতে তাবিয নস্ট করার পর পরের দিন যাই তাঞ্জিল ভাইয়ার বাসায়। ওখানে রুকিয়া শুরু করার পর একটা সময় হার্টবিট প্রচুর বেড়ে যায়, পিঠের দিক দিয়ে অনেক কাপতে থাকে।


তারপর তানজিল ভাইয়া দোয়া পড়ে ফু দিতে থাকেন আর বলেন চোখ বন্ধ করে দেখার চেষ্টা করতে। চোখ বন্ধ করার ৪/৫সেকেন্ড পর আমি দেখতে থাকি একটা খুব বাজে চেহারার ছেলে চোখ উল্টায় আছে, দাত বের হয়ে আছে, বড় বড় দাত, চুল খাড়া খাড়া করা, আর হাফ পেন্ট এর মত পড়া সাদা ময়লা।


বার বার সুধু ওকে দেখি। তারপর দেখি আরেকটা পাশে দাড়ানো মাথা টাক,কিন্ত পিছনে টিকির মত আবার চুল,চোখে কাজল লাগানো, মোচ আছে, কালো ধুতির মতো পায়জামা পড়া, হাতে বালা পড়া। তারপর কিছু দূরে আরেকটা দাড়ানো যেটার মাথায় শিং আছে দুইটা, দুইটা ডানা আছে, কাল রঙের কাপড় পড়া। এই তিন জন একটা কবরস্থান এ দাড়ানো।



পরে কিছুখন এদের দেখার পর আমাকে তাঞ্জিল ভাইয়া বলেন ওদের কাছে যেতে, যেটা টাক মাথা ওর কাছে আমি যাই, যাওয়ার পর দূয়অ পরলে হাতে একটা তলওয়ার দেখি আমি, ওইটা দিয়ে ওর হাত, পা,গলা, চোখ, বিসমিল্লাহ বিসমিল্লাহ বলে আল্লাহু আকবার বলে কাটি, কেটে দূরে ছুড়ে ফেলে দেই। তারপর যাই দাত বের করা যে জিন ওর কাছে, যাওয়ার পর আমি ওর চুলের মুঠি ধরে গলা কেটে ফেলে দেই, তারপর একি ভাবে হাত, পা, হাতের নখ, সারা দেহ একদম কুচি কুচি করি, করে ফেলে দেই। এর মদ্ধে দেখি টাক মাথা আবার উঠে বসছে।


তারপর যাই ডানা ওয়ালা জিন টার কাছে। ওর একদম কাছে গিয়ে ওকে বলি, "তোর অনেক অহংকার তাইনা, তোর সব থেকে বেশি শক্তি তুই মনে করিস, আজকে আমি আসছি আল্লাহর সাহায্য নিয়ে তোর সময় শেষ। এই নে তোর শিং" এই বলে ওর একটা শিং আমি ভেংঙে দেই। তারপর আরেকটা শিং ভাংগি, এরপর পিছনে গিয়ে ওর ডানা কেটে দেই দুইটাই।

 তারপর তলওয়ার এর মত করে ওকে একদম কুচি কুচি করি আর আয়াতুল কুরসি পরে ওকে জালায় দেই আগুন দিয়ে। এরপর যেটা উঠে বসছিল ওইটার কাছে যাই, কাছে গিয়ে দাড়ানোর পর দেখি ও হাত জোর করে মাফ চাচ্ছে। কান্না করছে যদিও আমার সন্দেহ আছে কান্না আসলেই করছিল কিনা!!!

আমি আর তাঞ্জিল ভাইয়া তখন বলি না মাফ করার অনেক সময় দেয়া হয়েছে তোদের, কথা শুনিস নাই, উল্টো আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছিস, এই বলার পর আমি ওর উপর উঠে বসে ওর গলায় আল্লাহু আকবার বলে জবাই দেই। 

তখন আমি একটা সময় কাশি দেই আর অনেক ওয়াক দিতে থাকি একটা সময় বমি করে দেই। তারপরেও জবাই দিতেই থাকি তখন আমার মাথা অনেক ঘুরায় আর দম আটকে আসে আর বমি আসে।


এরপর আমি দেখি আগুন ধরে গেসে ওদের গায়ে আমি আরও বেশি বেশি করে আয়াতুল কুরসি পরে ফু দেই। এতে আগুন ধরে যায় আর বাকি গুলার গায়ে।


এরপর চোখ আবার খুলি, দোয়া পড়ে আবার ফু দেয় তানজিল ভাইয়া তখন দেখি আমি অন্য একটা যায়গায় চলে গেসি। একটা ক্ষেতের মতো যায়গা যার সামনে অনেক জংগল আর জংগল টা অন্ধকার। 

ওখানে দেখি একটা বাচ্চা আমার কাছে আসছে, আসার পর ওর গলা টিপ দিয়ে ধরি আমি, আর বলি কেন আসছিস, কথা বল, মারব কিন্তু নাহলে! হাত দিয়ে দেখায় যে কথা বলতে পারি না। 

তারপর তাঞ্জিল ভাইয়া ওকে বলে যে কই কই জাদু করা আছে, মাথায় জাদু আছে কিনা, মুসলিম নাকি, তখন মাথা নাড়ায় সব গুলাই হ্যা বলে।


তারপর জিগেস করা হয় যাবে কিনা নাহলে মারে ফেলব, ঠিক মত কিছু বলেনা। বলা হয় মদিনায় যেতে বলে যাবে। আর মাফ চায়, অনেক কান্নাকাটি করে। তারপর সিহির নষ্ট করার জন্য দোয়া করার কথা বললে দোয়া পড়ে আমাকে ফু দেয়, মুখে, গায়ে, পায়ে।

 ওই সময় আমি দেখি একটা জাদুকর আশেপাশে ঘুরাঘুরি করছে ।
এই বাচ্চার রুপ নেয়া জিনটাকে বার বার কে জাদু করেছে,কে করিয়েছে এগুলা জিজ্ঞেস করা হয়, কাগজে লিখতে বলা হয় কিন্তু কাদতে থাকে, বলা হয় ডান হাতে এসে লেখার জন্য সাথে সাথেই চলে আসে হাতে কারন আমি হাত ভার অনুভব করি,কিন্তু লিখে না। 

আমার মনে হতে থাকে ভয় পাচ্ছে, ওকে বলা হয় চলে যাওয়ার জন্য, দেখতে থাকি আমি যে জংগলের দিক যাচ্ছে কিন্তু ফিরে আসে, আবার যায়,আবার আসে।


তারপর আবার তানজিল ভাইয়া দোয়া পড়ে ফু দেন, তখন আমি দেখি অন্য একটা যায়গায় চলে গিয়েছি, জায়গাটা একদম অন্ধকার। দেখে মনে হয় দুর্গের মত পিছনে, আর সামনে ওই জাদুকর জীন টা দাড়ানো, একদম শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, অনেক অনেক লম্বা আর বড়।

 আর ও আমার একটু বাম দিক দাড়ানো। ভাইয়া আমাকে পাশে থেকে বলতে থাকেন যে সামনে গিয়ে ওকে ধরতে, কিন্ত আমি একটু ভয় পেয়ে যাই ওর সাইজ দেখে।

 আমি বলতে থাকি "ভাইয়া অনেক বড়, অনেক বড়! "। ভাইয়া আমাকে সাহস দিতে থাকেন," হোক বড়"।

 একদম কাছে চলে যান। জিজ্ঞেস করেন ও কি যাবে কিনা!! আমি জিজ্ঞেস করব কি সেই মুহুর্তে আমি দেখতে থাকি ওর পায়ের দিক থেকে একটা অনেক বড়, অনেক বড় আর মোটা শিকল নিচের দিক থেকে প্যাচ দিচ্ছে। 

শিকল টা একদম আগুনে লোহা গরম দিলে যেমন টকটকে লাল হয়ে যায়, তেমন। তখন আমি ভাইয়া কে বলি "ভাইয়া ওকে পেচিয়ে ফেলেছে একটা শিকল, ও তো যেতে পারবে না, ওকে হয়তো ফেরেশতারা আটকে ফেলেছেন!!!! "


তখন আমরা উঠে দাঁড়িয়ে পড়ি আর অনেক জোরে দোয়া শুরু করে দেই। আর হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শিকলে ওকে আটকাই আর একদম কাছে চলে যাই। 

আটকে ওর একদম সামনে দাঁড়িয়ে ওর চোখের দিক তাকাই বুকের সব ভয় সরিয়ে,বলি তুই আমাকে সব থেকে কস্ট দিয়েছিস, তোর পরিনতি দেখ আজকে, ওর চোখ দুইটা ছিল আগুনের মত। 

মুখ দেখা যায় না, অন্ধকার আর কাল। তখন ভাইয়া আমাকে দোয়া পড়ে দেন, ওটা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য কিন্ত আমি বলি ভাইয়া আমার কিচ্ছু লাগবেনা, কিচ্ছু না।


আমার বাম দিক দিয়ে সব অস্ত্র আসছে। তারপর দেখি বিশাল লম্বা একটা তলওয়ার, ওইটা তুলে ইচ্ছা মত ওর গলা, পেট বরাবর চালাই কিছুখন, তারপর আবার ডান দিকে দেখি বিশাল লম্বা একটা লোহার রড আগুনে লাল করা,তুলে নিয়ে ইচ্ছা মত ওকে পিটাই ওটা দিয়ে, আমি বুঝতে পারি ওর আযাব শুরু হয়ে গিয়েছে। 

আমি আল্লাহকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ দিতে থাকি, "মালিক আপনি আমার ঢাল হয়ে গিয়েছেন, আপনার কাছে আমি বাহিনী চেয়েছিলাম আপনি বাহিনী দিয়ে দিয়েছেন"।


তারপর দেখি বিশাল বিশাল পাথর, ঐগুলাও আগুনে গরম আর লাল করা, ওগুলা ওর গায়ে ছুড়ে মারি,তারপর আমি আল্লাহকে বলি আল্লাহ আপনি কংকর দেন মালিক, তখন হাত পাতি আর দেখি হাত ভরে ভরে লাল আগুনের কংকর,সব ছুড়ে মারি ওর দিক। 

এদিকে আমি খেয়াল করতে থাকি যে ওর সাইজ তেমনই আছে, কিন্তু " ঊগহহ হ ঊগহহ!" এমন আওয়াজ করছে আর শিকল এর বাইরে দিয়ে ওর দেহ গলে গলে পড়ছে।

তখন আমার মাথায় আসে, আল্লাহ তো বলেছেন, জাহান্নামে তো দেহ নস্ট হলে আল্লাহ আবার বানিয়ে দিবেন আযাব বাড়িয়ে দেয়ার জন্য,আমি মনে আরও সাহস পাই। 

তারপর দেখি একটা মগ আসছে যার মদ্ধে ফুটন্ত পুজ, আমি টান দিয়ে ওর মুখ হা করে ঢেলে দেই ওর মুখে,তারপর আরেকটা বালতি আসে যেটার মদ্ধে পুজ ভরা, ওটাও দিয়ে দেই মুখের মদ্ধে। 

তারপর দেখি ট্রে ভর্তি পেরেক, সব ওর গায়ে ঠুকে দেই। ভাইয়া দোয়া পড়ার মদ্ধে আমি শুনতে পাই " ইন্না শাজারাতুন যাক্কুম"।


তখন আমি আল্লাহকে বলি আল্লাহ "যাক্কুম " দেন। দেখি কি ট্রে ভর্তি "যাক্কুম"। অনেক বড় বড় ফল, কেমন সবুজ রংএর আর অনেক কাটা গায়ে। ট্রে সহ ওর মুখের মদ্ধে ঠুশে দেই, আর যাক্কুম গাছ চাই, দেখি কি বিশাল বড় বড় গাছ যাতে কোন পাতা নেই সুধু বড় বড় কাটা।

 আচ্ছা মত ওটা দিয়ে পিটাই ওকে। ততক্ষণে ও বেশ খাট হয়ে গিয়েছে। তারপর আমার যেদিক গুলা দিয়ে মনে হচ্ছিল ফেরেস্তার সারি আছে ওখান থেকে আগুনের গোলা আসছে আর ওকে মারছে যদিও আমি সামনে দাড়ানো আমার কিছুই হল না।

 এই আযাব গুলা আমি ওকে দিতে দিতে একটা পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে যাই আর আমার অনেক হাত এ ব্যাথা করতে থাকে।


তারপর আমি ভাইয়া কে বলি আমার আর শক্তি নাই ভাইয়া যা আযাব দেয়ার আমি দিয়ে দিয়েছি মনের সুখ মিটিয়ে, এরপর আল্লাহকে বলি "মালিক আপনি নিজ হাতে আমাকে এই শয়তান কে শাস্তি দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন বাকি যা করার আল্লাহ আপনি করেন"। 

বলার পর আমরা " আয়াতুল কুরসি" পড়া শুরু করি আর বলতে থাকি "ফাহতারাকাত,ফাহতারাকাত"।

বলার সংগেই দেখি একটা গর্ত হয়ে গেল, আমি ওই গর্তে ওকে লাত্থি দিয়ে ফেলে দেই আর দোয়া পড়ি আর ফু দেই।

 তখন দেখি দোয়ার শক্তিতে আগুন শা শা করে জলে উঠল!!! গর্তের সামনে দিয়ে একটা আগুনের দেয়াল হয়ে গেল। আর আমি হাত উচু করি দোয়া পড়ে আর আগুন শো শো করে উপরে উঠে যায়। তখন আমি একাই বেশ দূরে সরে যাই, আর ওই আগুনের কাছে যেতে পারিনা। 

এই আগুনের মত আগুন সাধারণত কোথাও আমি দেখি নাই,শুধু শিখা শিখা আর শব্দ হয় আগুনে। এ সময় যখন দোয়া পড়ি আমার বমি আসতে থাকে, আর দম আটকে আসতে থাকে।

 আমার দেখার অনেক ইচ্ছা ছিল ও কিভাবে পুড়ছে কিন্তু আগুনের কাছেই যেতে পারলাম না এইবার। মনে হয় কেও সড়িয়ে রাখছে।


তারপর চোখ খুলি, আবার দোয়া পড়ে চোখ বন্ধ করি দেখি কিচ্ছু নাই ওখানে, কোন আগুন বা কিচ্ছু নাই,একদম অন্ধকার কিন্তু নিচে বেশ অনেকখানি ছাই পড়ে আছে।


সেদিনের মত আমাদের রুকইয়াহ শেষ করি সেদিন অনেকগুলো জীন আল্লাহর দেয়া আযাবে জ্বলেপুরে মরেছে।”


আমার করা এই রোগীর রুকইয়াহর সময় যা ঘটছে রোগী নিজ চোখে সব দেখেছে, নিজেই জীনদের মেরেছে। জীনগুলো শুধু চোখের সামনে সপ্নের মতো চলে আসছিলো।


এই ঘটনার সাক্ষী ছিলো রোগীর অভিভাবক।
অডিও ভিডিও সবই আছে বাট দেয়া যাবে না।
ভূযা বা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে নিজেকে কলূষিত করবেননা।



আপনার কোন মন্তব্য থাকলে করতে পারেন।
পার্ট-০২ পরে কোন দিন লিখে পাঠাবেন ইনশ-আল্লাহ..
Next Post Previous Post